ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

খাদ্য সরবরাহে ‘এআই রোবট যান’ জাতিসংঘের বিবেচনায়

  • আপডেট সময় : ১১:০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বা বিপদসংকুল এলাকায় জাতিসংঘের পাঠানো খাবার সরবরাহে এআই রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে- এমন দৃশ্য দেখা যেতে পারে আগামী বছরই। এই প্রযুক্তির ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মানবাধিকার কর্মীদের জীবনরক্ষায় সহায়ক হবে বলেই রয়টার্সকে বলেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। গত কয়েক বছরে এসব এলাকায় বেড়েছে সংঘর্ষ, সেইসঙ্গে বেড়েছে সহায়তা কর্মীদের ওপর আক্রমণের সংখ্যাও। জাতিসংঘ বলছে এটি এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্ব্বোচ্চ। কেবল এ বছরই বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিইএফপি) তিন জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন সুদানে চলমান সংঘাতে।
“এ ধরনের পরিস্থিতিতে একজন ড্রাইভার কিংবা ডব্লিওপিএফ কর্মীকে পাঠানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার বড় পরিবর্তন আনতে পারে।”-বলেছেন ডব্লিওপিএফ এর উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান বার্নহার্ড কোয়াটশ। ক্ষুধা নিরাময়ের মতো বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে জেনিভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সম্মেলন। সেখানে আলাদাভাবে এ কথা বলেন কোয়াটশ। খাদ্যবাহী ট্রাকগুলো পানির মধ্য দিয়েও চলতে পারে এবং এগুলোর প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা এক থেকে দুই টন। চলমান সিরিয়া যুদ্ধে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে আলেপ্পোতে এগুলো প্রথম মোতায়েন করা হয়েছিলো। সে সময় সহায়তা কর্মীরা দুর্গত এলাকায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যেতে পারছিলেন না বলে উল্লেখ করলেন কোয়াটশ। বিমান থেকে ফেলা একদিকে ব্যয়সাধ্য অন্যদিকে ওই সময়ে সিরিয়ার ওইসব দূর্গত এলাকায় এর বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিলো না, বলেছেন তিনি। ইতোমধ্যেই দক্ষিণ সুদানে প্রায় ৫০টির মতো এরকম খাদ্যবাহী ট্রাক ব্যবহার করছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি, তবে সেগুলোতে মানব চালকের প্রয়োজন। জার্মান মহাকাশ কেন্দ্রর (ডিএলআর) সঙ্গে এএইচইএডি (জরুরী মানবিক সহায়তার সয়ংক্রিয় যন্ত্র) নামের যৌথ প্রকল্পের আওতায় এইসব খাদ্যবাহী ট্রাকের চালকবিহীন সংস্করণ আগামী বছরের শুরুতে পরীক্ষা করবে ডাব্লিউএফপি- বলেছেন কোয়াটশ। স্যাটেলাইট ও বিভিন্ন সেন্সর থেকে এআইয়ের মাধ্যমে ডেটা নিয়ে সেটি চালকবিহীনভাবে গাড়িগুলোতে ব্যবহার করা হবে। দক্ষিণ সুদানে প্রায় ৭৭ লাখ মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং বন্যার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। তাই সবার প্রথম সেখানেই এগুলো নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

খাদ্য সরবরাহে ‘এআই রোবট যান’ জাতিসংঘের বিবেচনায়

আপডেট সময় : ১১:০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত বা বিপদসংকুল এলাকায় জাতিসংঘের পাঠানো খাবার সরবরাহে এআই রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে- এমন দৃশ্য দেখা যেতে পারে আগামী বছরই। এই প্রযুক্তির ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মানবাধিকার কর্মীদের জীবনরক্ষায় সহায়ক হবে বলেই রয়টার্সকে বলেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। গত কয়েক বছরে এসব এলাকায় বেড়েছে সংঘর্ষ, সেইসঙ্গে বেড়েছে সহায়তা কর্মীদের ওপর আক্রমণের সংখ্যাও। জাতিসংঘ বলছে এটি এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্ব্বোচ্চ। কেবল এ বছরই বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিইএফপি) তিন জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন সুদানে চলমান সংঘাতে।
“এ ধরনের পরিস্থিতিতে একজন ড্রাইভার কিংবা ডব্লিওপিএফ কর্মীকে পাঠানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এই প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার বড় পরিবর্তন আনতে পারে।”-বলেছেন ডব্লিওপিএফ এর উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান বার্নহার্ড কোয়াটশ। ক্ষুধা নিরাময়ের মতো বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে জেনিভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সম্মেলন। সেখানে আলাদাভাবে এ কথা বলেন কোয়াটশ। খাদ্যবাহী ট্রাকগুলো পানির মধ্য দিয়েও চলতে পারে এবং এগুলোর প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা এক থেকে দুই টন। চলমান সিরিয়া যুদ্ধে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে আলেপ্পোতে এগুলো প্রথম মোতায়েন করা হয়েছিলো। সে সময় সহায়তা কর্মীরা দুর্গত এলাকায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যেতে পারছিলেন না বলে উল্লেখ করলেন কোয়াটশ। বিমান থেকে ফেলা একদিকে ব্যয়সাধ্য অন্যদিকে ওই সময়ে সিরিয়ার ওইসব দূর্গত এলাকায় এর বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিলো না, বলেছেন তিনি। ইতোমধ্যেই দক্ষিণ সুদানে প্রায় ৫০টির মতো এরকম খাদ্যবাহী ট্রাক ব্যবহার করছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি, তবে সেগুলোতে মানব চালকের প্রয়োজন। জার্মান মহাকাশ কেন্দ্রর (ডিএলআর) সঙ্গে এএইচইএডি (জরুরী মানবিক সহায়তার সয়ংক্রিয় যন্ত্র) নামের যৌথ প্রকল্পের আওতায় এইসব খাদ্যবাহী ট্রাকের চালকবিহীন সংস্করণ আগামী বছরের শুরুতে পরীক্ষা করবে ডাব্লিউএফপি- বলেছেন কোয়াটশ। স্যাটেলাইট ও বিভিন্ন সেন্সর থেকে এআইয়ের মাধ্যমে ডেটা নিয়ে সেটি চালকবিহীনভাবে গাড়িগুলোতে ব্যবহার করা হবে। দক্ষিণ সুদানে প্রায় ৭৭ লাখ মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং বন্যার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। তাই সবার প্রথম সেখানেই এগুলো নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।