নিজস্ব প্রতিবেদক : নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের তিন দিন পর ওই এলাকায় খুলেছে দোকানপাট। এ অবস্থায় রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের দোকানিদের ফুটপাত দখল না করা ও ক্রেতাদের হয়রানি না করার কড়া নির্দেশনা দিয়েছে মার্কেট মালিক সমিতি। নির্দেশনা না মানলে জরিমানা এমন কি দোকান সিলগালা করে দেওয়া হবে বলে সর্তক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেট ঘুরে দোকানিদের এমন নির্দেশনা দিতে দেখা যায় মালিক সমিতিকে।
নিউমার্কেট এলাকায় বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ফুটপাতেও দোকান বসিয়ে রাখা হয় নিয়মিতই। এতে ক্রেতাদের চলাচলে অসুবিধা এবং দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হলেও আবারও আগের অবস্থায় ফিলে যায় তা। এ অবস্থায় গাউছিয়া মার্কেটের সামনে ফুটপাত দখল না করতে দোকানিদের কড়া নির্দেশ দিল মালিক সমিতি।
গাউছিয়া মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি বাবু দোকানিদের বলেন, ‘আপনাদের নামে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমরা এমন কোথাও শুনেছি আপনাদের কাছে মার্কেটের ফুটপাত ভাড়া দিয়ে আমরা টাকা তুলি। কিন্তু এসব মিথ্যা অভিযোগ যেন আপনাদের কারণে আমাদের না শুনতে হয়। আজ থেকে সাটারের বাইরে কোনো দোকানের মালামাল সাজানো থাকবে না। যদি সাজানো থাকে সে ক্ষেত্রে তাকে জরিমানা করা হবে অথবা দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে। দোকানের বাইরে পণ্য সাজানো থাকলে চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। সেখানে জনজট তৈরি হয়। আর এই সুযোগে পকেটমার চক্ররা সক্রিয়ভাবে কাজ করে।
দোকানিদের নির্দেশনা দিয়ে বাবু বলেন, ভেজাল পণ্য বিক্রি ও কাউকে হয়রানি করা যাবে না। কাস্টমারদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। দরদামের পর কেউ পণ্য নিতে না চাইলে তাকে হয়রানি কিংবা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করা যাবে না। এসব পরামর্শের খেলাপ করলে দোকান সিলগালা এবং জরিমানা করা হবে।
সোমবার রাতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে হোটেল কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিত-া হলে এক পর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো নিউমার্কেট এলাকা। মঙ্গলবার দিনভর চলে সংঘর্ষ। কয়েক দফা দাবি নিয়ে বুধবার সড়কে নামেন শিক্ষার্থীরা।
এরইমধ্যে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি মার্কেট ও দোকানে সিসিটিভি স্থাপন, প্রতিটি মার্কেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য আচরণ বিধি প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, ফুটপাত দখলমুক্ত, অবৈধ কার পার্কিং উচ্ছেদ ও চাঁদাবাজি বন্ধ, ক্রেতা হয়রানি, নারীদের যৌন হয়রানি বন্ধে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠনসহ একগুচ্ছ দাবি জানান। এ অবস্থায় বুধরাত রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয়, যাতে দোকান খোলার বিষয়ে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। এরপরই গাউছিয়া মার্কেটে দোকানিদের নির্দেশনা দিতে গেল মালিক সমিতিকে।
ক্রৈতাদের হয়রানি করলে জরিমানা ও দোকান সিলগালা : মালিক সমিতি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ