নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজান আসার আগেই বাজারে প্রায় সব ধরনের মাংসের দাম এক দফা বেড়েছে। এরই মধ্যে খাসির মাংসের দাম আরও এক দফা বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাসির মাংস কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে সাড়ে নয়শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা প্রথম রোজায় ছিল ৯০০ টাকা কেজি। এ নিয়ে গত এক বছরে খাসির মাংসের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২৫০ টাকা। রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও মহাখালী কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাড়তি দামে বাধ্য হয়ে খাসির মাংস কিনছেন ক্রেতারা। কোথাও কোথাও ক্রেতা-বিক্রেতা দাম নিয়ে তর্কে লিপ্ত হয়েছেন।ক্রেতা দুষছেন বিক্রেতাকে। আর বিক্রেতা পাইকারকে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ হাসান আলী অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবারই রমজান এলে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। আমরা কী করব? আমরা তো নিরুপায়। মাংস যদি দেড় হাজার টাকা কেজিও হয় তাহলেও তো কিনতে হবে। আমরা এক প্রকার জিম্মি। আমাদের বাধ্য করেই এগুলো করানো হয়। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা জানে রমজান এলে আমরা বাধ্য হয়েই কিনব। তাই তারা দাম বাড়িয়ে দেয়। হয়তো রমজান গেলে দাম কমবে কিন্তু এই যে চড়া দামের কারণে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার ইচ্ছা থাকা সত্বেও মাংস কিনতে পারছে না এর জন্য দায়ী কে? সনজিত পাল নামে একজন বলেন, ‘আমরা গরুর গোস্ত খাই না। খাসিতেই আমাদের ভরসা। কিন্তু খাসির যে দাম বাড়িয়ে দিছে তাতে আমাদের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ছে। এই টাকা দিয়ে আমি আড়াই কেজি আলু বা দেড় কেজি পেঁয়াজ নিতে পারতাম কিন্তু এখন আর তা হবে না। উপায় না পেয়ে বেশি দাম দিয়েই নিতে হবে। রমজান মাসে আমাদেরও তো মনে চায় একটু ভালো মন্দ খাই। কিন্তু মাংসের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে তা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে চলে যাবে।’ সপ্তাহের ব্যবধানে খাসির মাংসের কেজিতে ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে রাজধানী গোস্ত বিতানের বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, ‘এই দাম বাড়াতে আমাদের কোনো হাত নাই। আমরা যা দিয়া কিনে আনি তারচেয়ে অল্প কিছু লাভে বেচি। লাভ না করলে তো আর বেইচ্যা ফায়দা নাই।’ কমদামে কিনলে তখন কম দামে বিক্রি করবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল বলেন, অবশ্যই কমে কিনতে পারলে কমে বেচমু। আমাদের যদি খাসির মাংস ৫০০ টাকা কেজি দরে কেনা পড়ে তাইলে কালকে থেকেই ৫৫০ টাকা কেজি বেচুম। কম কিনলে কম আর বেশি কিনলে বেশি। নিয়মই তো এইডা। সব জায়গায় সিন্ডিকেট কইরা রাখছে। আমরার কী দোষ? এতে আগে যেই বেচা বিক্রি হইতো এখন তারচেয়ে অনেক কইমা গেছে। সবাইর তো আর ৯৫০ টাকা দিয়া ১ কেজি গোস্ত খাওনের সামর্থ্য নাই। গত বছরের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত খাসির মাংসের দাম ছিল ৭০০ থেকে ৭৩০ টাকা কেজি। এক বছরের ব্যবধানে তা আড়াইশো টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫০ টাকা কেজিতে। এতে জনমনে অসšুÍষ্টির সৃষ্টি হয়ে
                                      জনপ্রিয় সংবাদ                                
                                 
																			 
										

























