ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

খুচরা ডলারে স্বস্তি ফিরছে

  • আপডেট সময় : ০২:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত বছরের মার্চ থেকে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। এখনও চলছে আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির সেই সংকট। সদ্য বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বরে খুচরা বাজারে ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড বিক্রয়মূল্য ছিল ১২০ টাকা। কয়েক মাসের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমে প্রতি ডলার এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা ৩৫ পয়সা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খুচরা ডলার বিক্রির বিভিন্ন হাউজ ঘুরে এ তথ্য জানা যায়। তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে প্রতি ডলার ক্রয় করা হচ্ছে ১১০ টাকা ১০ পয়সা। এসময় ডলার বিক্রি হচ্ছিলো ১১০ টাকা ৩৫ পয়সায়। এর আগে রোববার (২২ জানুয়ারি) ১০৯ টাকা ৮০ পয়সায় ডলার বিক্রি হয়েছিল। এদিন ক্রয় করা হয় ১০৯ টাকা ৭০ পয়সায়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলারের চাহিদা বাড়ে। ব্যাপকহারে ডলারের দাম বাড়ার পরেও সংকট মেটেনি। আন্তর্জাতিক এই মুদ্রাটির দাম বাড়ার ফলে বেড়েছে টাকার চাহিদা। এদিকে ব্যাংকগুলোকে টাকা দিয়ে ডলার কিনে আমদানি বিল পরিশোধ করতে হয়। ফলে ডলার কিনতে গিয়েই অনেক ব্যাংক টাকার সংকটে পড়ে গেছে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংকের অনিয়ম আলোচনায় আসে। এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংক খাতের আমানত কমেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
এসবের মধ্যে খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকেই। অনেকে খরচ মেটাতে সঞ্চয় ভেঙে ফেলছেন। ব্যাংক খাতে গত সেপ্টেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এদিকে গত নভেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে দাড়ায় ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকের আমানতের চেয়ে ঋণ যাচ্ছে অনেক বেশি। করোনার পরে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করে দেশ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক অস্থিরতা শুরু হয়। বিশ্ববাজারে ডলারের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন সিন্ডিকেট দল গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। এর ফলে বিপাকে পড়েন বিদেশগামীরা। বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ ব্যবসায়ীরা ডলার ব্যবসা দখলে নেন। তখন আমদানিকারকদের গুনতে হয়েছিল বাড়তি খরচ। এরপরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু উদ্যোগে ডলারের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। একইসঙ্গে অন্য ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। গত ২০২২ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে সব মিলিয়ে ১ হাজার ২৬১ কোটি ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি ডলার ৯৮ টাকা ধরলে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। এর ফলে ব্যাপক হারে কমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

খুচরা ডলারে স্বস্তি ফিরছে

আপডেট সময় : ০২:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত বছরের মার্চ থেকে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। এখনও চলছে আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির সেই সংকট। সদ্য বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বরে খুচরা বাজারে ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড বিক্রয়মূল্য ছিল ১২০ টাকা। কয়েক মাসের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমে প্রতি ডলার এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা ৩৫ পয়সা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খুচরা ডলার বিক্রির বিভিন্ন হাউজ ঘুরে এ তথ্য জানা যায়। তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে প্রতি ডলার ক্রয় করা হচ্ছে ১১০ টাকা ১০ পয়সা। এসময় ডলার বিক্রি হচ্ছিলো ১১০ টাকা ৩৫ পয়সায়। এর আগে রোববার (২২ জানুয়ারি) ১০৯ টাকা ৮০ পয়সায় ডলার বিক্রি হয়েছিল। এদিন ক্রয় করা হয় ১০৯ টাকা ৭০ পয়সায়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলারের চাহিদা বাড়ে। ব্যাপকহারে ডলারের দাম বাড়ার পরেও সংকট মেটেনি। আন্তর্জাতিক এই মুদ্রাটির দাম বাড়ার ফলে বেড়েছে টাকার চাহিদা। এদিকে ব্যাংকগুলোকে টাকা দিয়ে ডলার কিনে আমদানি বিল পরিশোধ করতে হয়। ফলে ডলার কিনতে গিয়েই অনেক ব্যাংক টাকার সংকটে পড়ে গেছে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংকের অনিয়ম আলোচনায় আসে। এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংক খাতের আমানত কমেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
এসবের মধ্যে খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকেই। অনেকে খরচ মেটাতে সঞ্চয় ভেঙে ফেলছেন। ব্যাংক খাতে গত সেপ্টেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এদিকে গত নভেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে দাড়ায় ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকের আমানতের চেয়ে ঋণ যাচ্ছে অনেক বেশি। করোনার পরে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করে দেশ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক অস্থিরতা শুরু হয়। বিশ্ববাজারে ডলারের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন সিন্ডিকেট দল গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। এর ফলে বিপাকে পড়েন বিদেশগামীরা। বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ ব্যবসায়ীরা ডলার ব্যবসা দখলে নেন। তখন আমদানিকারকদের গুনতে হয়েছিল বাড়তি খরচ। এরপরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু উদ্যোগে ডলারের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। একইসঙ্গে অন্য ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। গত ২০২২ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে সব মিলিয়ে ১ হাজার ২৬১ কোটি ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি ডলার ৯৮ টাকা ধরলে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। এর ফলে ব্যাপক হারে কমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।