ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধনীতে গয়েশ্বর

খালের মধ্যে কুমিরটা ১৭ বছর যন্ত্রণা দিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আছে

  • আপডেট সময় : ০৮:০৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেতা-কর্মীদের নিয়ে খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘খাল খনন নিয়ে একসময় সমালোচনা হতো। তবে খাল খননের পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। খালের মধ্যে যে একটা কুমির ছিল, এটা কেউ খেয়াল করেনি। সেই কুমিরটা ১৭ বছর মানুষকে যন্ত্রণা দিয়ে এখন দিল্লিতে পালিয়ে আছে। তাই খাল খেটে কুমির আনা যাবে না, খাল কেটে স্বচ্ছ পানি আনতে হবে।’

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। মুগদার পূর্ব মানিকনগর বালুর মাঠসংলগ্ন এলাকায় এই অনুষ্ঠানে দলটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এই অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা পৌনে একটায়। ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। কর্মসূচি উদ্বোধন করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে খাল পরিষ্কার করতে যান বিএনপির এই নেতা। হাতে নিড়ানি তুলে নিয়ে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। বেলা সোয়া একটার দিকে খালের পাশে একটি জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেন। তারপর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় চলে যান। সঙ্গে মহানগর দক্ষিণের নেতারাও চলে যান। পরে বালুর মাঠ ইউনিট বিএনপির সেক্রেটারি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্তত ৪০ জন এই কার্যক্রমে অংশ নেন। বেলা আড়াইটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি চলছিল।

বিএনপি সরকারে নেই উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা কিন্তু সরকারে নেই। আপনারা অনেক দাবিদাওয়া করেন। আগে আমাদের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন, তারপরে যত দাবি আছে করেন।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে মাঝে মাঝে নানা ঘটনা দেখেন। এটা হলো যে আপনাদের ভোটের অধিকারটা যাতে আপনারা না পান, ভোটটা যাতে না দিতে পারেন, তার মধ্যে একটা ষড়যন্ত্র আছে।’

অদৃশ্য শত্রুকে মোকাবিলা করা কঠিন উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কিছু অনুমান করা যায়; কিন্তু চোখে দেখা যায় না। কারণ, চিহ্নিত শত্রু মোকাবিলা করা সহজ। যেই শত্রুকে চোখে দেখা যায় না, তাকে মোকাবিলা করা খুব কঠিন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

সানা/ওআ/আপ্র/০২/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পরিবারভিত্তিক ব্যবসা

বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধনীতে গয়েশ্বর

খালের মধ্যে কুমিরটা ১৭ বছর যন্ত্রণা দিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আছে

আপডেট সময় : ০৮:০৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেতা-কর্মীদের নিয়ে খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘খাল খনন নিয়ে একসময় সমালোচনা হতো। তবে খাল খননের পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। খালের মধ্যে যে একটা কুমির ছিল, এটা কেউ খেয়াল করেনি। সেই কুমিরটা ১৭ বছর মানুষকে যন্ত্রণা দিয়ে এখন দিল্লিতে পালিয়ে আছে। তাই খাল খেটে কুমির আনা যাবে না, খাল কেটে স্বচ্ছ পানি আনতে হবে।’

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। মুগদার পূর্ব মানিকনগর বালুর মাঠসংলগ্ন এলাকায় এই অনুষ্ঠানে দলটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এই অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা পৌনে একটায়। ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। কর্মসূচি উদ্বোধন করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে খাল পরিষ্কার করতে যান বিএনপির এই নেতা। হাতে নিড়ানি তুলে নিয়ে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। বেলা সোয়া একটার দিকে খালের পাশে একটি জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেন। তারপর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় চলে যান। সঙ্গে মহানগর দক্ষিণের নেতারাও চলে যান। পরে বালুর মাঠ ইউনিট বিএনপির সেক্রেটারি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্তত ৪০ জন এই কার্যক্রমে অংশ নেন। বেলা আড়াইটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি চলছিল।

বিএনপি সরকারে নেই উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা কিন্তু সরকারে নেই। আপনারা অনেক দাবিদাওয়া করেন। আগে আমাদের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন, তারপরে যত দাবি আছে করেন।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে মাঝে মাঝে নানা ঘটনা দেখেন। এটা হলো যে আপনাদের ভোটের অধিকারটা যাতে আপনারা না পান, ভোটটা যাতে না দিতে পারেন, তার মধ্যে একটা ষড়যন্ত্র আছে।’

অদৃশ্য শত্রুকে মোকাবিলা করা কঠিন উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কিছু অনুমান করা যায়; কিন্তু চোখে দেখা যায় না। কারণ, চিহ্নিত শত্রু মোকাবিলা করা সহজ। যেই শত্রুকে চোখে দেখা যায় না, তাকে মোকাবিলা করা খুব কঠিন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

সানা/ওআ/আপ্র/০২/০৯/২০২৫