জাহাঙ্গীর আলম (১৭), লালমনিরহাট : কৈশোর সময়টা মানব জীবনের একটি মূল্যবান সময়। এই সময়টাকে বয়সন্ধিকাল বলে। কৈশোরকালীন যথাযথ দিকনির্দেশনার অভাব ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যথাযথ সহচার্যের অভাবে অনেকেই বিপথগামী হয়ে যায়।
মাদকে আসক্তি, উগ্রতা ও সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি নানা তকমা তাদের নামের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। কারণ এই বয়সীদের সহজেই ব্রেইন ওয়াশ করা যায়। অস্থির মনোজগত উদগ্রীব থাকে রহস্য ভেদ করতে। সেখানে সামান্য যুক্তি বা গুছানো কথা তাকে ফাঁদেও ফেলে দিতে পারে অতি সহজেই। এই বয়সটা সত্যিই রোমাঞ্চকর। অনুসন্ধিৎসু মন অনেক কিছুই খুঁজতে থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলোও করতে ইচ্ছে হয়, সাহসের চেয়ে বেশি দুঃসাহস এসময় ভেতর থেকে তাড়না দেয়। আধিপত্য দেখানো, পরাজয় মেনে না নেওয়ার অক্ষমতা ইত্যাদি নানান কিছু এই বয়সটাতেই ফুটে ওঠে
অভিভাবকরাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সচেতন নন। বয়ঃসন্ধিকালীন একটা ছেলে বা মেয়ের জন্য কেমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে তা জানেন না তাদের অনেকেই। পরিবারকে বন্ধু হিসেবে না পেয়ে তারা আরও দূরে সরে যায়। এভাবেই তৈরি হয় দূরত্ব।
স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কেও সচেতন হতে হয় এই বয়সে। সাধারণত কিশোর কিশোরী বয়সেই প্রজনন ক্ষমতা তৈরি হয়। এসময় মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হয়। যার ফলে প্রয়োজন পড়ে যথাযথ স্বাস্থ্য সচেতনতা। কিন্তু আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট এটাকে স্বাভাবিক হিসেবে এখনো মেনে নিতে পারেনি। এটি গোপন করার প্রবণতা রয়েছে সবখানে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া- তা যেন মানতেই নারাজ। আমি যখন একটি বিষয় নিয়ে লুকোচুরি করব তখন এটিকে যথাযথ যতœ করতে পারব না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এভাবে বরং কিশোরীদের জীবনটাই দুর্বিষহ করে তোলা হয়। ছেলেদেরকেও এ সময়টাতেও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত, পর্যাপ্ত ঘুমানো উচিত। বরং আমরা তার উল্টোটা করে থাকি। যা একদমই অনুচিত। এগুলো আমাদের নিজেদেরই যতœ সহকারে মানা উচিত। সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’।
কৈশোরেই নিজের প্রতি দায়িত্ববান হও
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ