ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

ক্রিকেট ছাড়লেন বাংলাদেশে খেলে যাওয়া ট্রেগো

  • আপডেট সময় : ১২:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : সমারসেটের গ্রেটদের একজন পিটার ট্রেগো, ইংলিশ ক্রিকেটে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার আলাদা পরিচয়ও আছে। খেলে গেছেন তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএলের প্রথম আসরে। সেই ট্রেগোর পথচলা থামছে এবার। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের শেষ বছর দুয়েক খেলেছেন তিনি নটিংহ্যামশায়ারে। ক্যারিয়ার শুরুর থিতু হওয়ার দিনগুলিতে মিডলসেক্স ও কেন্টের হয়েও খানিকটা দেখা গেছে তাকে। তবে পেশাদার ক্রিকেটে প্রায় ২২ বছরের পথচলার বেশিরভাগটা কাটিয়েছেন সমারসেটে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার শুরু ২০১১ সালে। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলেন ২০১১-১২ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। সেখানে দারুণ পারফর্ম করার পর ২০১২ বিপিএলে তাকে দলে নেয় সিলেট রয়্যালস। অলক কাপালী নেতৃত্বে টুর্নামেন্ট শুরু করা দলটি পরে অধিনায়কত্ব দেয় ট্রেগোকে। সেই আসরে সিলেটের হয়ে ৯ ইনিংসে ৩৮.৮৭ গড় ও ১১৪.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৩১১ রান করেন তিনি, উইকেট নেন ৬টি। মূলত তিনি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান, পাশাপাশি করতেন কার্যকর মিডিয়াস পেস বোলিং। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২২৩ ম্যাচে ১৫ সেঞ্চুরিতে রান ৯ হাজার ৬৪৪। ব্যাটিং গড় ৩২.৮০। উইকেট ৩৯৫টি।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২০৬ ম্যাচে ১০ সেঞ্চুরিতে রান ৫ হাজার ৫৭, গড় ৩১.৮০। উইকেটে ১৭৩টি। টি-টোয়েন্টিতে ২১১ ম্যাচে ১২৫.৭৮ স্ট্রাইক রেটে রান ৪ হাজার ১২৭। উইকেট ৭৮টি। তার ক্যারিয়ারের স্মরণীয় এক ইনিংস ২০০৯ সালে। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে শেষ দিনে ৪৭৬ রান তাড়ায় অবিশ্বাস্যভাবে জিতে যায় সমারসেট। ওপেনিংয়ে জো সেয়ার্স ১৫২ করার পর সাতে নেমে ট্রেগো করেন ৫৪ বলে সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে খেলে দারুণ সম্ভাবনাময় হিসেবে ১৯৯৯ সালে সমারসেটের হয়ে অভিষেক ট্রেগোর। কাউন্টিতে অভিষেক পরের বছর। তবে শুরুতে ভালো করতে পারেননি একটুও। হতাশায় এক পর্যায়ে ক্রিকেট ছেড়ে চেষ্টা করেন আধা-পেশাদার ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়ার। গোলকিপার হিসেবে নানা জায়গায় ট্রায়াল দেন। সেখানেও ব্যর্থ হয়ে আবার ফেরেন ক্রিকেটে। ২০০৬ সাল থেকে সমারসেটে শুরু হয় তার সাফল্যরাঙা অধ্যায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেও নানা কারণে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা হয়নি তার। তবে বিদায় বেলায় জানালেন তৃপ্তির কথাই। “(অবসর) যে কোনো ক্রীড়াবিদের জন্যই কঠিন বাস্তবতা। তবে এই ৪০ বছর বয়সে বলতে পারি, নিজের অর্জনে আমি গর্বিত। আরও গুরুত্বপূর্ণ, এই দীর্ঘ পথচলায় যত মানুষের সঙ্গ পেয়েছি। অসাধাণ সব মানুষে পরিপূর্ণ ক্রিকেট।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্রিকেট ছাড়লেন বাংলাদেশে খেলে যাওয়া ট্রেগো

আপডেট সময় : ১২:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : সমারসেটের গ্রেটদের একজন পিটার ট্রেগো, ইংলিশ ক্রিকেটে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার আলাদা পরিচয়ও আছে। খেলে গেছেন তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএলের প্রথম আসরে। সেই ট্রেগোর পথচলা থামছে এবার। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের শেষ বছর দুয়েক খেলেছেন তিনি নটিংহ্যামশায়ারে। ক্যারিয়ার শুরুর থিতু হওয়ার দিনগুলিতে মিডলসেক্স ও কেন্টের হয়েও খানিকটা দেখা গেছে তাকে। তবে পেশাদার ক্রিকেটে প্রায় ২২ বছরের পথচলার বেশিরভাগটা কাটিয়েছেন সমারসেটে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার শুরু ২০১১ সালে। আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলেন ২০১১-১২ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। সেখানে দারুণ পারফর্ম করার পর ২০১২ বিপিএলে তাকে দলে নেয় সিলেট রয়্যালস। অলক কাপালী নেতৃত্বে টুর্নামেন্ট শুরু করা দলটি পরে অধিনায়কত্ব দেয় ট্রেগোকে। সেই আসরে সিলেটের হয়ে ৯ ইনিংসে ৩৮.৮৭ গড় ও ১১৪.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৩১১ রান করেন তিনি, উইকেট নেন ৬টি। মূলত তিনি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান, পাশাপাশি করতেন কার্যকর মিডিয়াস পেস বোলিং। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২২৩ ম্যাচে ১৫ সেঞ্চুরিতে রান ৯ হাজার ৬৪৪। ব্যাটিং গড় ৩২.৮০। উইকেট ৩৯৫টি।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২০৬ ম্যাচে ১০ সেঞ্চুরিতে রান ৫ হাজার ৫৭, গড় ৩১.৮০। উইকেটে ১৭৩টি। টি-টোয়েন্টিতে ২১১ ম্যাচে ১২৫.৭৮ স্ট্রাইক রেটে রান ৪ হাজার ১২৭। উইকেট ৭৮টি। তার ক্যারিয়ারের স্মরণীয় এক ইনিংস ২০০৯ সালে। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে শেষ দিনে ৪৭৬ রান তাড়ায় অবিশ্বাস্যভাবে জিতে যায় সমারসেট। ওপেনিংয়ে জো সেয়ার্স ১৫২ করার পর সাতে নেমে ট্রেগো করেন ৫৪ বলে সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে খেলে দারুণ সম্ভাবনাময় হিসেবে ১৯৯৯ সালে সমারসেটের হয়ে অভিষেক ট্রেগোর। কাউন্টিতে অভিষেক পরের বছর। তবে শুরুতে ভালো করতে পারেননি একটুও। হতাশায় এক পর্যায়ে ক্রিকেট ছেড়ে চেষ্টা করেন আধা-পেশাদার ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়ার। গোলকিপার হিসেবে নানা জায়গায় ট্রায়াল দেন। সেখানেও ব্যর্থ হয়ে আবার ফেরেন ক্রিকেটে। ২০০৬ সাল থেকে সমারসেটে শুরু হয় তার সাফল্যরাঙা অধ্যায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করেও নানা কারণে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা হয়নি তার। তবে বিদায় বেলায় জানালেন তৃপ্তির কথাই। “(অবসর) যে কোনো ক্রীড়াবিদের জন্যই কঠিন বাস্তবতা। তবে এই ৪০ বছর বয়সে বলতে পারি, নিজের অর্জনে আমি গর্বিত। আরও গুরুত্বপূর্ণ, এই দীর্ঘ পথচলায় যত মানুষের সঙ্গ পেয়েছি। অসাধাণ সব মানুষে পরিপূর্ণ ক্রিকেট।”