ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ক্ষমতাসীন আলীগে নির্বাচনী আমেজ

  • আপডেট সময় : ১২:২৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

দেশের খবর ডেস্ক : তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে চলছে নির্বাচনী আমেজ। যারা মনোনয়ন নিয়েছেন, তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের খুশি বিরাজ করছে। এর ব্যাপকতা এতই- ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি। জানাচ্ছেন প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারাঃ
বরিশালের ২১ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বেড়েছে
বরিশাল সংবাদদাতা জানান, তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে চলছে নির্বাচনী আমেজে। যারা মনোনয়ন নিয়েছেন, তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের খুশি বিরাজ করছে। বরিশালে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হাঁক-ডাক নগরের কোণায় কোণায় শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনী আমেজ এতটাই প্রকট, জানা গেছে এবার এ বিভাগের ২১ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ২৫৮ জন। অর্থাৎ প্রতি আসনে গড়ে ১২ জন করে মনোনয়ন নিয়েছেন। শুধু আসনের প্রতি হিসাব করলে, কিছু কিছু নির্বাচনী এলাকায় ১৫ বা তার অধিক প্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এবারই প্রথম বরিশালে নির্বাচন করতে চাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা এত বেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্ধ, খোঁড়া যাকেই মনোনয়ন দেবে তাকেই নির্বাচিত করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর নির্বাচনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার আশা বেড়েছে। যে কারণেই বহু নেতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের টিকিট পেতে চাইছেন দলের কাছ থেকে। বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলের তৃণমূল পর্যায়ে সক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, যে শুধু কর্মী বা সমর্থক নয় প্রতিনিয়ত নেতাও তৈরি হচ্ছে। ফলে জাতীয় সংসদের মতো নির্বাচনের ভোটে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছুকদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২১টি আসনে বিপুল সংখ্যক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ হলেও এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই বরিশাল আওয়ামী লীগে। স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের দাবি, বিভাগে দলীয় শৃঙ্খলা থাকায় এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, আগামীর জন্য যা আশার আলো দেখাচ্ছে। দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই নেতাকর্মী ও সমর্থকরা কাজ করবে। তবে দীর্ঘসময় ধরে একাধিক জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা সাংবাদিক ও লেখক আনিসুর রহমান স্বপন মনে করেন, একটি আসন থেকে ১২ থেকে ১৫ জন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার বিষয়টি সাংগঠনিক দুর্বলতার অংশ। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নেতাদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে, যাকে আভ্যন্তরীণ বিরোধও বলা যায়। এর সাথে একাদশ সংসদের সদস্যরাও জড়িয়ে পড়েছেন। তা না হলে দ্বাদশ সংসদের এই নির্বাচনে এক দলেই এতো মনোনয়ন সংগ্রহের মতো বিষয় সৃষ্টি হতো না। এখানে বিভিন্ন ধরণের অবক্ষয় সৃষ্টি হতে পারে, গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত হওয়ার মতো বিষয়ও থাকতে পারে।
একরামের আসনে এমপি হতে চান ২ আওয়ামী লীগ নেতা
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তার আসনে নৌকা পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগের দুই নেতা। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। এদিকে সম্প্রতি সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নানা মন্তব্য ও বিতর্কিত কর্মকা-ে দলে বিভাজনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ‘রাজাকার ফ্যামিলির লোক’ বলে কটূক্তি করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান। পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজের ভাইসহ অনুসারীদের ভোটে জেতান।
২০২২ সালের ১০ মার্চ নিজের ফেসবুক লাইভে এসে একরামুল করিম চৌধুরী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আমি আপনাকে ঘৃণা জানাই। আপনি বিচার করতে জানেন না। নিজের ওয়াইফকে (স্ত্রী) যে ভাই (কাদের মির্জা) কটূক্তি করে। এসপি, ইউএনও, ওসিকে বলে কুলাঙ্গার’। এর আগে একই বছরের ২৭ জানুয়ারী রাতে নিজেকে ‘শেখ হাসিনার প্রতিনিধি’ দাবি করে ইউপি নির্বাচনে নৌকা ঠেকাতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর জনসভায় আনারসে প্রকাশ্য ভোট চান নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। ওই বছরের ১৫ এপ্রিল ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আরেক বিতর্কের সৃষ্টি করেন একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আপনারা যদি চান আমি আগামীতে নোয়াখালী ৪ ও ৫ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবো। শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। এ সময় তার অনুসারী নেতাকর্মীরা সবাই হাত তুলে সমর্থন দেন। এরআগে ২০২১ সালের ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি ও আমার ছেলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর রাজনীতিই করবো না। সেটা জেলা হোক আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হোক, কোথাও থাকবো না। পরে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি (শনিবার) নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের বাইরে নিজের অনুসারীদের নিয়ে আলাদা কার্যক্রম চালাচ্ছেন এ এমপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একরামুল করিম চৌধুরীর এ আসনে নৌকা চেয়ে দলের মনোনয়ন কিনেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সূবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও জয়বাংলা শ্লোগানের প্রবক্তা ড. বশির আহমেদসহ আরও কয়েকজন। অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, আমি দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করছি। একরাম চৌধুরীর নানা কর্মকা-ে দলে বিভক্তিসহ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। নেত্রী চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে শেষ বয়সে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, আমার চাচা প্রয়াত আবদুল মালেক উকিল দলের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নেত্রী আমাকে জেলা আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। দল যাকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করেছে আমি মেনে নিয়েছি। এখন সারাজীবনের ত্যাগের বিনিময়ে নৌকার মনোনয়নপত্র কিনেছি। আমার মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার অভিভাবক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চাইলে আমি এ আসনটি উপহার দিয়ে দলের জন্য কাজ করতে চাই।
নৌকায় এমপি হতে চান সিলেটের ১৭২ নেতা
সিলেট সংবাদদাতা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পুরাতনদের সঙ্গে ভাগ্য পরিক্ষায় অবতীর্ণ তৃণমূলের নেতারা। সিলেটের ১৯ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চার জেলার ১৭২ নেতা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর)। দলীয় সূত্র মতে, সিলেট বিভাগে আগ্রহীরা ১৭২টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন। প্রথম দিনে সিলেট বিভাগ থেকে ৫৫ জন, দ্বিতীয় দিনে ৬৩ জন, তৃতীয় দিনে ৩৪ জন এবং শেষ দিনে ২০ জন আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। সিলেট-১ আসনে (সিলেট সিটি এলাকা ও সদর উপজেলা) বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও এস ডি মতিউর রহমান নানু মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলার দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড.অরুপ রতন চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গণি, আনছার আলী, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, মো. নুরুল ইসলাম (নুর মিয়া) মনোনয়ন ফরম জমা দেন। সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা,ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ)বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএমএ-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, অ্যাডভোকেট মনির হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, ড. মিসবাউর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু, হুমায়ূন আহমদ, মো. মতিউর রহমান ও শামীম ইকবাল মনোনয়ন চেয়েছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (কয়েস চৌধুরী)। করোনায় তার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা নিয়ে ভোটে বিজয়ী হন। সিলেট-৪ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট- জৈন্তাপুর) বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, জেলার সদস্য গোলাপ মিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হেলাল ও গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন, অ্যাডভোকেট শাহজাহান চৌধুরী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে লিয়াকত আলী দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মামলার আসামি। সিলেট-৫ আসনে(কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন আগেই। এ আসনে মনোনয়ন চেয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. আহমদ আল কবীর, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশতাক আহমদ, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ, তাসলিমা খানম, মো. খসরুজ জামান ও সরওয়ার কবির। সিলেট-৬ আসনে
(গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির চৌধুরী শাফি, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুল ইউনুস জায়গীরদার, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন,আফসার খান সাদেক, মোহাম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী, জুলিয়ান চৌধুরী রাহী, সামছুল ইসলাম বাচ্চু, আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও মো. মোদাব্বির হোসেন মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আসনে মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ১৭ জন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে(দিরাই-শাল্লা) প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মিণী ড. জয়া সেন গুপ্তাসহ ১২ জন।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ চার জন। সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ১০ জন। সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ সাত প্রার্থী। মৌলভীবাজার-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনসহ চার জন। মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ চার জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নেছার আহমদসহ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন পাঁচ জন।
মৌলভীবাজার-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদসহ তিন জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ।
হবিগঞ্জ-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ গাজী (মিলাদ গাজী তিন জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খানসহ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ছয় জন।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ দুজন এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলীসহ ছয় জন দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষমতাসীন আলীগে নির্বাচনী আমেজ

আপডেট সময় : ১২:২৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

দেশের খবর ডেস্ক : তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে চলছে নির্বাচনী আমেজ। যারা মনোনয়ন নিয়েছেন, তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের খুশি বিরাজ করছে। এর ব্যাপকতা এতই- ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি। জানাচ্ছেন প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারাঃ
বরিশালের ২১ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বেড়েছে
বরিশাল সংবাদদাতা জানান, তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে চলছে নির্বাচনী আমেজে। যারা মনোনয়ন নিয়েছেন, তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের খুশি বিরাজ করছে। বরিশালে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হাঁক-ডাক নগরের কোণায় কোণায় শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনী আমেজ এতটাই প্রকট, জানা গেছে এবার এ বিভাগের ২১ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ২৫৮ জন। অর্থাৎ প্রতি আসনে গড়ে ১২ জন করে মনোনয়ন নিয়েছেন। শুধু আসনের প্রতি হিসাব করলে, কিছু কিছু নির্বাচনী এলাকায় ১৫ বা তার অধিক প্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এবারই প্রথম বরিশালে নির্বাচন করতে চাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা এত বেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্ধ, খোঁড়া যাকেই মনোনয়ন দেবে তাকেই নির্বাচিত করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর নির্বাচনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার আশা বেড়েছে। যে কারণেই বহু নেতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের টিকিট পেতে চাইছেন দলের কাছ থেকে। বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলের তৃণমূল পর্যায়ে সক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, যে শুধু কর্মী বা সমর্থক নয় প্রতিনিয়ত নেতাও তৈরি হচ্ছে। ফলে জাতীয় সংসদের মতো নির্বাচনের ভোটে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছুকদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২১টি আসনে বিপুল সংখ্যক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ হলেও এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই বরিশাল আওয়ামী লীগে। স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের দাবি, বিভাগে দলীয় শৃঙ্খলা থাকায় এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, আগামীর জন্য যা আশার আলো দেখাচ্ছে। দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই নেতাকর্মী ও সমর্থকরা কাজ করবে। তবে দীর্ঘসময় ধরে একাধিক জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা সাংবাদিক ও লেখক আনিসুর রহমান স্বপন মনে করেন, একটি আসন থেকে ১২ থেকে ১৫ জন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার বিষয়টি সাংগঠনিক দুর্বলতার অংশ। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নেতাদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে, যাকে আভ্যন্তরীণ বিরোধও বলা যায়। এর সাথে একাদশ সংসদের সদস্যরাও জড়িয়ে পড়েছেন। তা না হলে দ্বাদশ সংসদের এই নির্বাচনে এক দলেই এতো মনোনয়ন সংগ্রহের মতো বিষয় সৃষ্টি হতো না। এখানে বিভিন্ন ধরণের অবক্ষয় সৃষ্টি হতে পারে, গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত হওয়ার মতো বিষয়ও থাকতে পারে।
একরামের আসনে এমপি হতে চান ২ আওয়ামী লীগ নেতা
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তার আসনে নৌকা পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগের দুই নেতা। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। এদিকে সম্প্রতি সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নানা মন্তব্য ও বিতর্কিত কর্মকা-ে দলে বিভাজনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ‘রাজাকার ফ্যামিলির লোক’ বলে কটূক্তি করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান। পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজের ভাইসহ অনুসারীদের ভোটে জেতান।
২০২২ সালের ১০ মার্চ নিজের ফেসবুক লাইভে এসে একরামুল করিম চৌধুরী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আমি আপনাকে ঘৃণা জানাই। আপনি বিচার করতে জানেন না। নিজের ওয়াইফকে (স্ত্রী) যে ভাই (কাদের মির্জা) কটূক্তি করে। এসপি, ইউএনও, ওসিকে বলে কুলাঙ্গার’। এর আগে একই বছরের ২৭ জানুয়ারী রাতে নিজেকে ‘শেখ হাসিনার প্রতিনিধি’ দাবি করে ইউপি নির্বাচনে নৌকা ঠেকাতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর জনসভায় আনারসে প্রকাশ্য ভোট চান নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। ওই বছরের ১৫ এপ্রিল ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আরেক বিতর্কের সৃষ্টি করেন একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আপনারা যদি চান আমি আগামীতে নোয়াখালী ৪ ও ৫ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবো। শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। এ সময় তার অনুসারী নেতাকর্মীরা সবাই হাত তুলে সমর্থন দেন। এরআগে ২০২১ সালের ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি ও আমার ছেলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর রাজনীতিই করবো না। সেটা জেলা হোক আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হোক, কোথাও থাকবো না। পরে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি (শনিবার) নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের বাইরে নিজের অনুসারীদের নিয়ে আলাদা কার্যক্রম চালাচ্ছেন এ এমপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একরামুল করিম চৌধুরীর এ আসনে নৌকা চেয়ে দলের মনোনয়ন কিনেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সূবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও জয়বাংলা শ্লোগানের প্রবক্তা ড. বশির আহমেদসহ আরও কয়েকজন। অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, আমি দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করছি। একরাম চৌধুরীর নানা কর্মকা-ে দলে বিভক্তিসহ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। নেত্রী চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে শেষ বয়সে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, আমার চাচা প্রয়াত আবদুল মালেক উকিল দলের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নেত্রী আমাকে জেলা আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। দল যাকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করেছে আমি মেনে নিয়েছি। এখন সারাজীবনের ত্যাগের বিনিময়ে নৌকার মনোনয়নপত্র কিনেছি। আমার মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার অভিভাবক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চাইলে আমি এ আসনটি উপহার দিয়ে দলের জন্য কাজ করতে চাই।
নৌকায় এমপি হতে চান সিলেটের ১৭২ নেতা
সিলেট সংবাদদাতা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পুরাতনদের সঙ্গে ভাগ্য পরিক্ষায় অবতীর্ণ তৃণমূলের নেতারা। সিলেটের ১৯ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চার জেলার ১৭২ নেতা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর)। দলীয় সূত্র মতে, সিলেট বিভাগে আগ্রহীরা ১৭২টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন। প্রথম দিনে সিলেট বিভাগ থেকে ৫৫ জন, দ্বিতীয় দিনে ৬৩ জন, তৃতীয় দিনে ৩৪ জন এবং শেষ দিনে ২০ জন আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। সিলেট-১ আসনে (সিলেট সিটি এলাকা ও সদর উপজেলা) বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও এস ডি মতিউর রহমান নানু মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলার দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড.অরুপ রতন চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গণি, আনছার আলী, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, মো. নুরুল ইসলাম (নুর মিয়া) মনোনয়ন ফরম জমা দেন। সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা,ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ)বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএমএ-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, অ্যাডভোকেট মনির হোসাইন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, ড. মিসবাউর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু, হুমায়ূন আহমদ, মো. মতিউর রহমান ও শামীম ইকবাল মনোনয়ন চেয়েছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (কয়েস চৌধুরী)। করোনায় তার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা নিয়ে ভোটে বিজয়ী হন। সিলেট-৪ আসনে (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট- জৈন্তাপুর) বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, জেলার সদস্য গোলাপ মিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হেলাল ও গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন, অ্যাডভোকেট শাহজাহান চৌধুরী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে লিয়াকত আলী দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মামলার আসামি। সিলেট-৫ আসনে(কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন আগেই। এ আসনে মনোনয়ন চেয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. আহমদ আল কবীর, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশতাক আহমদ, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ, তাসলিমা খানম, মো. খসরুজ জামান ও সরওয়ার কবির। সিলেট-৬ আসনে
(গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির চৌধুরী শাফি, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুল ইউনুস জায়গীরদার, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন,আফসার খান সাদেক, মোহাম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী, জুলিয়ান চৌধুরী রাহী, সামছুল ইসলাম বাচ্চু, আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও মো. মোদাব্বির হোসেন মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আসনে মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ১৭ জন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে(দিরাই-শাল্লা) প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহধর্মিণী ড. জয়া সেন গুপ্তাসহ ১২ জন।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ চার জন। সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ১০ জন। সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ সাত প্রার্থী। মৌলভীবাজার-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনসহ চার জন। মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ চার জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নেছার আহমদসহ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন পাঁচ জন।
মৌলভীবাজার-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদসহ তিন জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ।
হবিগঞ্জ-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ গাজী (মিলাদ গাজী তিন জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খানসহ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ছয় জন।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ দুজন এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য, বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলীসহ ছয় জন দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।