ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

ক্লু-লেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করল র‌্যাব

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে বন্ধুকে হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়। বিভিন্ন অপরাধমূলক সিরিয়াল দেখে অভিযুক্তরা পানির ড্রামে মরদেহটি গুম করে রাখা হয়েছিল। ঘটনার পর গোয়েন্দা নজরদারি ও মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে র‌্যাব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
২৮ আগস্ট ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার একটি পাঁচতলা ভবনের গোসলখানা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১৪ আগস্ট থেকে নিহত আনোয়ারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ক্লু-লেস এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে মঙ্গলবার ভোরে মানিকগঞ্জ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- সাব্বির হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও সুরুজ আলী।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক আব্দুল মোত্তাকীম এসব তথ্য জানান। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন সাব্বির হোসেন ও তার স্ত্রী। সেখানেই তারা একটি বাসায় থাকতেন। সেই বাড়িতেই সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতেন সাব্বিরের বন্ধু আনোয়ার হোসেন। বসবাসের সূত্র ধরে আনোয়ারের সঙ্গে সাব্বিরের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এমন সন্দেহ করেন সাব্বির। পরে আনোয়ারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। বন্ধুদের সহযোগিতায় শ্বাসরোধে হত্যার পর আনোয়ারের মরদেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমের ড্রামে রেখে দেন। এরপর আশুলিয়া থেকে পালিয়া আত্মগোপনে চলে যান।’
লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকীম বলেন, ‘বিদেশি অপরাধমূলক সিরিয়াল দেখে তারা মরদেহ গুমের ধারণা নেয়। এরপর তা গুম করা হয়। তবে মরদেহ পচে গন্ধ বের হওয়ার খবরে পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে তা উদ্ধার করে।’ কীভাবে আসামিদের শনাক্ত করা হলো জানতে চাইলে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গোয়েন্দা নজরদারি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে র‌্যাব আসামিদের শনাক্ত করে। পরবর্তী সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা র‌্যাবের কাছে হত্যাকা-ের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্লু-লেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করল র‌্যাব

আপডেট সময় : ০১:৪৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১


নিজস্ব প্রতিবেদক : স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে বন্ধুকে হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়। বিভিন্ন অপরাধমূলক সিরিয়াল দেখে অভিযুক্তরা পানির ড্রামে মরদেহটি গুম করে রাখা হয়েছিল। ঘটনার পর গোয়েন্দা নজরদারি ও মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে র‌্যাব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
২৮ আগস্ট ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার একটি পাঁচতলা ভবনের গোসলখানা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১৪ আগস্ট থেকে নিহত আনোয়ারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ক্লু-লেস এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে মঙ্গলবার ভোরে মানিকগঞ্জ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- সাব্বির হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও সুরুজ আলী।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক আব্দুল মোত্তাকীম এসব তথ্য জানান। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন সাব্বির হোসেন ও তার স্ত্রী। সেখানেই তারা একটি বাসায় থাকতেন। সেই বাড়িতেই সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতেন সাব্বিরের বন্ধু আনোয়ার হোসেন। বসবাসের সূত্র ধরে আনোয়ারের সঙ্গে সাব্বিরের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এমন সন্দেহ করেন সাব্বির। পরে আনোয়ারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। বন্ধুদের সহযোগিতায় শ্বাসরোধে হত্যার পর আনোয়ারের মরদেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমের ড্রামে রেখে দেন। এরপর আশুলিয়া থেকে পালিয়া আত্মগোপনে চলে যান।’
লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকীম বলেন, ‘বিদেশি অপরাধমূলক সিরিয়াল দেখে তারা মরদেহ গুমের ধারণা নেয়। এরপর তা গুম করা হয়। তবে মরদেহ পচে গন্ধ বের হওয়ার খবরে পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে তা উদ্ধার করে।’ কীভাবে আসামিদের শনাক্ত করা হলো জানতে চাইলে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গোয়েন্দা নজরদারি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে র‌্যাব আসামিদের শনাক্ত করে। পরবর্তী সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা র‌্যাবের কাছে হত্যাকা-ের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন।’