ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচের আগের দিন দুপুরে ক্রেইগ আরভাইন যখন সংবাদ সম্মেলনে এলেন, তখনও উইকেট দেখার সুযোগ হয়নি তার। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ম্যাচের উইকেট সম্ভাব্য আচরণ বোঝার চেষ্টা করছিলেন নেটের উইকেটগুলো থেকে। আগের দিন জিম্বাবুয়ের আরেক ব্যাটসম্যান বেন কারানও বলে গেছেন, উইকেট দেখার সুযোগ তাদের হয়নি। বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্সের কাছ থেকে অবশ্য উইকেট সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেল। সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টের উইকেটে ছিল ঘাসের ছোঁয়া। গতি ও বাউন্সও ছিল বেশ। কিছুটা সহায়তা ছিল স্পিনারদের জন্যও। ব্যাটসম্যানদের জন্যও উইকেট প্রতিকূল ছিল না। সব মিলিয়ে যেটিকে বলা যায় স্পোর্টিং উইকেট।
বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে গেলেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, উইকেট নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। বরং এই ধরনের উইকেটেই তারা খেলতে চান। তবে চট্টগ্রামের উইকেটে যে একইরকম হবে না, সেটাও জানা কথাই। দুই শহরের আবহাওয়া ভিন্ন, কন্ডিশন আলাদা, মাটির ধরনের আছে পার্থ্যক্য। চট্টগ্রামের উইকেট প্রথাগতভাবে কথা বলে ব্যাটসম্যানদের হয়ে। পরের দিকে শুষ্ক ও মন্থর হয় ওঠে, স্পিনাররা সহায়তা পান বেশ।
উইকেটে প্রসঙ্গ উঠতেই রোববার সংবাদ সম্মেলনে চওড়া হাসিতে বাংলদেশ কোচ সিমন্স যেন বুঝিয়ে দিলেন, এই ২২ গজ মনে ধরেছে তার। “উইকেট খুবই ভালো মনে হচ্ছে। বেশ শক্ত, মসৃণ এবং কিছুটা শুষ্ক। ম্যাচের পরের দিকে কিছুটা টার্ন আশা করতে পারি, যা আমাদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।” গত বছর চট্টগ্রামে যে দুটি টেস্ট হয়েছে, দুই ম্যাচেরই ধরন ছিল অনেকটা একই। একটিতে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করেছে, পরেরটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ঘোষণা করেছে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রানে। সেই রান পাহাড়ে নিচে চাপা পড়ে হাঁসফাঁস করেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই ভেঙে পড়েছে তাদের ব্যাটিং। সহায়তা পেয়েছেন স্পিনাররা। সিমন্সের অনুমান সত্যি হলে, এবারও উইকেটের চরিত্র একইরকম থাকবে। এই টেস্টের স্কোয়াডে পেসার কমিয়ে স্পিনার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। উইকেটের সম্ভাব্য আচরণের ধারণা পাওয়া যেতে পারে সেখান থেকেও। জিম্বাবুয়ে দল উইকেট দেখার সুযোগ পেল দুপুরে অনুশীলন শুরুর একটু পর।
কোচিং স্টাফসহ দলের বেশ কজন ক্রিকেটারকে দেখা গেল অনেকটা সময় নিয়ে উইকেট পর্যবেক্ষণ করতে। দূর থেকে যা বোঝা গেল, উইকেটে সামান্য ঘাসের ছোঁয়া আছে, যা আরও কমিয়ে দেওয়া হতে পারে ম্যাচের সকালে। তাতে বেশ ন্যাড়াই হয়ে উঠবে এই ২২ গজ। উইকেট দেখার আগে সংবাদ সম্মেলনে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক বলে গেছেন উইকেট নিয়ে তার অনুমান। “নেটের উইকেটগুলো আমাদের কাছ কিছুটা মন্থর মনে হয়েছে। খেলা যত এগোবে, হয়তো স্পিন বেশ বড় ভূমিকা রাখবে এই টেস্টে।”