নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) সকালে তিনি জানান, গত রাতে হঠাৎ করে বেগম খালেদা জিয়ার শরীর খারাপ হলে গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেই তার চিকিৎসা চলছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, রাতে হাসপাতালে নেওয়ার পরই ম্যাডামের কয়েকটি জরুরি শারীরীক পরীক্ষা করা হয়। তার মেডিক্যাল বোর্ড সেসব পরীক্ষার ফলাফল দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন। দোয়া করেন তার জন্য। আপাতত এর বেশি কিছু বলার নেই।
এদিকে, এভারকেয়ার হাসপাতালের এক চিকিৎসক সকালে রাইজিংবিডিকে জানান, বেগম খালেদা জিয়ার কিডনি ফাংশন খারাপ হয়েছে। তার অবস্থা তেমন গুরুতর না হলেও ইনফেকশনের মার্কারগুলো কিছুটা বেশি।
প্রসঙ্গত, বেগম খালেদা জিয়া দির্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। সবশেষ ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। একদিন পর ১৪ মার্চ তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। এছাড়া ৮ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত চেক আপের জন্য এভারকেয়ারে যান তিনি। গত শনিবার হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাত ৩টার দিকে বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়।
কারাগারে নির্যাতনেই খালেদা জিয়ার শারীরিক এই অসুস্থতা: মঈন খান: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যে পরিণতি হয়েছে, সেটা জেলের ভেতরে তার ওপর যে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল তারই কারণে। কারাগারে নির্যাতনেই বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক এই অসুস্থতা।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোস্তফার বাসায় তার খোঁজখবর নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, আজকে দেশের মানুষকে বাকরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কেন সরকারের সমালোচনা করলে জেলে যেতে হয়। সরকারের সমালোচনা বিরোধী দলের কর্তব্য ও দায়িত্ব। এই অধিকার তো আমাদের সংবিধান দিয়েছে। সুতরাং দেশের যে পরিণতি হয়েছে তা দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। তিনি বলেন, সরকার ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চায়। এখানে যেন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ না খোলে। বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলের ভেতরের নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটা কী ধরনের সরকার? বাংলাদেশ কি এই কারণে সৃষ্টি হয়েছিল? কোথায় গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার, সুস্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার? সেই উত্তর আজকে সরকারকে দিতে হবে। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, জুলুম-অত্যাচার এবং লগি-বৈঠার রাজনীতি বিএনপি করে না। আমরা মানুষকে সেবা করার জন্য রাজনীতি করি। একদিন না একদিন এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।
খালেদা জিয়া সিসিইউতে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’
জনপ্রিয় সংবাদ


























