ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

কোভিডের পর প্রথম দেশের বাইরে শি জিনপিং

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

সিএনএন : করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে চীনের বাইরে কোথাও সফর করেননি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রায় এক হাজার দিন পর গতকাল বুধবার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রথমবার বিদেশ সফরে এসেছেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে বেইজিংয়ের প্রভাব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশ্ব মঞ্চে ফিরে এসেছেন শি।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রতিবেশী উজবেকিস্তানে যাওয়ার আগে কাজাখস্তানে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন শি। সেখানে তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। ইউক্রেন আক্রমণের পর এটি তাদের প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক।
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর কয়েক সপ্তাহ আগে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্বের কথা ঘোষণা করেছিলেন দুই শক্তিশালী নেতা। পাশাপাশি যুদ্ধের পুরোটা সময় মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং।
রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি আর চীন-তাইওয়ান পরিস্থিতি পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশ দুইটির সম্পর্ক আরও উত্তেজক করে তুলেছে। পাশাপাশি নিজেদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে রাশিয়া এবং চীন।
দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকটি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হবে। চীনা নেতৃত্বাধীন এই আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক গ্রুপটি ভারত থেকে ইরান পর্যন্ত দেশগুলিকে একত্রিত করেছে।
এই সফরটির শির ক্ষমতার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেননা সফরের কয়েক সপ্তাহ বাদেই বেইজিংয়ে একটি রাজনৈতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠিকটির ওপর তৃতীয় মেয়াদে শির চীনের ক্ষমতায় আসার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করছে। শির এই পদক্ষেপটি সফল হলে কয়েক দশকের মধ্যে চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হওয়ার পথ সুগম হবে। বিশ্লেষকদের মতে, শি হবেন মাও সেতুংয়ের পর চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা।
লন্ডনের এসওএএস ইউনিভার্সিটির চায়না ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্টিভেন সাং বলেছেন, শি আগামী মাসের অত্যন্ত ফলপ্রসূ রাজনৈতিক সমাবেশের নেতৃত্বে চীনের বাইরে ভ্রমণ করতে যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এতে এটাই প্রমাণ হয় যে তিনি ক্ষমতায় তার দখলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। সাং এর মতে, গন্তব্যের পছন্দটিও নিয়ন্ত্রণের প্রতি শির আবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি আরও বলেছেন, ‘তিনি এমন একজন, যিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চান। জি-২০ সম্মেলনে তিনি ২০ জনের মধ্যে একজন এবং সেখানে তার তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে এসসিওতে চীন এজেন্ডা নির্ধারণ করতে সক্ষম। তিনি এই বার্তাই দিতে চান যে তিনি এখনো দায়িত্বে আছেন এবং বন্ধু-অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছেন। মধ্য এশিয়ায় এসসিও শীর্ষ সম্মেলন, পুতিনের যোগদানসহ সমস্ত এজেন্ডায় সম্মতি দেওয়া হয়েছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

কোভিডের পর প্রথম দেশের বাইরে শি জিনপিং

আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

সিএনএন : করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে চীনের বাইরে কোথাও সফর করেননি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রায় এক হাজার দিন পর গতকাল বুধবার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রথমবার বিদেশ সফরে এসেছেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে বেইজিংয়ের প্রভাব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশ্ব মঞ্চে ফিরে এসেছেন শি।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রতিবেশী উজবেকিস্তানে যাওয়ার আগে কাজাখস্তানে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন শি। সেখানে তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। ইউক্রেন আক্রমণের পর এটি তাদের প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক।
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর কয়েক সপ্তাহ আগে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্বের কথা ঘোষণা করেছিলেন দুই শক্তিশালী নেতা। পাশাপাশি যুদ্ধের পুরোটা সময় মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং।
রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি আর চীন-তাইওয়ান পরিস্থিতি পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশ দুইটির সম্পর্ক আরও উত্তেজক করে তুলেছে। পাশাপাশি নিজেদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে রাশিয়া এবং চীন।
দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকটি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হবে। চীনা নেতৃত্বাধীন এই আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক গ্রুপটি ভারত থেকে ইরান পর্যন্ত দেশগুলিকে একত্রিত করেছে।
এই সফরটির শির ক্ষমতার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেননা সফরের কয়েক সপ্তাহ বাদেই বেইজিংয়ে একটি রাজনৈতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠিকটির ওপর তৃতীয় মেয়াদে শির চীনের ক্ষমতায় আসার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করছে। শির এই পদক্ষেপটি সফল হলে কয়েক দশকের মধ্যে চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হওয়ার পথ সুগম হবে। বিশ্লেষকদের মতে, শি হবেন মাও সেতুংয়ের পর চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা।
লন্ডনের এসওএএস ইউনিভার্সিটির চায়না ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্টিভেন সাং বলেছেন, শি আগামী মাসের অত্যন্ত ফলপ্রসূ রাজনৈতিক সমাবেশের নেতৃত্বে চীনের বাইরে ভ্রমণ করতে যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এতে এটাই প্রমাণ হয় যে তিনি ক্ষমতায় তার দখলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। সাং এর মতে, গন্তব্যের পছন্দটিও নিয়ন্ত্রণের প্রতি শির আবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি আরও বলেছেন, ‘তিনি এমন একজন, যিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চান। জি-২০ সম্মেলনে তিনি ২০ জনের মধ্যে একজন এবং সেখানে তার তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে এসসিওতে চীন এজেন্ডা নির্ধারণ করতে সক্ষম। তিনি এই বার্তাই দিতে চান যে তিনি এখনো দায়িত্বে আছেন এবং বন্ধু-অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছেন। মধ্য এশিয়ায় এসসিও শীর্ষ সম্মেলন, পুতিনের যোগদানসহ সমস্ত এজেন্ডায় সম্মতি দেওয়া হয়েছে।’