ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

খোলা ট্রাক-পিকআপে ঘরমুখো মানুষ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল ও নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : স্বজনদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানবাহনের চাপ থাকলেও মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই। অনেকেই খরচ বাঁচাতে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ট্রাক-পিকআপে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। গতকাল শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই খরচ বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপে করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসের ছাদে উঠেছেন। আফরোজা আক্তার নামে ট্রাকের এক যাত্রী বলেন, বাসে এলে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়। বাসে তেমন আসা যাচ্ছে না।

গাড়ি ভর্তি থাকায় উঠাতে চায় না। এ জন্য ট্রাকে করে সিরাজগঞ্জ চাচ্ছি। খরচ কম লাগতেছে। লতিফ মিয়া নামে আরেক ট্রাকের যাত্রী বলেন, আমি ঢাকা থেকে আসলাম। রংপুর যাব। ট্রাকে করে যাইতেছি। বাসের খুবই সংকট। বাসের ভাড়াও বেশি চায়। বাসে না এসে ট্রাকে করে যাচ্ছি। ট্রাকে ভাড়া নিতেছে কম। শুধু আমি না অনেকেই ট্রাক-পিকআপে করে যাচ্ছে। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। যানবাহনের চাপ থাকলেও এখনো কোনো যানজট হয়নি। স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে। হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে।
রাস্তাঘাট পুরাই ফাঁকা, আরামদায়ক যাত্রা পাচ্ছি’

এদিকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে এসে মানুষ ভিড় করছেন বাসস্ট্যান্ডে। দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে টিকিট কাটতে ব্যস্ত যাত্রীরা। তবে এবার সড়কে যানজট না থাকায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। গতকাল শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড় ও সাইনবোর্ডে এমন দৃশ্য দেখা যায়। শারমিন আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, নোয়াখালী গিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবো। রাস্তাঘাট ফাঁকা আছে। তাই এবার আর টেনশন নেই। আলমাস নামের আরেক যাত্রী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার আরামদায়ক যাত্রা পাবো ।

কারণ হাইওয়েতে যানজট নাই। টিকিটের মূল্য বেশি রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না ভাড়া আগের মতো রাখা হয়েছে। এনা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আল আমিন বলেন, সকালে যাত্রী না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা আসছেন। তবে বিকেলের দিকে আরও বাড়বে যাত্রী। শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু নাঈম বলেন, আমরা দিবারাত্রি মহাসড়কে কাজ করছি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাক এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়েও আমরা সতর্ক আছি। সবসময় নজর রাখা হচ্ছে। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা মহাসড়কে রয়েছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খোলা ট্রাক-পিকআপে ঘরমুখো মানুষ

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

টাঙ্গাইল ও নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : স্বজনদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানবাহনের চাপ থাকলেও মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই। অনেকেই খরচ বাঁচাতে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ট্রাক-পিকআপে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। গতকাল শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই খরচ বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপে করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসের ছাদে উঠেছেন। আফরোজা আক্তার নামে ট্রাকের এক যাত্রী বলেন, বাসে এলে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়। বাসে তেমন আসা যাচ্ছে না।

গাড়ি ভর্তি থাকায় উঠাতে চায় না। এ জন্য ট্রাকে করে সিরাজগঞ্জ চাচ্ছি। খরচ কম লাগতেছে। লতিফ মিয়া নামে আরেক ট্রাকের যাত্রী বলেন, আমি ঢাকা থেকে আসলাম। রংপুর যাব। ট্রাকে করে যাইতেছি। বাসের খুবই সংকট। বাসের ভাড়াও বেশি চায়। বাসে না এসে ট্রাকে করে যাচ্ছি। ট্রাকে ভাড়া নিতেছে কম। শুধু আমি না অনেকেই ট্রাক-পিকআপে করে যাচ্ছে। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। যানবাহনের চাপ থাকলেও এখনো কোনো যানজট হয়নি। স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে। হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে।
রাস্তাঘাট পুরাই ফাঁকা, আরামদায়ক যাত্রা পাচ্ছি’

এদিকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে এসে মানুষ ভিড় করছেন বাসস্ট্যান্ডে। দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে টিকিট কাটতে ব্যস্ত যাত্রীরা। তবে এবার সড়কে যানজট না থাকায় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করছেন। গতকাল শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড় ও সাইনবোর্ডে এমন দৃশ্য দেখা যায়। শারমিন আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, নোয়াখালী গিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবো। রাস্তাঘাট ফাঁকা আছে। তাই এবার আর টেনশন নেই। আলমাস নামের আরেক যাত্রী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার আরামদায়ক যাত্রা পাবো ।

কারণ হাইওয়েতে যানজট নাই। টিকিটের মূল্য বেশি রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না ভাড়া আগের মতো রাখা হয়েছে। এনা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আল আমিন বলেন, সকালে যাত্রী না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা আসছেন। তবে বিকেলের দিকে আরও বাড়বে যাত্রী। শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু নাঈম বলেন, আমরা দিবারাত্রি মহাসড়কে কাজ করছি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাক এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়েও আমরা সতর্ক আছি। সবসময় নজর রাখা হচ্ছে। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা মহাসড়কে রয়েছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।