ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ক্রেতা সংকটে ৭৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান

  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ফের ক্রেতা সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে টানা দরপতনের সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। একই সঙ্গে প্রতিদিন নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনি¤œ দাম) এসে আটকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৭৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোরে এসে ঠেকেছে। ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববার প্রধান শেয়ারবাজর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এদিন ডিএসইতে দাম কমে নতুন করে ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে আরও ২৫ কোম্পানির শেয়ার। এতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়। যা লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭৪ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইসে আটকে যাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। প্রতিদিন দিনের সর্বনি¤œ দামে বা ফ্লোর প্রাইসে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ আসছে। বিপরীতে শূন্য পড়ে থাকছে ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে যারা দিনের সর্বনি¤œ দামে বিক্রির চেষ্টা করছেন তাদের সিংহভাগ ব্যর্থ হচ্ছেন। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় লেনদেনের গতিও কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
অপরদিকে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে মাত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ২১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম কমার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৫টির শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ কমে ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। এতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফ্লোরে আটকানোর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩৪টি। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আরডি ফুড, ওরিয়ন ফার্মা, এডিএন টেলিকম, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস, ইস্টার্ন হাউজিং এবং আমরা নেটওয়ার্ক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মমতা ব্যানার্জীকে গ্রেফতার করা উচিত: আসামের মুখ্যমন্ত্রী

ক্রেতা সংকটে ৭৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় : ০২:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ফের ক্রেতা সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে টানা দরপতনের সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। একই সঙ্গে প্রতিদিন নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনি¤œ দাম) এসে আটকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ৭৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোরে এসে ঠেকেছে। ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববার প্রধান শেয়ারবাজর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এদিন ডিএসইতে দাম কমে নতুন করে ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে আরও ২৫ কোম্পানির শেয়ার। এতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়। যা লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭৪ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইসে আটকে যাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। প্রতিদিন দিনের সর্বনি¤œ দামে বা ফ্লোর প্রাইসে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ আসছে। বিপরীতে শূন্য পড়ে থাকছে ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে যারা দিনের সর্বনি¤œ দামে বিক্রির চেষ্টা করছেন তাদের সিংহভাগ ব্যর্থ হচ্ছেন। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় লেনদেনের গতিও কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
অপরদিকে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে মাত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ২১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম কমার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৫টির শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ কমে ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। এতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফ্লোরে আটকানোর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩৪টি। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আরডি ফুড, ওরিয়ন ফার্মা, এডিএন টেলিকম, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস, ইস্টার্ন হাউজিং এবং আমরা নেটওয়ার্ক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।