ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

কেমন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, জানালেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক কেমন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ—সেই পরিকল্পনার কথা জানালেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত শুক্রবার (২০ মে) সিঙ্গাপুরে ম্যারিনা বে-তে চলমান হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেসে তিনি এ তথ্য জানান। তিন দিনের এই সম্মেলন শেষ হলো আজ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম কারিগরি সেশনে প্রধানমন্ত্রীর ‘২০৪১ সালের জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের কর্মপরিকল্পনা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরেন পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য এখন ২০৩১ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত আয় নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ জ্ঞানভিত্তিক, উচ্চ অর্থনীতির উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আসবে।’

পলক বলেন, ‘মাত্র ১৩ বছরে বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নের ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে এরইমধ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাঝে ডিজিটাল সেতুবন্ধন রচনায় একটি সুরক্ষিত ক্লাউড অবকাঠামো তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ। এই অবকাঠামোতে ইতোমধ্যে ৩০টির বেশি বিভাগ, ৫০টির বেশি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ৫০ শতাংশ দক্ষতার উন্নয়ন ঘটেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইটি ও আইটিএস খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখন ক্রমেই বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ১০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরমধ্যে ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬২৪ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে স্থানীয় ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৮০ শতাংশ। দেশের ৭২ শতাংশ লেনদেন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল মাধ্যমে হওয়ায় ডিজিটাল অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫০০ শতাংশ। ডিজিটাল ডিভাইস বাজারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে গড়ে ২৯ শতাংশ হারে।’ তিনি জানান, ২ হাজার ৫০০টির বেশি স্টার্টআপ দেশে একটি উদ্যোক্তা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশই প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোক্তা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কেমন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, জানালেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক কেমন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ—সেই পরিকল্পনার কথা জানালেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত শুক্রবার (২০ মে) সিঙ্গাপুরে ম্যারিনা বে-তে চলমান হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেসে তিনি এ তথ্য জানান। তিন দিনের এই সম্মেলন শেষ হলো আজ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম কারিগরি সেশনে প্রধানমন্ত্রীর ‘২০৪১ সালের জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের কর্মপরিকল্পনা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরেন পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য এখন ২০৩১ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত আয় নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ জ্ঞানভিত্তিক, উচ্চ অর্থনীতির উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আসবে।’

পলক বলেন, ‘মাত্র ১৩ বছরে বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নের ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে এরইমধ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাঝে ডিজিটাল সেতুবন্ধন রচনায় একটি সুরক্ষিত ক্লাউড অবকাঠামো তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ। এই অবকাঠামোতে ইতোমধ্যে ৩০টির বেশি বিভাগ, ৫০টির বেশি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ৫০ শতাংশ দক্ষতার উন্নয়ন ঘটেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইটি ও আইটিএস খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখন ক্রমেই বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ১০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরমধ্যে ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬২৪ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে স্থানীয় ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৮০ শতাংশ। দেশের ৭২ শতাংশ লেনদেন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল মাধ্যমে হওয়ায় ডিজিটাল অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫০০ শতাংশ। ডিজিটাল ডিভাইস বাজারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে গড়ে ২৯ শতাংশ হারে।’ তিনি জানান, ২ হাজার ৫০০টির বেশি স্টার্টআপ দেশে একটি উদ্যোক্তা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশই প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোক্তা।