ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

কোপেনহেগেনের হতাশা মুছে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়ার আশায় রোনালদো

  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: নেশন্স লিগের সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম ধাপটা মোটেও ভালো কাটেনি পর্তুগালের। ডেনমার্কের মাঠে হেরে যাওয়া ম্যাচটিতে নিজের ও দলের পারফরম্যান্স একদমই পছন্দ হয়নি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। তবে নিজ আঙিনায় ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী পর্তুগিজ তারকা। কোপেনহেগেনে গত বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন রোনালদো। তার সতীর্থরাও পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে।

ফলে ১-০ গোলে হারের হতাশা সঙ্গী হয় পর্তুগালের। ফিরতি লেগে রোববার লিসবনে নামবে পর্তুগাল। পরের ধাপে উঠতে ম্যাচটিতে জয়ের বিকল্প নেই প্রতিযোগিতাটির প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের। স্বাভাবিকভাবে তাই দলের সবাই কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছে বলেও জানালেন রোনালদো। “আমরা বাঁচা-মরার পরিস্থিতিতে নেই। তবে একটু বেশিই দুশ্চিন্তা কাজ করছে। কারণ জানি, কাল আমাদের (রোববার) জিততেই হবে। মনের সত্যিকারের অবস্থাটা লুকাব না। তবে এমন চ্যালেঞ্জ নেওয়া, এটাই ফুটবলের সৌন্দর্য্য। আর আমি জানি, মাঠে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয়ের চেষ্টা করব।” সামনের এই কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য সমর্থকদের পাশে চান ফুটবল ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন রোনালদো। সুন্দর একটি দিনের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
“সমর্থকদের পাশে পেতে চাই। আমরা চাই, তারা যেন শক্তির জায়গাটা দেখায় আমাদেরকে, কারণ আমরাও সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার প্রত্যাশা যে, আগামীকাল আমাদের সবার জন্য সুন্দর একটা দিন হবে।

এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই জার্সির প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে যারা গর্বিত, তাদের সবার অবশ্যই এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। আমি ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে ম্যাচ হেরেছি, কিন্তু নকআউট পর্বের প্রথম লেগে কখনো হারিনি। কাল (রোববার) ফিরতি লেগ।” প্রথম লেগে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে পর্তুগাল ছিল একেবারেই ধারহীন। কোনো রাখঢাক না রেখে অকপটে সেটা স্বীকার করে নিলেন রোনালদো। “এমন ম্যাচ, এমন বাজে দিন আগেও গেছে। প্রথম লেগে আমি একদমই ভালো খেলতে পারিনি, দলও না, তবে এটাই জীবনের অংশ। আগামীকাল মাথা উঁচু করে আলভালাদে স্টেডিয়াম ছাড়তে চাই। যদি গোল করতে পারি, খুশি হব, তবে আমি যদি না পারি, অন্য কেউ করুক। আমি কেবল পর্তুগালের জয় চাই।” প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করে রোনালদোর ‘ঝরঁঁঁ’ উদযাপন করেন ডেনমার্কের গাসমুস হয়লুন।

এতে মোটেও বিরক্ত হননি রোনালদো। উল্টো এমনটা দেখা তার জন্য সম্মানের ছিল বলে জানালেন আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। “আমি জানি, সে আমাকে অসম্মান করার জন্য সেটা করেনি; এটা বোঝার মতো যথেষ্ট বুদ্ধিমান আমি। তাকে ও বিশ্বজুড়ে অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের আমার মতো উদযাপন করতে দেখা সম্মানের। আশা করি, আগামীকাল আমি নিজে উদযাপন করতে পারব।”

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কোপেনহেগেনের হতাশা মুছে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়ার আশায় রোনালদো

আপডেট সময় : ০৬:০৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: নেশন্স লিগের সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম ধাপটা মোটেও ভালো কাটেনি পর্তুগালের। ডেনমার্কের মাঠে হেরে যাওয়া ম্যাচটিতে নিজের ও দলের পারফরম্যান্স একদমই পছন্দ হয়নি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। তবে নিজ আঙিনায় ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী পর্তুগিজ তারকা। কোপেনহেগেনে গত বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন রোনালদো। তার সতীর্থরাও পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে।

ফলে ১-০ গোলে হারের হতাশা সঙ্গী হয় পর্তুগালের। ফিরতি লেগে রোববার লিসবনে নামবে পর্তুগাল। পরের ধাপে উঠতে ম্যাচটিতে জয়ের বিকল্প নেই প্রতিযোগিতাটির প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের। স্বাভাবিকভাবে তাই দলের সবাই কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছে বলেও জানালেন রোনালদো। “আমরা বাঁচা-মরার পরিস্থিতিতে নেই। তবে একটু বেশিই দুশ্চিন্তা কাজ করছে। কারণ জানি, কাল আমাদের (রোববার) জিততেই হবে। মনের সত্যিকারের অবস্থাটা লুকাব না। তবে এমন চ্যালেঞ্জ নেওয়া, এটাই ফুটবলের সৌন্দর্য্য। আর আমি জানি, মাঠে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয়ের চেষ্টা করব।” সামনের এই কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য সমর্থকদের পাশে চান ফুটবল ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন রোনালদো। সুন্দর একটি দিনের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
“সমর্থকদের পাশে পেতে চাই। আমরা চাই, তারা যেন শক্তির জায়গাটা দেখায় আমাদেরকে, কারণ আমরাও সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার প্রত্যাশা যে, আগামীকাল আমাদের সবার জন্য সুন্দর একটা দিন হবে।

এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই জার্সির প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে যারা গর্বিত, তাদের সবার অবশ্যই এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। আমি ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে ম্যাচ হেরেছি, কিন্তু নকআউট পর্বের প্রথম লেগে কখনো হারিনি। কাল (রোববার) ফিরতি লেগ।” প্রথম লেগে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে পর্তুগাল ছিল একেবারেই ধারহীন। কোনো রাখঢাক না রেখে অকপটে সেটা স্বীকার করে নিলেন রোনালদো। “এমন ম্যাচ, এমন বাজে দিন আগেও গেছে। প্রথম লেগে আমি একদমই ভালো খেলতে পারিনি, দলও না, তবে এটাই জীবনের অংশ। আগামীকাল মাথা উঁচু করে আলভালাদে স্টেডিয়াম ছাড়তে চাই। যদি গোল করতে পারি, খুশি হব, তবে আমি যদি না পারি, অন্য কেউ করুক। আমি কেবল পর্তুগালের জয় চাই।” প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করে রোনালদোর ‘ঝরঁঁঁ’ উদযাপন করেন ডেনমার্কের গাসমুস হয়লুন।

এতে মোটেও বিরক্ত হননি রোনালদো। উল্টো এমনটা দেখা তার জন্য সম্মানের ছিল বলে জানালেন আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। “আমি জানি, সে আমাকে অসম্মান করার জন্য সেটা করেনি; এটা বোঝার মতো যথেষ্ট বুদ্ধিমান আমি। তাকে ও বিশ্বজুড়ে অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের আমার মতো উদযাপন করতে দেখা সম্মানের। আশা করি, আগামীকাল আমি নিজে উদযাপন করতে পারব।”