ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

ক্লাসে ফিরেছে ঘুমধুম-তুমব্রুর ৫ স্কুলের শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার সংবাদদাতা : ক্লাসে ফিরেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ৫ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে এ স্কুলগুলোতে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় যথারীতি শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার লাগোয়া ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশফাঁড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। কচি-কাচা শিক্ষার্থীরা নিজ পাঠশালায় ব্যস্ত সময় পার করে। শিক্ষকরাও পাঠ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। সীমান্তের কাছাকাছি ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ হোসাইন বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অন্যান্য বিদ্যালয়ের মতো আমরাও আমাদের ভাজাবনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে যথারীতি খুলেছি। ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেছে। তাদের চোখে-মুখে আনন্দ-উচ্ছাস দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দঘন মুহূর্ত লক্ষ্য করা গেছে। তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, শিশু শিক্ষার্থী আবারও প্রাণের পরিবেশে ফিরে এসে উৎফুল্ল বেশ। আর যেন সংঘাত না হয়, এটাই সবার কামনা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো। সব ঠিকঠাক আছে, তাই বিদ্যালয়গুলো জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় খুলে দেওয়া হয়েছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্তের মানুষ অন্যত্র সরে গেলেও তারা এখন বাড়িঘরে ফিরছে, কাজের লোক কাজে যোগদান করছে। বিদ্যালয়গুলোও খুলেছে। প্রসঙ্গত: চলতি মাসের ৫ তারিখ জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছিল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্লাসে ফিরেছে ঘুমধুম-তুমব্রুর ৫ স্কুলের শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ১২:১৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কক্সবাজার সংবাদদাতা : ক্লাসে ফিরেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ৫ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে এ স্কুলগুলোতে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় যথারীতি শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার লাগোয়া ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশফাঁড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। কচি-কাচা শিক্ষার্থীরা নিজ পাঠশালায় ব্যস্ত সময় পার করে। শিক্ষকরাও পাঠ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। সীমান্তের কাছাকাছি ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ হোসাইন বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অন্যান্য বিদ্যালয়ের মতো আমরাও আমাদের ভাজাবনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে যথারীতি খুলেছি। ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেছে। তাদের চোখে-মুখে আনন্দ-উচ্ছাস দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দঘন মুহূর্ত লক্ষ্য করা গেছে। তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, শিশু শিক্ষার্থী আবারও প্রাণের পরিবেশে ফিরে এসে উৎফুল্ল বেশ। আর যেন সংঘাত না হয়, এটাই সবার কামনা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো। সব ঠিকঠাক আছে, তাই বিদ্যালয়গুলো জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় খুলে দেওয়া হয়েছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্তের মানুষ অন্যত্র সরে গেলেও তারা এখন বাড়িঘরে ফিরছে, কাজের লোক কাজে যোগদান করছে। বিদ্যালয়গুলোও খুলেছে। প্রসঙ্গত: চলতি মাসের ৫ তারিখ জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছিল।