ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

খবরের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র হবে টুইটার

  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ইলন মাস্কের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘টুইটার ২.০’-এর জন্য নিজস্ব পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ করেছেন প্ল্যাটফর্মটির নতুন প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনো। তিনি বলছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র হয়ে ওঠার’ লক্ষ্যে কাজ করছে কোম্পানিটি। গত বছর মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের পর থেকে ‘ভুল তথ্য মোকাবেলার ক্ষেত্রে’ কোম্পানির আচরণ সমালোচনার মুখে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এরই মধ্যে টুইটারের নিরাপত্তা প্রধান গত মাসে দায়িত্ব ছাড়ার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট ‘ঐচ্ছিক আচরণবিধি’ থেকেও সরে আসে কোম্পানিটি। কোম্পানির কর্মীদের কাছে ইমেইল পাঠানোর পাশাপাশি বেশ কিছু টুইটেও মাস্কের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করেন ইয়াকারিনো। আর এতে টুইটারকে ‘বৈশ্বিক টাউন স্কয়ার’-এ রূপান্তরে গুরুত্ব দেওয়ার উল্লেখ ছিল। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা একদিকে ‘তথ্যের সুষ্ঠু আদান-প্রদানের মাধ্যমে এই বিশ্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনার’ সুযোগ দেবে।
“ব্যবহারকারীদের জানতে হবে যে, টাউন স্কয়ারে পক্ষপাত নেই।” –বিবিসিকে বলেন সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক গবেষণা কোম্পানি ‘কনস্টেলেশন’-এর প্রধান নির্বাহী রে ওয়াং। নিজেকে ‘বাক স্বাধীনতার ধারক’ হিসাবে প্রচার করা মাস্ক এর আগে টুইটারের কনটেন্ট মডারেশনের নীতিমালার সমালোচনা করেছেন। তার যুক্তি বলছে, প্ল্যাটফর্মটিকে অবশ্যই বাক স্বাধীনতার ‘সত্যিকারের ফোরাম’ হতে হবে। তবে মাস্কের মতবাদের সঙ্গে মিল থাকা বিভিন্ন ডানপন্থী অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনা ও মডারেশন ব্যবস্থা শিথিল করার পদক্ষেপে প্ল্যাটফর্মটি থেকে অনেক বিজ্ঞাপনদাতাই সরে এসেছে। ডিসেম্বরে, কোম্পানির আগের বছরের হিসাবের তুলনায় আয় কমেছে ৪০ শতাংশ। ওয়াং বলেন, বিজ্ঞাপনদাতাদের ফিরিয়ে আনতে তাদের ব্যবহারকারীর কনটেন্ট ও সম্পৃক্ততার বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে হবে।
“তিনি নিশ্চিতভাবে এমন একজন, যিনি মাস্কের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। আর মাস্ক তাকে সম্মান করায় তার সঙ্গে পাল্লাও দিতে পারেন তিনি।”
গত বছর চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার কেনার পর থেকে নিজের অন্যান্য ব্যবসা থাকে মনযোগ সরে আসায় প্ল্যাটফর্মটির নতুন প্রধান নিয়োগ নিয়ে চাপের মধ্যে ছিলেন মাস্ক। তার অন্যান্য ব্যবসার মধ্যে রয়েছে ইভি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলা ও রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স। সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে অবস্থান ফিরে পাওয়া মাস্ক ১২ মে ঘোষণা দেন তার উত্তরসূরী হিসেবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেবেন ইয়াকারিনো। তবে, কোম্পানির নিরাপত্তা প্রধানের পদত্যাগের পরপর প্রত্যাশিত সময়ের আগেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এর আগে নানা কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া মিডিয়া জগতে বড় মিডিয়া হিসাবে পরিচিত ‘এনবিসি ইউনিভার্সাল’-এর বিজ্ঞাপন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ব্যপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইয়াকারিনো। আগের চাকরিতে কোম্পানির বিজ্ঞাপনী ব্যবসা নতুন করে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি ২০২০ সালে বিজ্ঞাপন সমর্থিত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘পিকক’ উন্মোচনের পেছনেও তার বড় ভূমিকা ছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। এখন আর্থিক আয় নিয়ে সংগ্রাম করা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টুইটারের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের হাল ধরেছেন তিনি। আর কোম্পানির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও প্রযুক্তি প্রধান হিসেবে নিজের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন মাস্ক।
“আমাদের বিশ্বাস, টুইটারের জন্য লিন্ডার পরিষ্কার একটি লক্ষমাত্রা আছে যেন প্ল্যাটফর্মটি ফের ঘুরে দাঁড়ায়।” – বলেন বিনিয়োক কোম্পানি ‘ওয়েডবুশ সিকিউরিটিস’-এর বিশ্লেষক ড্যান আইভস।
“প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এটা খুবই ভালো। আর তিনি জানেন যে, টুইটারের মনিটাইজেশন ব্যবস্থা নিয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। আর এটা এখনও প্ল্যাটফর্মটির কাছে ‘সোনার হরিণ’ হিসেবে বিবেচিত।”

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াতে জোর

খবরের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র হবে টুইটার

আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : ইলন মাস্কের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘টুইটার ২.০’-এর জন্য নিজস্ব পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ করেছেন প্ল্যাটফর্মটির নতুন প্রধান লিন্ডা ইয়াকারিনো। তিনি বলছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র হয়ে ওঠার’ লক্ষ্যে কাজ করছে কোম্পানিটি। গত বছর মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের পর থেকে ‘ভুল তথ্য মোকাবেলার ক্ষেত্রে’ কোম্পানির আচরণ সমালোচনার মুখে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এরই মধ্যে টুইটারের নিরাপত্তা প্রধান গত মাসে দায়িত্ব ছাড়ার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট ‘ঐচ্ছিক আচরণবিধি’ থেকেও সরে আসে কোম্পানিটি। কোম্পানির কর্মীদের কাছে ইমেইল পাঠানোর পাশাপাশি বেশ কিছু টুইটেও মাস্কের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করেন ইয়াকারিনো। আর এতে টুইটারকে ‘বৈশ্বিক টাউন স্কয়ার’-এ রূপান্তরে গুরুত্ব দেওয়ার উল্লেখ ছিল। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা একদিকে ‘তথ্যের সুষ্ঠু আদান-প্রদানের মাধ্যমে এই বিশ্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনার’ সুযোগ দেবে।
“ব্যবহারকারীদের জানতে হবে যে, টাউন স্কয়ারে পক্ষপাত নেই।” –বিবিসিকে বলেন সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক গবেষণা কোম্পানি ‘কনস্টেলেশন’-এর প্রধান নির্বাহী রে ওয়াং। নিজেকে ‘বাক স্বাধীনতার ধারক’ হিসাবে প্রচার করা মাস্ক এর আগে টুইটারের কনটেন্ট মডারেশনের নীতিমালার সমালোচনা করেছেন। তার যুক্তি বলছে, প্ল্যাটফর্মটিকে অবশ্যই বাক স্বাধীনতার ‘সত্যিকারের ফোরাম’ হতে হবে। তবে মাস্কের মতবাদের সঙ্গে মিল থাকা বিভিন্ন ডানপন্থী অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনা ও মডারেশন ব্যবস্থা শিথিল করার পদক্ষেপে প্ল্যাটফর্মটি থেকে অনেক বিজ্ঞাপনদাতাই সরে এসেছে। ডিসেম্বরে, কোম্পানির আগের বছরের হিসাবের তুলনায় আয় কমেছে ৪০ শতাংশ। ওয়াং বলেন, বিজ্ঞাপনদাতাদের ফিরিয়ে আনতে তাদের ব্যবহারকারীর কনটেন্ট ও সম্পৃক্ততার বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে হবে।
“তিনি নিশ্চিতভাবে এমন একজন, যিনি মাস্কের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। আর মাস্ক তাকে সম্মান করায় তার সঙ্গে পাল্লাও দিতে পারেন তিনি।”
গত বছর চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার কেনার পর থেকে নিজের অন্যান্য ব্যবসা থাকে মনযোগ সরে আসায় প্ল্যাটফর্মটির নতুন প্রধান নিয়োগ নিয়ে চাপের মধ্যে ছিলেন মাস্ক। তার অন্যান্য ব্যবসার মধ্যে রয়েছে ইভি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলা ও রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স। সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে অবস্থান ফিরে পাওয়া মাস্ক ১২ মে ঘোষণা দেন তার উত্তরসূরী হিসেবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেবেন ইয়াকারিনো। তবে, কোম্পানির নিরাপত্তা প্রধানের পদত্যাগের পরপর প্রত্যাশিত সময়ের আগেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এর আগে নানা কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া মিডিয়া জগতে বড় মিডিয়া হিসাবে পরিচিত ‘এনবিসি ইউনিভার্সাল’-এর বিজ্ঞাপন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ব্যপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইয়াকারিনো। আগের চাকরিতে কোম্পানির বিজ্ঞাপনী ব্যবসা নতুন করে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি ২০২০ সালে বিজ্ঞাপন সমর্থিত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘পিকক’ উন্মোচনের পেছনেও তার বড় ভূমিকা ছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। এখন আর্থিক আয় নিয়ে সংগ্রাম করা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টুইটারের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের হাল ধরেছেন তিনি। আর কোম্পানির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও প্রযুক্তি প্রধান হিসেবে নিজের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন মাস্ক।
“আমাদের বিশ্বাস, টুইটারের জন্য লিন্ডার পরিষ্কার একটি লক্ষমাত্রা আছে যেন প্ল্যাটফর্মটি ফের ঘুরে দাঁড়ায়।” – বলেন বিনিয়োক কোম্পানি ‘ওয়েডবুশ সিকিউরিটিস’-এর বিশ্লেষক ড্যান আইভস।
“প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এটা খুবই ভালো। আর তিনি জানেন যে, টুইটারের মনিটাইজেশন ব্যবস্থা নিয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। আর এটা এখনও প্ল্যাটফর্মটির কাছে ‘সোনার হরিণ’ হিসেবে বিবেচিত।”