ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২
  • ৩১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাড়ছেই মূল্যস্ফীতি। মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। এসময় খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) গত মার্চ মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। এর অর্থ হলো, ২০২১ সালের মার্চ যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হতো, ২০২২ সালের মার্চে সেই পণ্য বা সেবার জন্য ১০৬ টাকা ২২ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে বেশি ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ সার্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয় ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমি ৬২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। মার্চ মাসে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে টানা ছয় মাস বাড়ার পর জানুয়ারিতে কমেছিল এই সূচক। ফেব্রুয়ারিতে তা আবার বেড়েছে। যা মার্চেও অব্যাহত ছিল। বিবিএসের তথ্য বলছে, মার্চে শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে; গ্রামে মূল্যম্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর শহরে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের চেয়ে গ্রাম এলাকায় পণ্যমূল্য বেড়েছে বেশি।
তবে সরকার বা বিবিএসের দেয়া হিসাবের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বাস্তবে অনেক বেশি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত হার বিবিএসের হিসাবের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। এতে বলা হয়েছে, শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার এখন ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর গ্রামে এই হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরেছে সরকার। বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি হবে মূল্যস্ফীতি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ

আপডেট সময় : ০২:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাড়ছেই মূল্যস্ফীতি। মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। এসময় খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) গত মার্চ মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। এর অর্থ হলো, ২০২১ সালের মার্চ যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হতো, ২০২২ সালের মার্চে সেই পণ্য বা সেবার জন্য ১০৬ টাকা ২২ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে বেশি ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ সার্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয় ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমি ৬২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। মার্চ মাসে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে টানা ছয় মাস বাড়ার পর জানুয়ারিতে কমেছিল এই সূচক। ফেব্রুয়ারিতে তা আবার বেড়েছে। যা মার্চেও অব্যাহত ছিল। বিবিএসের তথ্য বলছে, মার্চে শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে; গ্রামে মূল্যম্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর শহরে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের চেয়ে গ্রাম এলাকায় পণ্যমূল্য বেড়েছে বেশি।
তবে সরকার বা বিবিএসের দেয়া হিসাবের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বাস্তবে অনেক বেশি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত হার বিবিএসের হিসাবের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। এতে বলা হয়েছে, শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার এখন ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর গ্রামে এই হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরেছে সরকার। বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি হবে মূল্যস্ফীতি।