ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ক্রিকেটকে বিদায় বললেন নিউ জিল্যান্ডের হামিশ বেনেট

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ১৭ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন নিউ জিল্যান্ডের পেসার হামিশ বেনেট। ৩৫ বছর বয়সী পেসার এক ঘোষণায় বলেছেন, ২০২১-২২ মৌসুমই হতে যাচ্ছে তার শেষ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে ৩১ ম্যাচ খেলেছেন বেনেট। সবশেষ তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। একই দলের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় ২০১০ সালে। পরে ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদে খেলেন একমাত্র টেস্ট, যে ম্যাচে বর্তমান নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অভিষেক হয়েছিল। ২০১১ বিশ্বকাপে দলে ডাক পান বেনেট। কিন্তু কোমরের ইনজুরিতে ছিটকে যান এবং পরের বছর বড় অস্ত্রোপচার করান। নিউ জিল্যান্ড ক্যারিয়ারে ওই ইনজুরি বড় ছাপ ফেলেছিল, তবে কেন্টারবুরি ও ওয়েলিংটনের দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য ছিলেন। ২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগী হন তিনি।
২০০৫ সালে অভিষেকের পর থেকে ২৬৫ ঘরোয়া ম্যাচ খেলে বেনেট নিয়েছেন ৪৮৯ উইকেট। জিতেছেন ১২টি ট্রফি- পাঁচটি প্লাঙ্কেট শিল্ড, দুটি ফোর্ড ট্রফি, চারটি সুপার স্ম্যাশ। এছঅড়া ওয়েলিংটন ব্লেজেরে বোলিং কোচ হিসেবে মেয়েদের সুপার স্ম্যাশও জেতেন। বেনেট অবসরের ঘোষণায় ভলেছেন, ‘একটি ছোট ছেলে হয়ে টিমারুর নেটে যখন বল করতে শুরু করলাম, তখনও স্বপ্ন দেখিনি এমন ক্যারিয়ার উপভোগ করতে যাচ্ছি। ওল্ড বয়েস টিমারু ক্রিকেট ক্লাব, যার সঙ্গে আমার ক্রিকেট শুরু, টিমারু বয়েস হাই স্কুল, সাউথ কেন্টারবুরি ক্রিকেট, কেন্টারবুরি ক্রিকেট, ক্রিকেট ওয়েলিংটন ও নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট এবং অন্য সেরা ক্লাব যাদের সঙ্গে আমি বছরের পর বছর খেলেছি, তারা সবাই আমার ক্রিকেটের স্বপ্ন অর্জনে সহায়তা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দারুণ সব খেলোয়াড়, অধিনায়ক ও কোচদের সঙ্গে আমি খেলেছি এবং তাদের সঙ্গে কাজ করায় আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। বছরের পর বছর ধরে আমাকে সমর্থন দেওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। নিউ জিল্যান্ডের জন্য আমার পরিবার ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা ছিল সম্মানের। ওইসব স্মৃতি আর অভিজ্ঞতা হৃদয়ে ধারণ করে রাখার মতো এবং বাকি জীবন এই গল্পগুলো বলে যাব।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ক্রিকেটকে বিদায় বললেন নিউ জিল্যান্ডের হামিশ বেনেট

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ১৭ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন নিউ জিল্যান্ডের পেসার হামিশ বেনেট। ৩৫ বছর বয়সী পেসার এক ঘোষণায় বলেছেন, ২০২১-২২ মৌসুমই হতে যাচ্ছে তার শেষ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে ৩১ ম্যাচ খেলেছেন বেনেট। সবশেষ তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। একই দলের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় ২০১০ সালে। পরে ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদে খেলেন একমাত্র টেস্ট, যে ম্যাচে বর্তমান নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অভিষেক হয়েছিল। ২০১১ বিশ্বকাপে দলে ডাক পান বেনেট। কিন্তু কোমরের ইনজুরিতে ছিটকে যান এবং পরের বছর বড় অস্ত্রোপচার করান। নিউ জিল্যান্ড ক্যারিয়ারে ওই ইনজুরি বড় ছাপ ফেলেছিল, তবে কেন্টারবুরি ও ওয়েলিংটনের দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য ছিলেন। ২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগী হন তিনি।
২০০৫ সালে অভিষেকের পর থেকে ২৬৫ ঘরোয়া ম্যাচ খেলে বেনেট নিয়েছেন ৪৮৯ উইকেট। জিতেছেন ১২টি ট্রফি- পাঁচটি প্লাঙ্কেট শিল্ড, দুটি ফোর্ড ট্রফি, চারটি সুপার স্ম্যাশ। এছঅড়া ওয়েলিংটন ব্লেজেরে বোলিং কোচ হিসেবে মেয়েদের সুপার স্ম্যাশও জেতেন। বেনেট অবসরের ঘোষণায় ভলেছেন, ‘একটি ছোট ছেলে হয়ে টিমারুর নেটে যখন বল করতে শুরু করলাম, তখনও স্বপ্ন দেখিনি এমন ক্যারিয়ার উপভোগ করতে যাচ্ছি। ওল্ড বয়েস টিমারু ক্রিকেট ক্লাব, যার সঙ্গে আমার ক্রিকেট শুরু, টিমারু বয়েস হাই স্কুল, সাউথ কেন্টারবুরি ক্রিকেট, কেন্টারবুরি ক্রিকেট, ক্রিকেট ওয়েলিংটন ও নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট এবং অন্য সেরা ক্লাব যাদের সঙ্গে আমি বছরের পর বছর খেলেছি, তারা সবাই আমার ক্রিকেটের স্বপ্ন অর্জনে সহায়তা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দারুণ সব খেলোয়াড়, অধিনায়ক ও কোচদের সঙ্গে আমি খেলেছি এবং তাদের সঙ্গে কাজ করায় আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। বছরের পর বছর ধরে আমাকে সমর্থন দেওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। নিউ জিল্যান্ডের জন্য আমার পরিবার ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা ছিল সম্মানের। ওইসব স্মৃতি আর অভিজ্ঞতা হৃদয়ে ধারণ করে রাখার মতো এবং বাকি জীবন এই গল্পগুলো বলে যাব।’