ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বৈশ্বিক সহায়তা চান ইমরান

  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন। টাইম ম্যাগাজিনে ইমরান খানের নিজের নামে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন আবেদন জানানো হয়। ‘ইমরান খান রাইটস ফ্রম প্রিজন: হোয়াই দ্য ওয়ার্ল্ড মাস্ট পে এটেনশন টু পাকিস্তান’ শিরোনামের লেখাটিতে কারাবন্দী ইমরান খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার ‘রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের’ জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ইমরান আশা প্রকাশ করেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও স্থিতিশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংঘাত ও চরমপন্থার দিকে পরিচালিত করে এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধে কাজ করবে। তবে ইমরান খানের নামে প্রকাশিত নিবন্ধটি আসলেই তার লেখা কি না এবং এটি কীভাবে টাইম ম্যাগাজিনে পৌঁছেছে, তা স্পষ্ট নয়। ইমরান খান তার লেখায় পাকিস্তানের ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’ এবং গণতন্ত্রের জন্য তার চলমান লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি দেশে গণতন্ত্রের কথিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বর্তমান সময়কে জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এতে ইমরান খান জোর দিয়ে বলেন, তার কারাদণ্ড এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি সমর্থনকে দমন করার জন্য রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করেন, তার সংগ্রাম ব্যক্তিগত নয় বরং গণতন্ত্রের বৃহত্তর ইস্যুকেন্দ্রিক। এর সুদূরপ্রসারী পরিণতি কেবল পাকিস্তানের জন্য নয়, এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের কৌশলগত গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ইমরান খান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট মোকাবিলার গুরুত্ব স্বীকার করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং বেলুচিস্তানের মতো অঞ্চলগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য সেগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি ওই নিবন্ধে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বৈশ্বিক সহায়তা চান ইমরান

আপডেট সময় : ০৭:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন। টাইম ম্যাগাজিনে ইমরান খানের নিজের নামে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন আবেদন জানানো হয়। ‘ইমরান খান রাইটস ফ্রম প্রিজন: হোয়াই দ্য ওয়ার্ল্ড মাস্ট পে এটেনশন টু পাকিস্তান’ শিরোনামের লেখাটিতে কারাবন্দী ইমরান খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার ‘রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের’ জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ইমরান আশা প্রকাশ করেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও স্থিতিশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংঘাত ও চরমপন্থার দিকে পরিচালিত করে এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধে কাজ করবে। তবে ইমরান খানের নামে প্রকাশিত নিবন্ধটি আসলেই তার লেখা কি না এবং এটি কীভাবে টাইম ম্যাগাজিনে পৌঁছেছে, তা স্পষ্ট নয়। ইমরান খান তার লেখায় পাকিস্তানের ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’ এবং গণতন্ত্রের জন্য তার চলমান লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি দেশে গণতন্ত্রের কথিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বর্তমান সময়কে জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এতে ইমরান খান জোর দিয়ে বলেন, তার কারাদণ্ড এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি সমর্থনকে দমন করার জন্য রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করেন, তার সংগ্রাম ব্যক্তিগত নয় বরং গণতন্ত্রের বৃহত্তর ইস্যুকেন্দ্রিক। এর সুদূরপ্রসারী পরিণতি কেবল পাকিস্তানের জন্য নয়, এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের কৌশলগত গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ইমরান খান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট মোকাবিলার গুরুত্ব স্বীকার করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং বেলুচিস্তানের মতো অঞ্চলগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য সেগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি ওই নিবন্ধে।