ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

ক্ষমা চাইলেন ব্রিটনি

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। এই গায়িকার ব্যক্তিগত ও আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন তার বাবা জিমি। কিন্তু গত বুধবার (২৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে ব্রিটনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চান তিনি। এরপর শুক্রবার ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় এই গায়িকা। তিনি লিখেছেন, ‘বিষয়গুলো সকলের সামনে আনতে চাইছি কারণ আমি চাই না সবাই মনে করুন, আমার সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। কারণ তা ঘটছে না। যদি এই সপ্তাহে আমাকে নিয়ে সংবাদপত্রে কিছু পড়ে থাকেন তাহলে সেটি অবশ্যই বুঝতে পারবেন। গত দুই বছর ধরে সবকিছু ঠিকঠাক আছে এটি ভান করে থাকার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি সম্মানের জন্য এটি করেছি এবং আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা বলতে লজ্জাবোধ করছি। কে না চায় তার ইনস্টগ্রামে সবসময় মজার কিছু থাকুক। তবে যাই বলুন, ঠিক আছি তা অভিনয় করাতে আমার ভালোই হয়েছে। তাই আজ এই পোস্টটি করেছি।’
২০০৮ সালে বিষণ্নতা ও অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ব্রিটনি। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে আদালতের আদেশে ব্রিটনির বাবা জিমিকে এই গায়িকার সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়। প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তার বাবা। ব্রিটনির দাবি, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খেতে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে ও আবার সন্তান নিতেও তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এই কনজারভেটরশিপ তার ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি করছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষমা চাইলেন ব্রিটনি

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। এই গায়িকার ব্যক্তিগত ও আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন তার বাবা জিমি। কিন্তু গত বুধবার (২৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে ব্রিটনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি চান তিনি। এরপর শুক্রবার ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় এই গায়িকা। তিনি লিখেছেন, ‘বিষয়গুলো সকলের সামনে আনতে চাইছি কারণ আমি চাই না সবাই মনে করুন, আমার সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। কারণ তা ঘটছে না। যদি এই সপ্তাহে আমাকে নিয়ে সংবাদপত্রে কিছু পড়ে থাকেন তাহলে সেটি অবশ্যই বুঝতে পারবেন। গত দুই বছর ধরে সবকিছু ঠিকঠাক আছে এটি ভান করে থাকার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি সম্মানের জন্য এটি করেছি এবং আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা বলতে লজ্জাবোধ করছি। কে না চায় তার ইনস্টগ্রামে সবসময় মজার কিছু থাকুক। তবে যাই বলুন, ঠিক আছি তা অভিনয় করাতে আমার ভালোই হয়েছে। তাই আজ এই পোস্টটি করেছি।’
২০০৮ সালে বিষণ্নতা ও অবসাদের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ব্রিটনি। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটরশিপ আইনের অধীনে আদালতের আদেশে ব্রিটনির বাবা জিমিকে এই গায়িকার সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়। প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তার বাবা। ব্রিটনির দাবি, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খেতে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে ও আবার সন্তান নিতেও তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এই কনজারভেটরশিপ তার ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি করছে।