নিজস্ব প্রতিবেদক : খ্রিস্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিনে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ‘ফিরবে’ বলে তিনি আশা করছেন।
“আশা করছি, এই নববর্ষে ২০২২ সালে জনগণ মুক্ত হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। দেশে অবশ্যই আমরা একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।”
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গতকাল শনিবার সকালে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে ফুল দেন বিএনপি মহাসচিব। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, “আজকে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমান সাহেবের মাজারে জিয়ারত করে তারা শপথ নিয়েছে, দেশনেত্রীর মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করবে। ২০২২ সালে তা সফল হবে ইনশাল্লাহ।” টানা এক যুগ আওয়ামী লীগের শাসনে বাংলাদেশ ‘গণতন্ত্রহীন’ হয়ে পড়েছে বলে বিএনপি নেতারা দাবি করে আসছেন। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণাও রয়েছে তাদের।
রাষ্ট্রপতির সংলাপ ‘অর্থহীন’ : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় বিএনপি মহাসচিব আবারও বলেন, “আমরা এই সংলাপকে অর্থহীন মনে করছি।
“আমরা মনে করি যে, বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট নির্বাচন কমিশন গঠনের সঙ্কট নয় বা আইন তৈরি করার সঙ্কট নয়। এই প্রধান যে সঙ্কট তা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন রকম সরকার থাকবে? যদি আওয়ামী লীগ সরকার থাকে, তাহলে সেই নির্বাচনের অর্থই হতে পারে না।”
“আমরা বলেছি, নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে, যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে,” বলেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে ‘মেরে ফেলার চক্রান্ত’ : মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন।
“তাকে যে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং তাকে সে সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। আজকে তাকে যে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, সেটা কোনো আইনি ব্যাপার নয়, এটা প্রতিহিংসার বিষয়।”
“আজকে শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণেই এই ধরনের একটা অবস্থা তৈরি করে রেখেছেন, যাতে দেশনেত্রী কোনো চিকিৎসার সুযোগ না পান। তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান, এটাই তারা চাচ্ছে “ বলেন তিনি।
সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যমল, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে সংঘঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা বিএনপি মহাসচিবকে সঙ্গে নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালের এই কর্মসূচির পর দুপুর ২টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে রয়েছেন আলোচনা সভা। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি এই তিন মূলনীতি নিয়ে ছাত্রদল গঠন করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়া।
গণতন্ত্র ফেরার বছর হবে ২০২২ : ফখরুল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ