প্রত্যাশা ডেস্ক: চীনের নামকরা সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির সম্প্রতি দেওয়া একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানটিন ব্যবস্থাপকের জন্য প্রকাশিত এই বিজ্ঞাপনে প্রার্থীদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকা আবশ্যক বলে জানানো হয়েছে, যা অনেককে বিস্মিত করেছে।
ক্যানটিন ব্যবস্থাপকের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে রান্নার প্রস্তুতি ও উন্নয়ন তদারকি, ক্যানটিনের ঠিকাদারদের পরিচালনা, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখভাল করা। তা ছাড়া প্রার্থীদের ইংরেজি ও অফিস সফটওয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা ও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এ ধরনের একটি পদে পিএইচডি চাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘একটা ক্যানটিন চালাতে এখন পিএইচডি লাগে?’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটাই নেইজুয়ানের (অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা) ফল।’
এই ‘নেইজুয়ান’ বা অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতার চাপেই চীনের তরুণ প্রজন্ম উচ্চশিক্ষার পেছনে দৌড়াচ্ছে। কিন্তু তা করেও চাহিদামতো চাকরি মিলছে না। গত এপ্রিলের তথ্যমতে, দেশটিতে শহরের ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১৫ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে তা আগের মার্চ মাসের চেয়ে সামান্য কম। মার্চ মাসে তা ছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
উল্লিখিত ক্যানটিন ব্যবস্থাপক পদে বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার ইউয়ান বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা চীনের জাতীয় গড় বেতনের চেয়ে বেশি। অনেকেই মনে করছেন, এ পদটি হয়তো কোনো নির্দিষ্ট প্রার্থীকে মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
চীনে জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশটির শহরের সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মরত কর্মচারীদের বার্ষিক গড় আয় ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ২৪ হাজার ১১০ ইউয়ান এবং ৬৯ হাজার ৪৭৬ ইউয়ান। চীনে চাকরিতে অপ্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার চাপ নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে।
ক্যানটিনের ব্যবস্থাপক পদে চাকরিতে লাগবে পিএইচডি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ