ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে গত ১৫ জানুয়ারি রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যারা আপিল করতে পারেননি, তারাও খালাস পান।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এ রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি গত ৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সব আপিল মঞ্জুর করা হলো। সে অনুসারে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের উভয় রায় বাতিল করা হলো। ফলে সব আপিলকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জন্য তারা দোষী সাব্যস্ত না হয়ে সম্পূর্ণ খালাস পেলেন।

রায়ে আরো বলা হয়, এসব আপিলের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যধারা থেকে প্রতীয়মান হয় যে এক্ষেত্রে আইনের এমন অপপ্রয়োগ হয়েছে, যা বিদ্বেষপ্রসূত প্রসিকিউশনের শামিল। এ রায় অন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া যারা আপিল করেননি, তাদের ক্ষেত্রেও বিস্তৃত (প্রযোজ্য) হবে।

এ সিদ্ধান্তের (আপিল বিভাগের যায়) ফলে, আপিলকারী ও অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও তারা যে নির্দোষ, তা আবার নিশ্চিত করবে এবং একইভাবে তাদের বিরুদ্ধে শুরু করা অযৌক্তিক কার্যধারার অবসান ঘটাবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ তিনজন হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর দেওয়া হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য দুই আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বহাল রাখা হয়।

বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের সাজা সংক্রান্ত উভয় রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া গত বছর পৃথক দুটি আপিল করেন। একই বছর কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ পৃথক আপিল করেন। পৃথক আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত ওই রায় দেন।

খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় অন্য দুই আসামি ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান।

এসি/আপ্র/০৬/১১/২০২৫

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে গত ১৫ জানুয়ারি রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যারা আপিল করতে পারেননি, তারাও খালাস পান।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এ রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি গত ৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সব আপিল মঞ্জুর করা হলো। সে অনুসারে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের উভয় রায় বাতিল করা হলো। ফলে সব আপিলকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জন্য তারা দোষী সাব্যস্ত না হয়ে সম্পূর্ণ খালাস পেলেন।

রায়ে আরো বলা হয়, এসব আপিলের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যধারা থেকে প্রতীয়মান হয় যে এক্ষেত্রে আইনের এমন অপপ্রয়োগ হয়েছে, যা বিদ্বেষপ্রসূত প্রসিকিউশনের শামিল। এ রায় অন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া যারা আপিল করেননি, তাদের ক্ষেত্রেও বিস্তৃত (প্রযোজ্য) হবে।

এ সিদ্ধান্তের (আপিল বিভাগের যায়) ফলে, আপিলকারী ও অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও তারা যে নির্দোষ, তা আবার নিশ্চিত করবে এবং একইভাবে তাদের বিরুদ্ধে শুরু করা অযৌক্তিক কার্যধারার অবসান ঘটাবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ তিনজন হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর দেওয়া হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য দুই আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বহাল রাখা হয়।

বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের সাজা সংক্রান্ত উভয় রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া গত বছর পৃথক দুটি আপিল করেন। একই বছর কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ পৃথক আপিল করেন। পৃথক আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত ওই রায় দেন।

খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় অন্য দুই আসামি ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান।

এসি/আপ্র/০৬/১১/২০২৫