ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ক্ষমতা দখলকারীদের অধীনে আর কোনো জালিয়াতির নির্বাচন করতে দেবো না

  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জালিয়াতির নির্বাচন করে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের অধীনে এই দেশে আর কোনো জালিয়াতির নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছে ১২ দলীয় জোট। জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীতে পদযাত্রা শুরুর আগে তারা এই মন্তব্য করেন। সরকারের দমন-পীড়ন, গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই পদযাত্রা করেন তারা। ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। পদযাত্রাটি বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন রাস্তা থেকে শুরু হয়ে আজাদ প্রোডাক্টসের গলি দিয়ে কালভার্ট রোড হয়ে আবার বিজয়নগর এসে শেষ হয়।
জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, এনডিপির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন এবং বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবীর পিন্টু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।
পদযাত্রায় জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির সৈয়দ রওনক ইব্রাহিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবসহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃরা উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘প্রশাসন ও পুলিশবাহিনী দেশের উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ, মিছিল মিটিং করতে দিচ্ছে না। এ অবস্থায় দেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না । এ থেকে উত্তরণে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের পতনের জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
অন্য বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ গ্যাস চাল ডাল তেল আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দেশের সাধারণ মানুষকে দিশেহারা করে তুলেছে। ভোটারবিহীন সরকার বিদেশি ঋণের টাকায় মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন দেখিয়ে ক্ষুধার্ত জনগণকে উন্নয়নের নামে উপহাস করছে। ঋণের টাকায় অবৈধ সরকারের সঙ্গে থাকা লুটেরা সহযোগীরা ঘি খাচ্ছে, বিদেশে টাকা পাচার করছে, বেগমপল্লি বানাচ্ছে আর সরকারের অপকর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতারা জেলজুলুম গুম খুনের শিকার হচ্ছে। তারা আরও বলেন, পাগলেও বিশ্বাস করবে না, এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই কারণে ক্ষমতা ছাড়বে না নিয়ত করে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশে বাধা দিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনকারী ১৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে ভরে রেখেছে এই অবৈধ সরকার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষমতা দখলকারীদের অধীনে আর কোনো জালিয়াতির নির্বাচন করতে দেবো না

আপডেট সময় : ১২:৩৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জালিয়াতির নির্বাচন করে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের অধীনে এই দেশে আর কোনো জালিয়াতির নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছে ১২ দলীয় জোট। জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
গতকাল শনিবার রাজধানীতে পদযাত্রা শুরুর আগে তারা এই মন্তব্য করেন। সরকারের দমন-পীড়ন, গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই পদযাত্রা করেন তারা। ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। পদযাত্রাটি বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন রাস্তা থেকে শুরু হয়ে আজাদ প্রোডাক্টসের গলি দিয়ে কালভার্ট রোড হয়ে আবার বিজয়নগর এসে শেষ হয়।
জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, এনডিপির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন এবং বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবীর পিন্টু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।
পদযাত্রায় জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির সৈয়দ রওনক ইব্রাহিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবসহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃরা উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘প্রশাসন ও পুলিশবাহিনী দেশের উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ, মিছিল মিটিং করতে দিচ্ছে না। এ অবস্থায় দেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না । এ থেকে উত্তরণে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের পতনের জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
অন্য বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ গ্যাস চাল ডাল তেল আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দেশের সাধারণ মানুষকে দিশেহারা করে তুলেছে। ভোটারবিহীন সরকার বিদেশি ঋণের টাকায় মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন দেখিয়ে ক্ষুধার্ত জনগণকে উন্নয়নের নামে উপহাস করছে। ঋণের টাকায় অবৈধ সরকারের সঙ্গে থাকা লুটেরা সহযোগীরা ঘি খাচ্ছে, বিদেশে টাকা পাচার করছে, বেগমপল্লি বানাচ্ছে আর সরকারের অপকর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতারা জেলজুলুম গুম খুনের শিকার হচ্ছে। তারা আরও বলেন, পাগলেও বিশ্বাস করবে না, এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই কারণে ক্ষমতা ছাড়বে না নিয়ত করে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশে বাধা দিচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনকারী ১৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে ভরে রেখেছে এই অবৈধ সরকার।