আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার অধিকৃত খেরসনে সড়ক দুর্ঘটনায় কিরিল স্ত্রেমাসভ (৪৫) নামের এক শীর্ষ রুশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ নভেম্বর) খেরসনে নিয়োগকৃত রুশ আঞ্চলিক প্রধানের বরাতে সংবাদ সংস্থা তাস এ তথ্য নিশ্চিত করে। যদিও, এটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকা- তা এখনো পরিষ্কার করেনি কোনো পক্ষই। জানা যায়, খেরসেনের আঞ্চলিক ডেপুটি প্রধান ছিলেন স্ত্রেমাসভ। এ অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে আরেকটি রুশ গণমাধ্যম ভেস্টি (ভিজিটিআরকে) জানায়, খেরসন ও ক্রিমিয়ার আর্মিয়ানস্কের মধ্যবর্তী সড়কে হওয়া দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। খেরসনের রুশ আঞ্চলিক প্রধান ভøাদিমির সালদো এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন, আমার বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে যে, স্ত্রেমাসভ মারা গেছেন। আমরা এখনো পরিষ্কার নই, এটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকা-। স্ত্রেমাসভ একজন ইউক্রেনীয় নাগরিক, যিনি প্রথম থেকেই রুশ দখলদারিত্বের শক্তিশালী সমর্থক ছিলেন। খেরসন আক্রমণের প্রথম দিকে তিনিই রাশিয়ার পক্ষ সবচেয়ে সোচ্চার ও স্পষ্টভাষী হয়ে উঠেছিলেন। খেরসনে রুশ সামরিক প্রশাসনের উপ-প্রধান হিসেবে তিনি রাশিয়ার পক্ষে গণভোট সংগঠন ও ইউক্রেনীয় নাগরিকদের সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তা ছাড়া সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনী নিপ্রো এলাকায় আগাতে থাকলে, খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার নেপথ্যেও ছিলেন স্ত্রেমাসভ। মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, যেসব নাগরিক খেরসনে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগই এখন আমার সতকর্তা সংকেত ও পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছে। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে স্ত্রেমাসভ রুশ বাহিনীকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নিপ্রোর পূর্বাঞ্চলে আরও বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করা দরকার হতে পারে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও বাহিনীকে নাৎসি ও ফ্যাসিস্ট হিসেবে বর্ণনা করা স্ত্রেমাসভ রুশ বাহিনীর ভুল পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেছিলেন। তিনি খেরসনের সামরিক বিপর্যয়ের জন্য ‘অদক্ষ’ রুশ কমান্ডারদের দায়ী করেছিলেন। এদিকে, বুধবারেই নিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে সেনাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শইগু। এটিকে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের বিপক্ষে রাশিয়ার বড় পরাজয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। অনেকের মতে, সেপ্টেম্বরে উত্তর খারকিভ অঞ্চলে প্রবেশের পর যুদ্ধকালীন ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য এটিই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। সূত্র: সিএনএন