ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

ক্যাম্পার ও ডকরেলের রেকর্ড জুটিতে আইরিশদের দুর্দান্ত জয়

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : চ্যালেঞ্জ ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রান তাড়ায় নিজেদের নতুন রেকর্ড গড়ার। সেই লক্ষ্যে ছুটবে কী, উল্টো হারের শঙ্কায় পড়ল আয়ারল্যান্ড। বিপদে পড়া দলকে পথে ফেরান কার্টিস ক্যাম্পার। দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে তোলেন ঝড়। জর্জ ডকরেলের সঙ্গে তার রেকর্ড গড়া জুটিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয়ের আনন্দে মাতে আইরিশরা। হোবার্টে বুধবার প্রাথমিক পর্বে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের জয় ৬ উইকেটে। প্রতিপক্ষের ১৭৬ রান তারা পেরিয়ে যায় ৬ বল বাকি থাকতে। টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে রান তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের সেরা জয় ছিল ২০১৪ সাল আসরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৪ রানের লক্ষ্যে জিতেছিল তারা ২ উইকেটে। সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার দিয়ে এবার অস্ট্রেলিয়া আসর শুরু করে আইরিশরা। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে তারা বাঁচিয়ে রাখল সুপার টুয়েলভে খেলার আশা।
আয়ারল্যান্ডের দুর্দান্ত এই জয়ের নায়ক ক্যাম্পার। দশম ওভারে ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে নিভতে বসা দলের জয়ের বাতি জ্বালিয়ে রাখেন তিনি। বল হাতে স্রেফ ৯ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর পাঁচে নেমে খেলেন ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর ম্যাচের সেরা তিনি ছাড়া আর কে! ক্যাম্পার এই ইনিংসের পথে গড়েন দারুণ এক কীর্তি; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার। বিশ্ব মঞ্চে আইরিশদের আগের সেরা ইনিংস ছিল পল স্টার্লিংয়ের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে হারানোর পথে ৬০ রান করেছিলেন এই ওপেনার। আয়ারল্যান্ডের এই জয়ে অবদান কম নয় ডকরেলের। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ২৭ বলে ৩৯ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন তিনি। ক্যাম্পারের সঙ্গে গড়েন ৫৭ বল স্থায়ী ১১৯ রানের অপরাজিত জুটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি পঞ্চম উইকেটে যা জুটির বিশ্ব রেকর্ড। এই দুজন স্পর্শ করেন ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গড়া পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিকের আগের সেরা। ম্যাচের প্রথম ভাগে আলো ছড়ান মাইকেল জোন্স। টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটিতে খেলেন ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৫ বলের ৮৬ রানের ইনিংস। এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে যা স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ। লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারে বেঁচে যান স্টার্লিং। জশ ডেভির বলে তার ক্যাচ মিড-অনে ফেলেন ক্যালাম ম্যাকলাউড। জীবন পেয়ে অবশ্য কিছুই করতে পারেননি স্টার্লিং।
পরপর দুই ওভারে অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও তাকে হারায় আইরিশরা। পয়েন্টে ধরা পড়েন বালবার্নি, কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে স্টার্লিংকে ফেরায় স্কটল্যান্ড। ভালো শুরু পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেননি লর্কান টাকার ও হ্যারি টেক্টর। এরপরই ক্যাম্পার ও ডকরেলের সেই জুটির পথচলা শুরু। শেষ ১০ ওভারে ১১২ রানের লক্ষ্যে শুরুতে দেখেশুনে খেলে এগোতে থাকেন তারা। নিজের জোনে পেলেই হাঁকান বাউন্ডারি, সঙ্গে প্রান্ত বদল করে বাড়ান রান। ক্রিস গ্রিভসকে ছক্কায় ওড়ান ডকরেল, পরের ওভারে ক্যাম্পার ছয় মারেন মার্ক ওয়াটকে। দুই জনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ওভার প্রতি দশের বেশি করে রান আসতে থাকে। ১৯তম ওভারে জশ ডেভিকে টানা তিন চার মেরে দলকে কাক্সিক্ষত ঠিকানায় পৌঁছে দেন ক্যাম্পার। দুর্দান্ত জয়ে উল্লাসে মাতে আইরিশরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা স্কটিশ শিবিরে শুরুতেই হানা দেয় আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে তার ফেরায় আগের ম্যাচ ফিফটি করা জর্জ মানজিকে। ধাক্কা সামলে উঠতে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন ম্যাথু ক্রস। ওই এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে দলটি। ক্রসের ৫ চারে ২৮ রানের ইনিংস থামান ক্যাম্পার। ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। এরপর রিচি বেরিংটন ও জোন্স ধরেন দলের হাল। তাদের জুটিতে আসতে থাকে দ্রুত রান। মন্থর শুরু করা জোন্স ফিফটি তুলে নেন ৩৮ বলে। অধিনায়কের সঙ্গে তার ৪৮ বল স্থায়ী ৭৭ রানের জুটি ভাঙেন ক্যাম্পারই। স্লোয়ার বলে কাভারে ধরা পড়েন ১ ছক্কা ৩ চারে ৩৭ রান করা বেরিংটন। ক্যাম্পারের বলে ৬৮ রানে জীবন পান জোন্স। ১৯তম ওভারে স্কটিশ ওপেনারকে থামেন জশ লিটলের বলে ক্যাচ দিয়ে। জোন্সের দারুণ ইনিংসটি আড়ালে পড়ে গেল ক্যাম্পারের বিস্ফোরক ইনিংসে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
স্কটল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৬/৫ (মানজি ১, জোন্স ৮৬, ক্রস ২৮, বেরিংটন ৩৭, লিস্ক ১৭, ম্যাকলাউড ০; লিটল ৪-০-৩০-১, অ্যাডায়ার ৪-০-২৩-১, ম্যাককার্থি ৪-০-৫৯-০, ডেলানি ৩-০-২৮-০, সিমি ২-০-১৬-০, ক্যাম্পার ২-০-৯-২, ডকরেল ১-০-৯-০) আয়ারল্যান্ড: ১৯ ওভারে ১৮০/৪ (স্টার্লিং ৮, বালবার্নি ১৪, টাকার ২০, টেক্টর ১৪, ক্যাম্পার ৭২, ডকরেল ৩৯*; ওয়াট ৪-০-৩৯-১, হুইল ৪-০-২৫-১, ডেভি ৪-০-৪৬-০, শারিফ ৩-০-৩২-১, গ্রিভস ২-০-১৮-০, লিস্ক ২-০-১৬-১)
ফল: আয়ারল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কার্টিস ক্যাম্পার

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যাম্পার ও ডকরেলের রেকর্ড জুটিতে আইরিশদের দুর্দান্ত জয়

আপডেট সময় : ০১:৫০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : চ্যালেঞ্জ ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রান তাড়ায় নিজেদের নতুন রেকর্ড গড়ার। সেই লক্ষ্যে ছুটবে কী, উল্টো হারের শঙ্কায় পড়ল আয়ারল্যান্ড। বিপদে পড়া দলকে পথে ফেরান কার্টিস ক্যাম্পার। দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে তোলেন ঝড়। জর্জ ডকরেলের সঙ্গে তার রেকর্ড গড়া জুটিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয়ের আনন্দে মাতে আইরিশরা। হোবার্টে বুধবার প্রাথমিক পর্বে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের জয় ৬ উইকেটে। প্রতিপক্ষের ১৭৬ রান তারা পেরিয়ে যায় ৬ বল বাকি থাকতে। টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরে রান তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের সেরা জয় ছিল ২০১৪ সাল আসরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৪ রানের লক্ষ্যে জিতেছিল তারা ২ উইকেটে। সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার দিয়ে এবার অস্ট্রেলিয়া আসর শুরু করে আইরিশরা। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে তারা বাঁচিয়ে রাখল সুপার টুয়েলভে খেলার আশা।
আয়ারল্যান্ডের দুর্দান্ত এই জয়ের নায়ক ক্যাম্পার। দশম ওভারে ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে নিভতে বসা দলের জয়ের বাতি জ্বালিয়ে রাখেন তিনি। বল হাতে স্রেফ ৯ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর পাঁচে নেমে খেলেন ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর ম্যাচের সেরা তিনি ছাড়া আর কে! ক্যাম্পার এই ইনিংসের পথে গড়েন দারুণ এক কীর্তি; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার। বিশ্ব মঞ্চে আইরিশদের আগের সেরা ইনিংস ছিল পল স্টার্লিংয়ের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে হারানোর পথে ৬০ রান করেছিলেন এই ওপেনার। আয়ারল্যান্ডের এই জয়ে অবদান কম নয় ডকরেলের। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ২৭ বলে ৩৯ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন তিনি। ক্যাম্পারের সঙ্গে গড়েন ৫৭ বল স্থায়ী ১১৯ রানের অপরাজিত জুটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি পঞ্চম উইকেটে যা জুটির বিশ্ব রেকর্ড। এই দুজন স্পর্শ করেন ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গড়া পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিকের আগের সেরা। ম্যাচের প্রথম ভাগে আলো ছড়ান মাইকেল জোন্স। টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটিতে খেলেন ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৫ বলের ৮৬ রানের ইনিংস। এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে যা স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ। লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারে বেঁচে যান স্টার্লিং। জশ ডেভির বলে তার ক্যাচ মিড-অনে ফেলেন ক্যালাম ম্যাকলাউড। জীবন পেয়ে অবশ্য কিছুই করতে পারেননি স্টার্লিং।
পরপর দুই ওভারে অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও তাকে হারায় আইরিশরা। পয়েন্টে ধরা পড়েন বালবার্নি, কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে স্টার্লিংকে ফেরায় স্কটল্যান্ড। ভালো শুরু পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেননি লর্কান টাকার ও হ্যারি টেক্টর। এরপরই ক্যাম্পার ও ডকরেলের সেই জুটির পথচলা শুরু। শেষ ১০ ওভারে ১১২ রানের লক্ষ্যে শুরুতে দেখেশুনে খেলে এগোতে থাকেন তারা। নিজের জোনে পেলেই হাঁকান বাউন্ডারি, সঙ্গে প্রান্ত বদল করে বাড়ান রান। ক্রিস গ্রিভসকে ছক্কায় ওড়ান ডকরেল, পরের ওভারে ক্যাম্পার ছয় মারেন মার্ক ওয়াটকে। দুই জনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ওভার প্রতি দশের বেশি করে রান আসতে থাকে। ১৯তম ওভারে জশ ডেভিকে টানা তিন চার মেরে দলকে কাক্সিক্ষত ঠিকানায় পৌঁছে দেন ক্যাম্পার। দুর্দান্ত জয়ে উল্লাসে মাতে আইরিশরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা স্কটিশ শিবিরে শুরুতেই হানা দেয় আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে তার ফেরায় আগের ম্যাচ ফিফটি করা জর্জ মানজিকে। ধাক্কা সামলে উঠতে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন ম্যাথু ক্রস। ওই এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে দলটি। ক্রসের ৫ চারে ২৮ রানের ইনিংস থামান ক্যাম্পার। ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। এরপর রিচি বেরিংটন ও জোন্স ধরেন দলের হাল। তাদের জুটিতে আসতে থাকে দ্রুত রান। মন্থর শুরু করা জোন্স ফিফটি তুলে নেন ৩৮ বলে। অধিনায়কের সঙ্গে তার ৪৮ বল স্থায়ী ৭৭ রানের জুটি ভাঙেন ক্যাম্পারই। স্লোয়ার বলে কাভারে ধরা পড়েন ১ ছক্কা ৩ চারে ৩৭ রান করা বেরিংটন। ক্যাম্পারের বলে ৬৮ রানে জীবন পান জোন্স। ১৯তম ওভারে স্কটিশ ওপেনারকে থামেন জশ লিটলের বলে ক্যাচ দিয়ে। জোন্সের দারুণ ইনিংসটি আড়ালে পড়ে গেল ক্যাম্পারের বিস্ফোরক ইনিংসে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
স্কটল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৬/৫ (মানজি ১, জোন্স ৮৬, ক্রস ২৮, বেরিংটন ৩৭, লিস্ক ১৭, ম্যাকলাউড ০; লিটল ৪-০-৩০-১, অ্যাডায়ার ৪-০-২৩-১, ম্যাককার্থি ৪-০-৫৯-০, ডেলানি ৩-০-২৮-০, সিমি ২-০-১৬-০, ক্যাম্পার ২-০-৯-২, ডকরেল ১-০-৯-০) আয়ারল্যান্ড: ১৯ ওভারে ১৮০/৪ (স্টার্লিং ৮, বালবার্নি ১৪, টাকার ২০, টেক্টর ১৪, ক্যাম্পার ৭২, ডকরেল ৩৯*; ওয়াট ৪-০-৩৯-১, হুইল ৪-০-২৫-১, ডেভি ৪-০-৪৬-০, শারিফ ৩-০-৩২-১, গ্রিভস ২-০-১৮-০, লিস্ক ২-০-১৬-১)
ফল: আয়ারল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কার্টিস ক্যাম্পার