ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ক্ষমতা ছাড়ার পর প্রথম বক্তৃতায় ট্রাম্পকে আক্রমণ বাইডেনের

  • আপডেট সময় : ০৫:২১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: মেয়াদ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার ছাড়ার পর প্রথম বক্তৃতায় ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কল্যাণ নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন।

শিকাগোতে এক সম্মেলনে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ‘কুড়াল চালিয়েছে’।

ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা খাত জালিয়াতিতে ভরে গেছে; তাই তারা এর সংস্কার ও এই খাতে সরকারের ব্যয় কমিয়ে আনতে চাইছেন।

ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমাতে ট্রাম্প যে দপ্তর বানিয়েছেন, মাস্ক সেই দপ্তরের নেতৃত্বে আছেন। ট্রাম্পের প্রশাসন সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বছরে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সংস্থার কর্মী কমিয়ে আনতে চাইছে, বলেছে বিবিসি।

বাইডেন তার মঙ্গলবারের (১৫ এপ্রিল) বক্তৃতায় সরাসরি ট্রাম্পের নাম না নিলেও বলেছেন, একশরও কম দিনের মধ্যে নতুন প্রশাসন এত ক্ষতি, এত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো।

সামাজিক নিরাপত্তাকে ‘পবিত্র অঙ্গীকার’ অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণের জীবনে এই সামাজিক নিরাপত্তা যে কতখানি গুরুত্ব বহন করে তা আমরা জানি।

শিকাগোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় সাবেক এ প্রেসিডেন্ট তার হোয়াইট হাউজ ত্যাগ কিংবা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কিছু বলেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থা (এসএসএ) অবসরপ্রাপ্ত এবং যারা প্রতিবন্ধিতার কারণে কাজ করতে পারে না তাদেরকে ভাতা দেয়। এই ভাতার আওতায় আছে প্রায় ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিনি, যাদের বেশিরভাগই বৃদ্ধ।

ট্রাম্প প্রশাসন সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যাপক কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে বলে ডেমোক্র্যাট রাজনীতিকরা বারবারই অভিযোগ করে আসছেন। ইলন মাস্ক নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) কর্মকর্তারা ফেব্রুয়ারি থেকেই এসএসএ-তে ছাঁটাই চালাচ্ছেন, তাদের লক্ষ্য সংস্থার ৭ হাজার কর্মীর চাকরি খাওয়া। মাস্ক এই সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে ‘সর্বকালের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি’ অ্যাখ্যা দিয়ে আসছেন। ট্রাম্পও আগে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে জালিয়াতি এবং এখানকার অর্থ অবৈধ অভিবাসীরাও পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। যদিও এখন বলছেন, তিনি উপকারভোগীর সংখ্যায় বড় আকারের কাঁচি চালাবেন না।

মঙ্গলবার তিনি অবৈধ অভিবাসী ও ‘অন্যান্য অযোগ্য ব্যক্তিদের’ সামাজিক নিরাপত্তার অর্থ পাওয়া রোধে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরও করেছেন। শিকাগোতে বাইডেনের বক্তৃতার আগে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেছেন, আইন মেনে চলা, করদাতা মার্কিন নাগরিক ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সুবিধা সুরক্ষায় প্রেসিডেন্ট নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি সবসময় এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

পরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এসএসএ বাইডেনের শিকাগোর বক্তৃতাকে ‘মিথ্যাচার’ অ্যাখ্যা দিয়েছে। এএসএ এখন ট্রাম্পের নিয়োগ দেওয়া এক কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে।
প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর থেকে বাইডেনকে এতদিন চুপচাপই দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে তিনি লস এঞ্জেলেসভিত্তিক ট্যালেন্ট সংস্থা ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সির (সিএএ) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ সংস্থাটিই তার প্রতিনিধিত্ব করেছিল।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষমতা ছাড়ার পর প্রথম বক্তৃতায় ট্রাম্পকে আক্রমণ বাইডেনের

আপডেট সময় : ০৫:২১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: মেয়াদ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার ছাড়ার পর প্রথম বক্তৃতায় ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কল্যাণ নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন।

শিকাগোতে এক সম্মেলনে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ‘কুড়াল চালিয়েছে’।

ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা খাত জালিয়াতিতে ভরে গেছে; তাই তারা এর সংস্কার ও এই খাতে সরকারের ব্যয় কমিয়ে আনতে চাইছেন।

ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমাতে ট্রাম্প যে দপ্তর বানিয়েছেন, মাস্ক সেই দপ্তরের নেতৃত্বে আছেন। ট্রাম্পের প্রশাসন সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বছরে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সংস্থার কর্মী কমিয়ে আনতে চাইছে, বলেছে বিবিসি।

বাইডেন তার মঙ্গলবারের (১৫ এপ্রিল) বক্তৃতায় সরাসরি ট্রাম্পের নাম না নিলেও বলেছেন, একশরও কম দিনের মধ্যে নতুন প্রশাসন এত ক্ষতি, এত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো।

সামাজিক নিরাপত্তাকে ‘পবিত্র অঙ্গীকার’ অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সাধারণের জীবনে এই সামাজিক নিরাপত্তা যে কতখানি গুরুত্ব বহন করে তা আমরা জানি।

শিকাগোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় সাবেক এ প্রেসিডেন্ট তার হোয়াইট হাউজ ত্যাগ কিংবা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কিছু বলেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থা (এসএসএ) অবসরপ্রাপ্ত এবং যারা প্রতিবন্ধিতার কারণে কাজ করতে পারে না তাদেরকে ভাতা দেয়। এই ভাতার আওতায় আছে প্রায় ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিনি, যাদের বেশিরভাগই বৃদ্ধ।

ট্রাম্প প্রশাসন সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যাপক কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে বলে ডেমোক্র্যাট রাজনীতিকরা বারবারই অভিযোগ করে আসছেন। ইলন মাস্ক নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) কর্মকর্তারা ফেব্রুয়ারি থেকেই এসএসএ-তে ছাঁটাই চালাচ্ছেন, তাদের লক্ষ্য সংস্থার ৭ হাজার কর্মীর চাকরি খাওয়া। মাস্ক এই সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে ‘সর্বকালের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি’ অ্যাখ্যা দিয়ে আসছেন। ট্রাম্পও আগে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে জালিয়াতি এবং এখানকার অর্থ অবৈধ অভিবাসীরাও পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। যদিও এখন বলছেন, তিনি উপকারভোগীর সংখ্যায় বড় আকারের কাঁচি চালাবেন না।

মঙ্গলবার তিনি অবৈধ অভিবাসী ও ‘অন্যান্য অযোগ্য ব্যক্তিদের’ সামাজিক নিরাপত্তার অর্থ পাওয়া রোধে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরও করেছেন। শিকাগোতে বাইডেনের বক্তৃতার আগে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেছেন, আইন মেনে চলা, করদাতা মার্কিন নাগরিক ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সুবিধা সুরক্ষায় প্রেসিডেন্ট নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি সবসময় এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

পরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এসএসএ বাইডেনের শিকাগোর বক্তৃতাকে ‘মিথ্যাচার’ অ্যাখ্যা দিয়েছে। এএসএ এখন ট্রাম্পের নিয়োগ দেওয়া এক কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে।
প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর থেকে বাইডেনকে এতদিন চুপচাপই দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে তিনি লস এঞ্জেলেসভিত্তিক ট্যালেন্ট সংস্থা ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সির (সিএএ) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ সংস্থাটিই তার প্রতিনিধিত্ব করেছিল।