ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

খিটখিটে শিশুকে শান্ত রাখবে জাফরান

  • আপডেট সময় : ১২:০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকেন প্রতিটি মা-বাবা। ব্যতিব্যস্ত থাকেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে গড়ে তুলতে। শিশুর বয়স ছয় মাস পেরিয়ে গেল তাকে বাড়তি খাবার দেয়া শুরু হয়। এসম থেকে মায়েদের খেয়াল রাখতে হয় পুষ্টির যোগান ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। পুষ্টির পরিমাণ ঠিক রাখতে খাবারের বিকল্প ভাবতে পারেন। জাফরান দেবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। শুধু কি তাই?
বাচ্চা যদি খিটখিটে ও ছিঁচকাঁদুনে হয়, তাহলে জাফরানের কথা ভাবতে পারেন। এটা স্ফুর্তিদায়ক ও মুড স্টেবিলাইজার হিসেবে কাজ করবে। শিশু জন্মের পর থেকেই পুষ্টি জোগান দেবে এমন একটি উপাদান হল কেসর বা জাফরান। নবজাতক শিশুসহ যে কোনো বয়সের বাচ্চাদের জাফরান দেওয়া হলে তা পুষ্টি বাড়াতে দারুণ সহায়ক হবে। জাফরানে রয়েছে ক্যালশিয়াম ও ফাইবার, যা অল্প বয়সে বাচ্চাদের হাড় দ্রুতগতিতে বিকশিত করে।
ফ্লু থেকে রক্ষা করে : শিশু বা অল্প বয়সি বাচ্চারা প্রায়ই সর্দি ও ফ্লুতে ভোগে। জাফরানের প্রকৃতি গরম। এ কারণে এটি জ্বর, সর্দি ও ফ্লুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। জাফরান শিশুর পাচন প্রক্রিয়াকে মজবুত করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিবায়োটিক ও ভালো ব্যাক্টিরিয়া পাচন তন্ত্রের কাজকে ভালোভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে : জাফরানে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা শক্তিশালী করে রেটিনাকে। এর ফলে বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে : জাফরান স্নায়ুর নেটওয়ার্ককে বিকশিত ও সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। মনে রাকতে হবে, স্নায়ু ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য শৈশবকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই শিশুদের জন্য জাফরান খুবই উপকারি।
শিশুর ত্বকের জন্য উপকারী : বাচ্চাদের ত্বক সংবেদনশীল। এজন্য রাসায়নিকযুক্ত লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা যায় না। তেল ব্যবহার করে ত্বক সুস্থ রাখতে হয়। জাফরান ব্যবহার করেও শিশুর ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষতা থেকে রক্ষা করা যায়।
কীভাবে জাফরান ব্যবহার করবেন?
জাফরানের তেল বানিয়ে মালিশ করুন। রাতে নারকেল বা আমন্ড তেলে দুয়েকটি জাফরান মিশিয়ে নিন। সকালে জাফরান মেশানো তেল দিয়ে শিশুর শরীর মালিশ করতে পারেন। গোসলের পর এই তেল দিয়ে আবার মালিশ করুন। এর ফলে ত্বক ভালো থাকবে। ঘুমও আসবে ভালো।
খাবারে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন : বয়স ছয় মাস পার হলে যখন বাড়িতি খাবার দেয়া শুরু হয়, তখন খাবারের মধ্যে জাফরান মিশিয়ে দিতে পারেন। মেশাতে পারেন দুধ বা অন্য কোনো তরল খাবারে। যখন শক্ত খাবার খেতে শিখবে তখন দুধে জাফরান গুলে পান করাতে পারেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

খিটখিটে শিশুকে শান্ত রাখবে জাফরান

আপডেট সময় : ১২:০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নারী ও শিশু ডেস্ক : সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকেন প্রতিটি মা-বাবা। ব্যতিব্যস্ত থাকেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে গড়ে তুলতে। শিশুর বয়স ছয় মাস পেরিয়ে গেল তাকে বাড়তি খাবার দেয়া শুরু হয়। এসম থেকে মায়েদের খেয়াল রাখতে হয় পুষ্টির যোগান ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। পুষ্টির পরিমাণ ঠিক রাখতে খাবারের বিকল্প ভাবতে পারেন। জাফরান দেবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। শুধু কি তাই?
বাচ্চা যদি খিটখিটে ও ছিঁচকাঁদুনে হয়, তাহলে জাফরানের কথা ভাবতে পারেন। এটা স্ফুর্তিদায়ক ও মুড স্টেবিলাইজার হিসেবে কাজ করবে। শিশু জন্মের পর থেকেই পুষ্টি জোগান দেবে এমন একটি উপাদান হল কেসর বা জাফরান। নবজাতক শিশুসহ যে কোনো বয়সের বাচ্চাদের জাফরান দেওয়া হলে তা পুষ্টি বাড়াতে দারুণ সহায়ক হবে। জাফরানে রয়েছে ক্যালশিয়াম ও ফাইবার, যা অল্প বয়সে বাচ্চাদের হাড় দ্রুতগতিতে বিকশিত করে।
ফ্লু থেকে রক্ষা করে : শিশু বা অল্প বয়সি বাচ্চারা প্রায়ই সর্দি ও ফ্লুতে ভোগে। জাফরানের প্রকৃতি গরম। এ কারণে এটি জ্বর, সর্দি ও ফ্লুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। জাফরান শিশুর পাচন প্রক্রিয়াকে মজবুত করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিবায়োটিক ও ভালো ব্যাক্টিরিয়া পাচন তন্ত্রের কাজকে ভালোভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে : জাফরানে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা শক্তিশালী করে রেটিনাকে। এর ফলে বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে : জাফরান স্নায়ুর নেটওয়ার্ককে বিকশিত ও সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে। এর ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। মনে রাকতে হবে, স্নায়ু ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য শৈশবকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই শিশুদের জন্য জাফরান খুবই উপকারি।
শিশুর ত্বকের জন্য উপকারী : বাচ্চাদের ত্বক সংবেদনশীল। এজন্য রাসায়নিকযুক্ত লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা যায় না। তেল ব্যবহার করে ত্বক সুস্থ রাখতে হয়। জাফরান ব্যবহার করেও শিশুর ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষতা থেকে রক্ষা করা যায়।
কীভাবে জাফরান ব্যবহার করবেন?
জাফরানের তেল বানিয়ে মালিশ করুন। রাতে নারকেল বা আমন্ড তেলে দুয়েকটি জাফরান মিশিয়ে নিন। সকালে জাফরান মেশানো তেল দিয়ে শিশুর শরীর মালিশ করতে পারেন। গোসলের পর এই তেল দিয়ে আবার মালিশ করুন। এর ফলে ত্বক ভালো থাকবে। ঘুমও আসবে ভালো।
খাবারে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন : বয়স ছয় মাস পার হলে যখন বাড়িতি খাবার দেয়া শুরু হয়, তখন খাবারের মধ্যে জাফরান মিশিয়ে দিতে পারেন। মেশাতে পারেন দুধ বা অন্য কোনো তরল খাবারে। যখন শক্ত খাবার খেতে শিখবে তখন দুধে জাফরান গুলে পান করাতে পারেন।