ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে চিকিৎসায় অর্থছাড় শিথিল

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থানের সময় আহত ব্যক্তিদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য অর্থ ছাড়ের সীমা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশে যাওয়া একজন ভ্রমণকারীর জন্য ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার ছাড় করতে পারলেও ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে আহতদের জন্য এই সীমা শিথিল থাকবে।
অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, গণ-আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রাক্কলন অনুযায়ী বিদেশি মুদ্রা ছাড় করা যাবে। ব্যাংক চ্যানেলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমেও এই অর্থ ছাড় করা যাবে।
২০১৮ সালের বিদেশি মুদ্রা লেনদেন গাইডলাইন অনুযায়ী, বিদেশে চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার বা তার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ছাড় করতে পারেন অনুমোদিত ডিলাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, এই গাইডলাইনের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলন জুলাই মাসে নতুন মাত্রা পায়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয় এবং সর্বস্তরের মানুষ তাতে যোগ দেন। আন্দোলন পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন দমাতে চরম শক্তি প্রয়োগ করে।

পুলিশসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ব্যক্তিরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালালে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। আহত মানুষের সংখ্যাও অনেক। নিহত ও আহতের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করার কাজ এখন চলমান।
গত ২২ নভেম্বর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের জন্য সরকারি হাসপাতালে সম্ভব না হলে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে। দেশে চিকিৎসা সম্ভব না হলে পাঠানো হবে বিদেশে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের খরচ সরকার বহন করবে। এর বাইরে তাদের নগদ অর্থসহায়তাও দেওয়া হবে। আন্দোলনে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য হবে নীতিমালা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে চিকিৎসায় অর্থছাড় শিথিল

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

অর্থনৈতিক ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থানের সময় আহত ব্যক্তিদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য অর্থ ছাড়ের সীমা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশে যাওয়া একজন ভ্রমণকারীর জন্য ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার ছাড় করতে পারলেও ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে আহতদের জন্য এই সীমা শিথিল থাকবে।
অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, গণ-আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য প্রাক্কলন অনুযায়ী বিদেশি মুদ্রা ছাড় করা যাবে। ব্যাংক চ্যানেলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমেও এই অর্থ ছাড় করা যাবে।
২০১৮ সালের বিদেশি মুদ্রা লেনদেন গাইডলাইন অনুযায়ী, বিদেশে চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার বা তার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ছাড় করতে পারেন অনুমোদিত ডিলাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, এই গাইডলাইনের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলন জুলাই মাসে নতুন মাত্রা পায়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয় এবং সর্বস্তরের মানুষ তাতে যোগ দেন। আন্দোলন পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্দোলন দমাতে চরম শক্তি প্রয়োগ করে।

পুলিশসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ব্যক্তিরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালালে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। আহত মানুষের সংখ্যাও অনেক। নিহত ও আহতের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করার কাজ এখন চলমান।
গত ২২ নভেম্বর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের জন্য সরকারি হাসপাতালে সম্ভব না হলে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে। দেশে চিকিৎসা সম্ভব না হলে পাঠানো হবে বিদেশে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের খরচ সরকার বহন করবে। এর বাইরে তাদের নগদ অর্থসহায়তাও দেওয়া হবে। আন্দোলনে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য হবে নীতিমালা।