ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ক্রিকেটকে ভালবাসলে কি পেট ভরবে : ড্যারেন স্যামি

  • আপডেট সময় : ১০:৪২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বে দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে নিকোলাস পুরানরা যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় হতাশ এবং ক্ষুব্ধ স্যামি। দেশের ক্রিকেটের ক্রিকেটের বেহাল দশার জন্য ক্রিকেট কর্তাদেরই দায়ী করেছেন স্যামি। হতাশার সুরে স্যামির বক্তব্য, ক্রিকেটকে ভালবেসে পেট ভরানো যায় না। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে আমাদের ফল অত্যন্ত হতাশার। বেদনাদায়ক।’’ কেন এই অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ক্রিকেটের? স্যামি কারণ হিসাবে বলেছেন, ‘‘ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ় আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে না ক্রিকেটারদের। তাই সকলে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ খেলতে চলে যায়।’’ভারতীয় ক্রিটেক বোর্ডের উদাহরণ দিয়ে স্যামি বলেছেন, ‘‘বিসিসিআই অত্যন্ত শক্তিশালী ক্রীড়া সংস্থা। ওরা নিজেদের ক্রিকেটারদের বিদেশের লিগ খেলার অনুমতি দেয় না। বিসিসিআই ক্রিকেটারদের যথেষ্ট টাকা দেয় বলেই এমন বলতে পারে। ভারতীয় বোর্ডের চুক্তিতে লিস্ট ‘এ’র ক্রিকেটাররা বছরে ৭ কোটি টাকা পায়। সঙ্গে ম্যাচ ফি এবং টিভি স্বত্বের টাকাও পায়। সেখানে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এক জন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটার ভারতীয় মুদ্রায় বছরে ১.২ কোটি টাকা পায়।’’ তিনি আরও বলেছেন,‘‘রোজগার অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পার্থক্যটা অনেক। ছোট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর পক্ষে অত টাকা দেওয়া খুব কঠিন। এখনকার দিনে সব খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে হলে ভাল অর্থ দিতেই হবে।’’স্যামির যুক্তি, এক জন খেলোয়াড় খুব বেশি দিন সেরা ছন্দে থাকে না। সারা জীবনের নিরিখে সময়টা বেশ কম। অথচ তাদের আয়ের এটাই সেরা সময়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘সেই দিন আর নেই, যখন সকলে ভালবেসে ক্রিকেট খেলতেন। আয় প্রধান লক্ষ্য ছিল না। ভালবাসা দিয়ে বাজার থেকে মুদির দোকানের জিনিস কেনা যায় না।’’তাঁর মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেট কর্তাদের উচিত নিউজ়িল্যান্ডকে দেখে শেখায় সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও কী ভাবে খেলোয়া়দের আয় বৃদ্ধি করা যায়। স্যামি বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের জন্য সত্যিই কঠিন সময়। নিউজ়িল্যান্ড উদাহরণ হতে পারে। ওরা আইপিএলের সময় কোনও আন্তর্জাতিক খেলা রাখে না। নিউজ়িল্যান্ড পারলে আমাদের না পারার কোনও কারণ নেই। বোর্ড এবং ক্রিকেটাররা আলোচনা করেই এটা ঠিক করে নিতে পারে। উভয় পক্ষই পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকলে কিছু ত্যাগ করা যেতেই পারে। কিন্তু আমার প্রতি তোমার কোনও দায়বদ্ধতা না থাকলে, তুমি কিছু আশা করতে পার না।’’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্রিকেটকে ভালবাসলে কি পেট ভরবে : ড্যারেন স্যামি

আপডেট সময় : ১০:৪২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বে দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে নিকোলাস পুরানরা যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় হতাশ এবং ক্ষুব্ধ স্যামি। দেশের ক্রিকেটের ক্রিকেটের বেহাল দশার জন্য ক্রিকেট কর্তাদেরই দায়ী করেছেন স্যামি। হতাশার সুরে স্যামির বক্তব্য, ক্রিকেটকে ভালবেসে পেট ভরানো যায় না। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে আমাদের ফল অত্যন্ত হতাশার। বেদনাদায়ক।’’ কেন এই অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ক্রিকেটের? স্যামি কারণ হিসাবে বলেছেন, ‘‘ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ় আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে না ক্রিকেটারদের। তাই সকলে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ খেলতে চলে যায়।’’ভারতীয় ক্রিটেক বোর্ডের উদাহরণ দিয়ে স্যামি বলেছেন, ‘‘বিসিসিআই অত্যন্ত শক্তিশালী ক্রীড়া সংস্থা। ওরা নিজেদের ক্রিকেটারদের বিদেশের লিগ খেলার অনুমতি দেয় না। বিসিসিআই ক্রিকেটারদের যথেষ্ট টাকা দেয় বলেই এমন বলতে পারে। ভারতীয় বোর্ডের চুক্তিতে লিস্ট ‘এ’র ক্রিকেটাররা বছরে ৭ কোটি টাকা পায়। সঙ্গে ম্যাচ ফি এবং টিভি স্বত্বের টাকাও পায়। সেখানে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এক জন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটার ভারতীয় মুদ্রায় বছরে ১.২ কোটি টাকা পায়।’’ তিনি আরও বলেছেন,‘‘রোজগার অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পার্থক্যটা অনেক। ছোট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর পক্ষে অত টাকা দেওয়া খুব কঠিন। এখনকার দিনে সব খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে হলে ভাল অর্থ দিতেই হবে।’’স্যামির যুক্তি, এক জন খেলোয়াড় খুব বেশি দিন সেরা ছন্দে থাকে না। সারা জীবনের নিরিখে সময়টা বেশ কম। অথচ তাদের আয়ের এটাই সেরা সময়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘সেই দিন আর নেই, যখন সকলে ভালবেসে ক্রিকেট খেলতেন। আয় প্রধান লক্ষ্য ছিল না। ভালবাসা দিয়ে বাজার থেকে মুদির দোকানের জিনিস কেনা যায় না।’’তাঁর মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিকেট কর্তাদের উচিত নিউজ়িল্যান্ডকে দেখে শেখায় সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও কী ভাবে খেলোয়া়দের আয় বৃদ্ধি করা যায়। স্যামি বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের জন্য সত্যিই কঠিন সময়। নিউজ়িল্যান্ড উদাহরণ হতে পারে। ওরা আইপিএলের সময় কোনও আন্তর্জাতিক খেলা রাখে না। নিউজ়িল্যান্ড পারলে আমাদের না পারার কোনও কারণ নেই। বোর্ড এবং ক্রিকেটাররা আলোচনা করেই এটা ঠিক করে নিতে পারে। উভয় পক্ষই পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধ থাকলে কিছু ত্যাগ করা যেতেই পারে। কিন্তু আমার প্রতি তোমার কোনও দায়বদ্ধতা না থাকলে, তুমি কিছু আশা করতে পার না।’’