নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনিভাবে বিচ্ছেদের আগেই নতুন করে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৮ এপ্রিল দিন রেখেছে আদালত।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমানকে জেরা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি বলেন, জেরার পর বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান ২৮ এপ্রিল আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
গত বছরের ২৪ জুন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মিজানুর রহমান খানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা জেরার মধ্য দিয়ে শেষ হল। এ মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। এদিন নাসির হোসেন ও তামিমা আদালতে হাজিরা দেন।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির বিয়ে করেন।
২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনি এই মামলাটি দায়ের করেন। সে বছর ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মিজানুর রহমান।
২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালত নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ওই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।
অন্যদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুটো আবেদনই আদালতে নাকচ হয়ে যায়। ফলে নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলা চলতে আইনি বাধা কাটে। সে বছর ২০ মার্চ বাদী রাকিবের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।