ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

‘গণছুটিতে’ থাকা কর্মীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার দফা দাবিতে ‘গণছুটি’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু থাকার কথাও বলেছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আন্দোলনকারীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার, চাকরি বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের গণছুটিতে যান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আন্দোলন চলাকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য উপকেন্দ্রগুলোতে দু’জন করে বিদ্যুৎ কর্মী অবস্থান করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) শোষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন শুরু হয়। দাবি আদায়ে সবশেষ গত মে ও জুন মাসে শহীদ মিনারের ১৬ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। যদিও দাবি আদায়ে গত ২৩ অক্টোবর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয় ৮ মাস পর জুন মাসে। যদিও সে রিপোর্ট এখনও প্রকাশ বা বাস্তবায়ন শুরু করেনি সরকার। এছাড়া গত ১৭ জুন আরও দুটি কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি এখনও কোনো রিপোর্ট জমা দেয়নি। তাই তারা আবার আন্দোলনে নেমেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী ইন্ধন বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। তারা কারো ইন্ধনে আন্দোলন করছেন না।

সরকারের আল্টিমেটাম

রোববার বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দাবী দাওয়া পূরণের প্রচেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে সরকার সংবেদনশীল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটি অত্যাবশ্যক পরিষেবা। এই সেবা প্রদানে বাধাদান বা বিঘ্ন ঘটানো অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গণছুটির নামে অনুপস্থিত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হলো। না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ ধরনের এক আন্দোলনে দেশে ব্ল্যাক আউটের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সরকার এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপর নেয়। আন্দোলনকারী নেতাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। ডজনেরও বেশি কর্মকর্তা–কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সমিতিগুলো দাবি, আন্দোলন করা জন্য তাদের কয়েক হাজার কর্মীকে তাৎক্ষণিক বদলি, চাকরিচুত্যসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। যা এখনও চলমান।

ওআ/আপ্র/০৭/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

‘গণছুটিতে’ থাকা কর্মীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার দফা দাবিতে ‘গণছুটি’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু থাকার কথাও বলেছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আন্দোলনকারীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার, চাকরি বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের গণছুটিতে যান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। আন্দোলন চলাকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য উপকেন্দ্রগুলোতে দু’জন করে বিদ্যুৎ কর্মী অবস্থান করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) শোষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন শুরু হয়। দাবি আদায়ে সবশেষ গত মে ও জুন মাসে শহীদ মিনারের ১৬ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। যদিও দাবি আদায়ে গত ২৩ অক্টোবর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয় ৮ মাস পর জুন মাসে। যদিও সে রিপোর্ট এখনও প্রকাশ বা বাস্তবায়ন শুরু করেনি সরকার। এছাড়া গত ১৭ জুন আরও দুটি কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি এখনও কোনো রিপোর্ট জমা দেয়নি। তাই তারা আবার আন্দোলনে নেমেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী ইন্ধন বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। তারা কারো ইন্ধনে আন্দোলন করছেন না।

সরকারের আল্টিমেটাম

রোববার বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দাবী দাওয়া পূরণের প্রচেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে সরকার সংবেদনশীল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটি অত্যাবশ্যক পরিষেবা। এই সেবা প্রদানে বাধাদান বা বিঘ্ন ঘটানো অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গণছুটির নামে অনুপস্থিত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হলো। না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ ধরনের এক আন্দোলনে দেশে ব্ল্যাক আউটের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সরকার এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপর নেয়। আন্দোলনকারী নেতাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। ডজনেরও বেশি কর্মকর্তা–কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সমিতিগুলো দাবি, আন্দোলন করা জন্য তাদের কয়েক হাজার কর্মীকে তাৎক্ষণিক বদলি, চাকরিচুত্যসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। যা এখনও চলমান।

ওআ/আপ্র/০৭/০৯/২০২৫