ক্রীড়া ডেস্ক : সৌরভ তো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন মাত্র তিন বছর। এর আগে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেটের দায়িত্বে। তার আগে তো তার পরিচয় একজন ক্রিকেটার, ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবেই। আজ তাই বিসিসিআইয়ের সভাপতির চেয়ারে বসেও ক্রিকেটারদের মনের কথাটা ঠিকই বোঝেন তিনি। অনুভব করতে পারেন তাদের যন্ত্রণাগুলোও। একজন ফর্মহীন ক্রিকেটারের মনের মধ্যে কী ধরনের ঝড় বয়ে যায়, সেটি অনেকের চেয়েই সৌরভ ভালো বোঝেন। কোহলির যন্ত্রণাটাও ঠিকই বুঝতে পারছেন, অনুভব করছেন ভারতের অন্যতম সফল এ অধিনায়ক। কোহলির অবস্থা কী, সেটি নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি রানে নেই অনেক দিনই হয়ে গেছে। তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই শতরান না পাওয়াটা তার মতো একজন ক্রিকেটারের জন্য একটু অদ্ভুত ব্যাপারই। ফর্ম যে কেউই হারিয়ে ফেলতে পারেন। শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো ব্যাটসম্যানরাও রানহীন সময় কাটিয়েছেন, কিন্তু কোহলির ক্ষেত্রে খরাটা যেন একটু বেশিই লম্বা হচ্ছে। আইপিএল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে সময় কাটিয়েছেন। মনে হয়েছিল বিশ্রাম নিয়ে সতেজ হয়ে এলে তিনি নিজেকে ফিরে পাবেন। কিন্তু বিশ্রাম শেষে ফিরে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এজবাস্টনে একমাত্র টেস্টে রান পাননি। দুটি টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ। ব্যাপার এমন দাঁড়িয়েছে যে কোহলিকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ারই কথা উঠছে। এমন সময়ই নিজের উত্তরসূরির মাথায় হাত রাখলেন সৌরভ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোহলির এই ফর্মহীনতাকে একজন খেলোয়াড়ের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপারই মনে করেন সৌরভ, ‘এমনটা খেলাধুলায় ঘটেই। সবার ক্ষেত্রেই ঘটেছে। শচীন এর মুখোমুখি হয়েছে, আমি হয়েছি, রাহুল হয়েছে। এখন কোহলিও মুখোমুখি হচ্ছে। যেকোনো ক্রীড়াবিদের জীবনের অংশ এটি, খেলাধুলারই অংশ এটি। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি মনে করি, কোহলির উচিত কে কী বলছে, এসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের কাজটা করে যাওয়া এবং সচেতন হওয়া।’ সৌরভ মনে করেন, কোহলির পরিসংখ্যানই তার হয়ে কথা বলবে, ‘ওর যে পরিসংখ্যান, সেটি মান না থাকলে অর্জন করা যায় না। আমার মনে হয়, কোহলি নিজেও এটা বিশ্বাস করে। কোহলি অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। সে ঘুরে দাঁড়াবেই, আমি আশাবাদী। এখন কেবল, ওর নিজের পথটা খুঁজে বের করতে হবে।’
জনপ্রিয় সংবাদ