গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ব্যাপক শোডাউন করেছেন জেলা জামায়াতের আমির ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩
(কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক রেজাউল করিম। গতকাল শনিবার (১ মার্চ) সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাদের প্রচারণা শুরু করেন। শোভাযাত্রাটি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের মাধ্যমে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পথসভা শেষে উপজেলা চত্বরে জনসমাবেশে মিলিত হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির গাজী সোলায়মানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে জেলা জামায়াতের আমির ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনের জামায়াত ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সেক্রেটারি জেনারেল আল মাসুদ খান, কোটালীপাড়ার নায়েবে আমির মিজানুর রহমান হাওলাদার, সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ, কোটালীপাড়া পৌর জামায়াতের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আক্তার দাড়িয়া বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, আমি আপনাদের সন্তান ও আপনাদের ভাই। আমাকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন। আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি। আপনারাও আমার পাশে থাকবেন। আমরা আপনাদের দোয়া ও সমর্থনে আগামীতে আল কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই।
আমরা এ দেশে সবাইকে নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশে জেলা জামায়াতের এ নেতা বলেন, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে কোনও দলমত নাই। এখানে আমরা সবাই কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়াবাসী। সবাই ভাই ভাই। এটাই আমাদের পরিচয়। কোনও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা যাবে না। এদিকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ সংসদীয় এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক রেজাউল করিমের নাম ঘোষণা করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে টানা ৮ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তিনি ৫ বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৮ বারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছেন, তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন। এই আসনে শেখ হাসিনার বিপক্ষে ১৯৯৬ সালে জামায়াতে ইসলামী একবার প্রার্থী দিয়ে তাদের জামানত হারিয়েছিলো। তবে এবারে জামায়াতের শোডাউন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে সাধারণ ভোটারদের মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।