ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

কোরবানির পশুর হাটে জড়িয়ে আছে ইবাদতের আবেশ

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: ঈদুল আজহা শুধু পশু জবাইয়ের উৎসব নয়; বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহান ইবাদত ও আত্মত্যাগের অনুপম শিক্ষা।

ওই ইবাদতের সূচনা হয় কোরবানির পশু নির্বাচনের মাধ্যমে; যা অনেকেই শুধু ‘বাজার’ বা ‘হাট’-এর বিষয় মনে করলেও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।

কোরবানির পশু কেনা একটি ইবাদতের অংশ
কোরবানির হাটে যাওয়া ও পশু কেনা একটি ইবাদত। তবে তা ইবাদত হিসেবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য আপনার নিয়ত ঠিক করুন এবং ধাপে ধাপে হাদিসের নির্দেশনাগুলো মেনে কিছু আমল করার চেষ্টা করুন।

বাজারে প্রবেশের দোয়া: কোরবানির পশু কিনতে বাজারে প্রবেশের সময় এই দোয়াটি পড়ুন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ী ওয়া ইউমিতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই-ইং কাদির।’

অর্থ: ‘আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তার কোনো অংশীদার নেই, সকল ক্ষমতা তারই, সমস্ত প্রশংসা তার জন্য, তিনিই জীবন ও মৃত্যু দেন, তিনি চিরঞ্জীব, কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তার হাতেই মঙ্গল এবং তিনিই সবসময় সকল কিছুর ওপর ক্ষমতার অধিকারী।’

ফজিলত: নবীজি বলেছেন, এই দোয়া পড়লে ১০ লাখ সওয়াব লাভ হয়, ১০ লাখ গুনাহ মাফ হয়, ১০ লাখ মর্যাদায় উন্নীত করা হয় এবং জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়’ (তিরমিজি: ৩৪২৯; ইবনে মাজাহ: ২২৩৫, তাওহিদ পাবলিকেশন; মিশকাত: ২৪৩১ হাদিস একাডেমি):

আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত করা: আপনি বাজারে গেছেন মহান আল্লাহর কোরবানির নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য। প্রত্যেক কাজে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত না থাকে, তাহলে তা ইবাদতে গণ্য হয় না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে’ (সুরা হজ: ৩৭)।

ওই আয়াত থেকে বোঝা যায়, কোরবানি মূলত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাকওয়া ও আন্তরিকতা নিয়ে সম্পন্ন করার একটি ইবাদত। আর এ ইবাদতের সূচনা হয় পশু কেনার মাধ্যমে। তাই হাটে পশু কেনাও খাঁটি নিয়ত ও হালাল উপায়ে হওয়া জরুরি।

রাসুলুল্লাহ (স.)-এর শিক্ষা
নম্র আচরণ: রাসুলুল্লাহ (স.) ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পরকে সুন্দর আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। নবীজি বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ সে ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যে বেচাকেনায় সহজ ছিল।’ যখন সে নিজে ক্রয় করে, (অর্থাৎ নিজে ক্রয় করতে গেলে মূল্যের ব্যাপারে দরকষাকষি করে না; বরং সহজ ও নরম ব্যবহার করে)। যখন পাওনা ফিরিয়ে নেয় (অর্থাৎ কারো কাছে ঋণের অর্থ পাওনা থাকলে তা আদায়ের ক্ষেত্রে নম্রতা ও সহজতা করে)। ফলে সে কঠোরতা না করে নম্র ও কোমলভাবে তা আদায় করে ( ইবনে মাজাহ: ২২০২, সহিহুল জামে: ২৪৩):

অতিরিক্ত দাম চাওয়া আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ: রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ সেই ব্যক্তির ওপর রহমত বর্ষণ করুন, যে বেচা-কেনা করতে এবং পাওনা ফিরিয়ে নিতে ছাড় প্রদানের নীতি অবলম্বন করে’ (সহিহ বুখারি, ইবনু মাজাহ: ২২০৩)।

মিথ্যা ও ছলছাতুরিমুক্ত বেচাকেনা: পশুর কোনোরকম অদেখা দুর্বলতা বা ত্রুটি থাকলে তা ক্রেতাকে প্রকাশ করা উচিত। কারণ যেকোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, মিথ্যাচার মুমিনের বৈশিষ্ট্যের বিপরীত। নবীজি (স.) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- ‘যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ২৩১৪৭; সহিহ মুসলিম: ১৬৪; ইবনে মাজাহ: ২২২৫; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪৯০৫)।

সাহাবায়ে কেরামের কোরবানি প্রস্তুতি ও হাটের আচরণ
সাহাবায়ে কেরাম কোরবানিকে শুধু একটি উৎসব হিসেবে নয়, বরং ঈমানের অংশ হিসেবে দেখতেন। তারা কোরবানির পশু নির্বাচনে খুব সতর্ক থাকতেন। আল্লাহর জন্য কোরবানির পশু নিখুঁত দেখে কিনতেন।

হজরত আলী (রা.) বলেন, ‘রাসুল (স.)) আমাদের কোরবানির সময় এমন পশু জবাই করতে বলতেন- যার মধ্যে দোষ না থাকে’ (আবু দাউদ: ২৮০২)।

তারা পশু কেনার সময় কখনো প্রতারণা করতেন না। হাটে লেনদেনে সততা বজায় রাখতেন এবং গরিবদের জন্য সহজ করে দিতেন।

হাটে প্রতারণা ও বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে ইসলামের অবস্থান
অনেক সময় কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত দর হাঁকা, পশুর অসুস্থতা গোপন করা বা জোর করে দাম বসানোর মতো অনৈতিক কাজ হয়।

রাসুলুল্লাহ স্পষ্ট বলেছেন, ‘তুমি তোমার নিজের জন্য যা ভালোবাসো; তা অন্যের জন্যও ভালোবাসার আগ পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবে না’ (সহিহ বুখারি: ১৩)।

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘বেচাকেনার সময় সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী কেয়ামতের দিন নবীদের, সিদ্দিকদের ও শহীদদের সঙ্গে থাকবেন’ (তিরমিজি: ১২০৯)।

পশুর হাটে পালনীয়: কোরবানির পশুর হাটে কিছু সুন্নত আমল; ইবাদতের নিয়ত রাখা; হালাল উপায়ে লেনদেন করা; পশুর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া; দর কষাকষিতে শালীনতা রক্ষা করা; কোনো গরিব বা দুর্বল ক্রেতাকে যথাসম্ভব সাহায্য করা।

শেষ কথা: কোরবানির পশুর হাট শুধুই একটি বাজার নয়, বরং এটি ইবাদতের প্রথম ধাপ। এখানে প্রতিটি মুসলমানের আচরণ, মনোভাব ও লেনদেন ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী হওয়া উচিত।

রাসুলুল্লাহ (স.) ও সাহাবিদের আমল থেকে আমরা শিখি। হাটে গিয়েও একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করতে পারেন। তাই পশুর হাটে সততা, দয়া ও তাকওয়ার পরিচয় দেওয়া প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত, পাশের দেশের প্রয়োজন নেই: উপদেষ্টা

কোরবানির পশুর হাটে জড়িয়ে আছে ইবাদতের আবেশ

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ঈদুল আজহা শুধু পশু জবাইয়ের উৎসব নয়; বরং মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি মহান ইবাদত ও আত্মত্যাগের অনুপম শিক্ষা।

ওই ইবাদতের সূচনা হয় কোরবানির পশু নির্বাচনের মাধ্যমে; যা অনেকেই শুধু ‘বাজার’ বা ‘হাট’-এর বিষয় মনে করলেও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।

কোরবানির পশু কেনা একটি ইবাদতের অংশ
কোরবানির হাটে যাওয়া ও পশু কেনা একটি ইবাদত। তবে তা ইবাদত হিসেবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য আপনার নিয়ত ঠিক করুন এবং ধাপে ধাপে হাদিসের নির্দেশনাগুলো মেনে কিছু আমল করার চেষ্টা করুন।

বাজারে প্রবেশের দোয়া: কোরবানির পশু কিনতে বাজারে প্রবেশের সময় এই দোয়াটি পড়ুন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ী ওয়া ইউমিতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই-ইং কাদির।’

অর্থ: ‘আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তার কোনো অংশীদার নেই, সকল ক্ষমতা তারই, সমস্ত প্রশংসা তার জন্য, তিনিই জীবন ও মৃত্যু দেন, তিনি চিরঞ্জীব, কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তার হাতেই মঙ্গল এবং তিনিই সবসময় সকল কিছুর ওপর ক্ষমতার অধিকারী।’

ফজিলত: নবীজি বলেছেন, এই দোয়া পড়লে ১০ লাখ সওয়াব লাভ হয়, ১০ লাখ গুনাহ মাফ হয়, ১০ লাখ মর্যাদায় উন্নীত করা হয় এবং জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়’ (তিরমিজি: ৩৪২৯; ইবনে মাজাহ: ২২৩৫, তাওহিদ পাবলিকেশন; মিশকাত: ২৪৩১ হাদিস একাডেমি):

আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত করা: আপনি বাজারে গেছেন মহান আল্লাহর কোরবানির নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য। প্রত্যেক কাজে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়ত না থাকে, তাহলে তা ইবাদতে গণ্য হয় না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে’ (সুরা হজ: ৩৭)।

ওই আয়াত থেকে বোঝা যায়, কোরবানি মূলত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাকওয়া ও আন্তরিকতা নিয়ে সম্পন্ন করার একটি ইবাদত। আর এ ইবাদতের সূচনা হয় পশু কেনার মাধ্যমে। তাই হাটে পশু কেনাও খাঁটি নিয়ত ও হালাল উপায়ে হওয়া জরুরি।

রাসুলুল্লাহ (স.)-এর শিক্ষা
নম্র আচরণ: রাসুলুল্লাহ (স.) ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পরকে সুন্দর আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। নবীজি বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ সে ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যে বেচাকেনায় সহজ ছিল।’ যখন সে নিজে ক্রয় করে, (অর্থাৎ নিজে ক্রয় করতে গেলে মূল্যের ব্যাপারে দরকষাকষি করে না; বরং সহজ ও নরম ব্যবহার করে)। যখন পাওনা ফিরিয়ে নেয় (অর্থাৎ কারো কাছে ঋণের অর্থ পাওনা থাকলে তা আদায়ের ক্ষেত্রে নম্রতা ও সহজতা করে)। ফলে সে কঠোরতা না করে নম্র ও কোমলভাবে তা আদায় করে ( ইবনে মাজাহ: ২২০২, সহিহুল জামে: ২৪৩):

অতিরিক্ত দাম চাওয়া আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ: রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ সেই ব্যক্তির ওপর রহমত বর্ষণ করুন, যে বেচা-কেনা করতে এবং পাওনা ফিরিয়ে নিতে ছাড় প্রদানের নীতি অবলম্বন করে’ (সহিহ বুখারি, ইবনু মাজাহ: ২২০৩)।

মিথ্যা ও ছলছাতুরিমুক্ত বেচাকেনা: পশুর কোনোরকম অদেখা দুর্বলতা বা ত্রুটি থাকলে তা ক্রেতাকে প্রকাশ করা উচিত। কারণ যেকোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, মিথ্যাচার মুমিনের বৈশিষ্ট্যের বিপরীত। নবীজি (স.) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- ‘যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ২৩১৪৭; সহিহ মুসলিম: ১৬৪; ইবনে মাজাহ: ২২২৫; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪৯০৫)।

সাহাবায়ে কেরামের কোরবানি প্রস্তুতি ও হাটের আচরণ
সাহাবায়ে কেরাম কোরবানিকে শুধু একটি উৎসব হিসেবে নয়, বরং ঈমানের অংশ হিসেবে দেখতেন। তারা কোরবানির পশু নির্বাচনে খুব সতর্ক থাকতেন। আল্লাহর জন্য কোরবানির পশু নিখুঁত দেখে কিনতেন।

হজরত আলী (রা.) বলেন, ‘রাসুল (স.)) আমাদের কোরবানির সময় এমন পশু জবাই করতে বলতেন- যার মধ্যে দোষ না থাকে’ (আবু দাউদ: ২৮০২)।

তারা পশু কেনার সময় কখনো প্রতারণা করতেন না। হাটে লেনদেনে সততা বজায় রাখতেন এবং গরিবদের জন্য সহজ করে দিতেন।

হাটে প্রতারণা ও বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে ইসলামের অবস্থান
অনেক সময় কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত দর হাঁকা, পশুর অসুস্থতা গোপন করা বা জোর করে দাম বসানোর মতো অনৈতিক কাজ হয়।

রাসুলুল্লাহ স্পষ্ট বলেছেন, ‘তুমি তোমার নিজের জন্য যা ভালোবাসো; তা অন্যের জন্যও ভালোবাসার আগ পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবে না’ (সহিহ বুখারি: ১৩)।

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘বেচাকেনার সময় সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী কেয়ামতের দিন নবীদের, সিদ্দিকদের ও শহীদদের সঙ্গে থাকবেন’ (তিরমিজি: ১২০৯)।

পশুর হাটে পালনীয়: কোরবানির পশুর হাটে কিছু সুন্নত আমল; ইবাদতের নিয়ত রাখা; হালাল উপায়ে লেনদেন করা; পশুর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া; দর কষাকষিতে শালীনতা রক্ষা করা; কোনো গরিব বা দুর্বল ক্রেতাকে যথাসম্ভব সাহায্য করা।

শেষ কথা: কোরবানির পশুর হাট শুধুই একটি বাজার নয়, বরং এটি ইবাদতের প্রথম ধাপ। এখানে প্রতিটি মুসলমানের আচরণ, মনোভাব ও লেনদেন ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী হওয়া উচিত।

রাসুলুল্লাহ (স.) ও সাহাবিদের আমল থেকে আমরা শিখি। হাটে গিয়েও একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করতে পারেন। তাই পশুর হাটে সততা, দয়া ও তাকওয়ার পরিচয় দেওয়া প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ