ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

খুলনা ও বরিশালে নৌকা জয়ী

  • আপডেট সময় : ০২:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : গতকাল সোমবার খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে বিভিন্ন কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই সিটিতেই মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা। ভোটের ব্যবধান হিসেবে দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত।
দলীয় কোন্দল, ঘরোয়া বিবাদ উড়িয়ে বরিশালের মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত: বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। ঘোষিত ফলাফলে খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীকে ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট। জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির অডিটোরিয়াম থেকে এই ফলাফল ঘোষণা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। এই নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মুফতি ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি), মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ) এবং মো. আসাদুজ্জামান (হাতি)।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলার মধ্যেই বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী ২১ জুন হতে যাওয়া সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বয়কট করেছে ধর্মভিত্তিক দলটি। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বরিশাল শহরের চাঁদমারি এলাকায় দলের বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
ফের খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক: তালুকদার আব্দুল খালেক ফের খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র হচ্ছেন। কেসিসি নির্বাচনে প্রাপ্ত ফলাফলে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী। সোমবার (১২ জুন) রাত ৯টার দিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ২৮০ কেন্দ্রের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল হাতে এসেছে।
তাতে তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১৪৮৬০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৫৭০৫১ ভোট।
এর আগে, ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তালুকদার আব্দুল খালেক। তারও আগে, ২০১৩ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করেন তিনি। ১৯৫২ সালের ১ জুন বাগেরহাটের মল্লিকেরবেড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তালুকদার আব্দুল খালেক। স্কুলজীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের প্রায় পুরোটাই কেটেছে খুলনায়। ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৭৭ সালে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ওই বছরই ২১ বছর বয়সে খুলনা পৌরসভার মহসিনাবাদ ইউনিয়নের কমিশনার হন। এরপর মহসিনবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের খুলনা জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার। এর মধ্যে, ১৯৯৬ সালে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তালুকদার আব্দুল খালেক।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

খুলনা ও বরিশালে নৌকা জয়ী

আপডেট সময় : ০২:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : গতকাল সোমবার খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে বিভিন্ন কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই সিটিতেই মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা। ভোটের ব্যবধান হিসেবে দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত।
দলীয় কোন্দল, ঘরোয়া বিবাদ উড়িয়ে বরিশালের মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত: বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। ঘোষিত ফলাফলে খোকন সেরনিয়াবাত নৌকা প্রতীকে ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট। জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির অডিটোরিয়াম থেকে এই ফলাফল ঘোষণা করেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। এই নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মুফতি ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি), মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ) এবং মো. আসাদুজ্জামান (হাতি)।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলার মধ্যেই বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী ২১ জুন হতে যাওয়া সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বয়কট করেছে ধর্মভিত্তিক দলটি। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন ইসলামী আন্দোলনের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বরিশাল শহরের চাঁদমারি এলাকায় দলের বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
ফের খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক: তালুকদার আব্দুল খালেক ফের খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র হচ্ছেন। কেসিসি নির্বাচনে প্রাপ্ত ফলাফলে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী। সোমবার (১২ জুন) রাত ৯টার দিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ২৮০ কেন্দ্রের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল হাতে এসেছে।
তাতে তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১৪৮৬০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৫৭০৫১ ভোট।
এর আগে, ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তালুকদার আব্দুল খালেক। তারও আগে, ২০১৩ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করেন তিনি। ১৯৫২ সালের ১ জুন বাগেরহাটের মল্লিকেরবেড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তালুকদার আব্দুল খালেক। স্কুলজীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের প্রায় পুরোটাই কেটেছে খুলনায়। ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৭৭ সালে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ওই বছরই ২১ বছর বয়সে খুলনা পৌরসভার মহসিনাবাদ ইউনিয়নের কমিশনার হন। এরপর মহসিনবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের খুলনা জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার। এর মধ্যে, ১৯৯৬ সালে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তালুকদার আব্দুল খালেক।