নিজস্ব প্রতিবেদক : উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের করা আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এই মতামতের ওপর ভিত্তি করে আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জার্মানিতে অবস্থান করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবদনে মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছি।’
তবে মতামতে কী উল্লেখ আছে তা বলতে জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মতামত আমি কী দিয়েছি, সেটাতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে। এখন তো আমি বলতে পারব না।’ এর আগে গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফ্রেব্রুয়ারি সাজা হওয়ার পর কারাগারে নেওয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। কিছুদিন কারাগারে থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে গত বছরের মার্চে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তবে অনেক চেষ্টাও তার জামিন মেলেনি। মাঝে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলেও দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার চেষ্টা করছে পরিবার। কিন্তু জামিন না পাওয়ায় বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
খালেদার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ