ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

কোভিড চিকিৎসায় প্রথম বড়ি অনুমোদন যুক্তরাজ্যে

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধটি যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।
কোভিডে সম্প্রতি আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের দিনে দুবার করে মলনুপিরাভির বড়ি সেবন করতে দেওয়া হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে। মূলত সর্দি-জ্বরের চিকিৎসার জন্য তৈরি বড়িটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো ফলাফল দেখিয়েছে। এই বড়ি সেবনে হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। একেবারে নাজুক অবস্থার রোগীদের জন্য বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের একেবারে কম তাদের জন্য এই চিকিৎসাকে ‘যুগান্তকারী’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আজ আমাদের দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। কারণ, কোভিড চিকিৎসায় ঘরে বসে নেওয়া যাবে এমন জীবানুপ্রতিরোধী ওষুধ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য প্রথম অনুমোদন দিল।” যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।
কোভিড পিলের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো ফল এর আগে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে প্রমাণ মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণক সংস্থার কাছেও মলনুপিরাভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হবে বলে মার্ক এর আগে জানিয়েছে। ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এ ওষুধের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ইতি টেনেছে মার্ক। এ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবার্ট ডেভিস বলেন, “কোভিডের চিকিৎসা নিয়ে সব আলোচনাই এ ওষুধ বদলে দেবে।” মলনুপিরাভির তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে যা ভাইরাসের জেনেটিক কোডে পরিবর্তন আনবে। প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি রোশ ও ফাইজারও কোভিডের মুখে খাওয়ার ওষুধ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা কেবল অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করতে পেরেছে, যা নিতে হয় শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কোভিড চিকিৎসায় প্রথম বড়ি অনুমোদন যুক্তরাজ্যে

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম ওষুধটি যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।
কোভিডে সম্প্রতি আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের দিনে দুবার করে মলনুপিরাভির বড়ি সেবন করতে দেওয়া হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে। মূলত সর্দি-জ্বরের চিকিৎসার জন্য তৈরি বড়িটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো ফলাফল দেখিয়েছে। এই বড়ি সেবনে হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। একেবারে নাজুক অবস্থার রোগীদের জন্য বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের একেবারে কম তাদের জন্য এই চিকিৎসাকে ‘যুগান্তকারী’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আজ আমাদের দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। কারণ, কোভিড চিকিৎসায় ঘরে বসে নেওয়া যাবে এমন জীবানুপ্রতিরোধী ওষুধ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য প্রথম অনুমোদন দিল।” যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।
কোভিড পিলের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো ফল এর আগে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে প্রমাণ মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণক সংস্থার কাছেও মলনুপিরাভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হবে বলে মার্ক এর আগে জানিয়েছে। ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এ ওষুধের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ইতি টেনেছে মার্ক। এ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবার্ট ডেভিস বলেন, “কোভিডের চিকিৎসা নিয়ে সব আলোচনাই এ ওষুধ বদলে দেবে।” মলনুপিরাভির তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে যা ভাইরাসের জেনেটিক কোডে পরিবর্তন আনবে। প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি রোশ ও ফাইজারও কোভিডের মুখে খাওয়ার ওষুধ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা কেবল অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করতে পেরেছে, যা নিতে হয় শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে।