খুলনা সংবাদদাতা : ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে খুলনায় দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি খুলনা জেলা কার্যালয়ের চত্বরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ‘পিঠা বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য। আমরা গ্রামে-গঞ্জে পিঠা খাওয়ার বিষয়টি প্রায় ভুলেই গিয়েছি। ছোটবেলায় অনেক সময় শীতের পিঠা খাওয়ার জন্য গ্রামে যেতাম।
এখন আর গ্রামে যেতে হয় না। শহরেই এই পিঠা উৎসব বেশি হচ্ছে। গ্রামের পিঠার স্বাদ এখন শহরেই পাওয়া যায়। গ্রামের অনেক লোকজন এখন শহরমুখী হচ্ছে। এজন্য গ্রামের সংস্কৃতি অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের ঐতিহ্য এখন শহরেই বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে।’ প্রধান অতিথি নারী উদ্যোক্তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘যেকোন বিষয়ে উদ্যোক্তা হওয়া যায়। তার অন্যতম উদাহরণ হলো পিঠা উৎসব। ঘরে বসেই একজন উদ্যোক্তা পিঠা তৈরি করে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে। কষ্ট করে পিঠা তৈরি না করে ঘরে বসেই বিভিন্ন লিংকের মাধ্যমে অর্ডার দিলেই কয়েক মিনেটের মধ্যে বাসায় পিঠা চলে আসে। তাই এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বারবার পিঠা মেলার আয়োজন করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
’ খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শেষে বিভাগীয় কমিশনার তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।