ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বাপার ৮ দফা দাবি

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাপা আয়োজিত নাগরিক সমাবেশ -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করা এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাপা আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

বাপার দাবিগুলো হচ্ছে- যত্রতত্র পশুর হাট বসানো সম্পূর্ণ বন্ধ ও নির্ধারিত স্থানে পশু বেচা-কেনা নিশ্চিত করতে হবে, পশুর হাটের প্রতিদিনের বর্জ্য দিন শেষে নিয়মিত ও সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে, এলাকাভিত্তিক নির্ধারিতস্থানে কোরবানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে হবে, সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক, জনবল, যানবাহনসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি ও নিয়মিত পশু জবাইয়ের স্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, খোলা জায়গা, আশপাশের নদী, খাল, ড্রেন বা রাস্তায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে এবং জরুরি যোগাযোগ সেন্টার স্থাপন করে হটলাইন নম্বর চালু করার মাধ্যমে নাগরিকদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যত্রতত্র কোরবানি করার কারণে ঢাকা মহাগরীর সাধারণ পরিবেশ একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

নগরবাসীর যাতায়াত, চলাফেরা ও অন্যান্য দৈনন্দিন কর্যক্রম অবিন্যস্ত বা বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থা থেকে নগরজীবনকে রক্ষা করার জন্যই সিটি কর্পোরেশন কোরবানির পশুর জন্য কিছু স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়ে থাকেন, হাটগুলোতে এক ধরনের ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করা হয় কিন্তু অনির্ধারিত, রাস্তার ধারের পশুর হাট ন্যূনতম ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে যায়। দেখা যায় ঈদের পর অন্তত দশ দিন সারা শহরের চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়, পশুর খাদ্য-উচ্ছিষ্ট ও মলমূত্রে দূর্গন্ধময় অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকার জনজীবন।

তারা আরো বলেন, বিগত ৫ বছর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির জন্য নির্দিষ্টস্থান নির্ধারণ করে দিলেও তা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়নি। অন্যদিকে সরকারের এই উদ্যোগ সম্পর্কে সবাই পুরোপুরি অবহিত নয়। এর কারণে বাড়িঘরের আঙ্গিনা থেকে রাস্তার ওপরে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। আমাদের দাবি হলো নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা এবং এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ড. হালিম দাদ খান। সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন। এতে বক্তব্য রাখেন- বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির, নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান, জাতীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন, হাজী শেখ আনছার আলী, তরিকুল ইসলাম রাতুল ও মোনসেফা তৃপ্তি, গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, গ্রীন ভয়েস তেজগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কবির হৃদয় প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বাপার ৮ দফা দাবি

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করা এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাপা আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

বাপার দাবিগুলো হচ্ছে- যত্রতত্র পশুর হাট বসানো সম্পূর্ণ বন্ধ ও নির্ধারিত স্থানে পশু বেচা-কেনা নিশ্চিত করতে হবে, পশুর হাটের প্রতিদিনের বর্জ্য দিন শেষে নিয়মিত ও সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হবে, এলাকাভিত্তিক নির্ধারিতস্থানে কোরবানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে হবে, সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক, জনবল, যানবাহনসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি ও নিয়মিত পশু জবাইয়ের স্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, খোলা জায়গা, আশপাশের নদী, খাল, ড্রেন বা রাস্তায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে এবং জরুরি যোগাযোগ সেন্টার স্থাপন করে হটলাইন নম্বর চালু করার মাধ্যমে নাগরিকদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যত্রতত্র কোরবানি করার কারণে ঢাকা মহাগরীর সাধারণ পরিবেশ একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

নগরবাসীর যাতায়াত, চলাফেরা ও অন্যান্য দৈনন্দিন কর্যক্রম অবিন্যস্ত বা বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থা থেকে নগরজীবনকে রক্ষা করার জন্যই সিটি কর্পোরেশন কোরবানির পশুর জন্য কিছু স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়ে থাকেন, হাটগুলোতে এক ধরনের ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করা হয় কিন্তু অনির্ধারিত, রাস্তার ধারের পশুর হাট ন্যূনতম ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে যায়। দেখা যায় ঈদের পর অন্তত দশ দিন সারা শহরের চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়, পশুর খাদ্য-উচ্ছিষ্ট ও মলমূত্রে দূর্গন্ধময় অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকার জনজীবন।

তারা আরো বলেন, বিগত ৫ বছর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির জন্য নির্দিষ্টস্থান নির্ধারণ করে দিলেও তা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়নি। অন্যদিকে সরকারের এই উদ্যোগ সম্পর্কে সবাই পুরোপুরি অবহিত নয়। এর কারণে বাড়িঘরের আঙ্গিনা থেকে রাস্তার ওপরে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। আমাদের দাবি হলো নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা এবং এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ড. হালিম দাদ খান। সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন। এতে বক্তব্য রাখেন- বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির, নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান, জাতীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন, হাজী শেখ আনছার আলী, তরিকুল ইসলাম রাতুল ও মোনসেফা তৃপ্তি, গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, গ্রীন ভয়েস তেজগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কবির হৃদয় প্রমুখ।