ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

কেন ব্যালট বাক্সের নির্বাচন চাই

  • আপডেট সময় : ১১:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ : সুজন ভাইয়ের রেলে করে রাজশাহী এবং সেখানে থেকে কোটচাঁদপুর গন্তব্যের আগেই নেমে গিয়েছিলাম নিরুপায় হয়ে। ঢাকা থেকে যথা সময়ে ট্রেন ছাড়লেও প্রায় ৪০ মিনিট পরে গন্তব্যে পৌঁছে ছিল। ছোটবেলায় রেল-জাহাজের খাওয়া ছিল খুবই মজাদার। এখন সেসবের বালাই নেই। চা কিংবা কফি যা আপনি খাবেন তার নেই কোনো মান। একসময় ছিল খাবার গাড়ি। এখন সেখানেও যাত্রী। গেল দুবছর করোনার কারণে ছুটির আনন্দ সেই ভাবে করতে পারেনি সকলে। এবার পূজার ছুটি কাটাতে সকলেই যাত্রী হয়েছিল নিজ নিজ গন্তব্যে। কিন্তু সুজন ভাই একটি অতিরিক্ত বগি কিংবা একটি ট্রেন দিতে অপারগ ছিলেন। তাই গাদাগাদি করেই গরমের মধ্যে ভ্ৰমণ করছে আপামর জনতা। সুতরাং রেল এবার লাভজনক হবে আশা করি। সুজন ভাই একটু দেইখেন যাতে সেবার মান ফিরে আসে। যেন গাদাগাদির চাপ সহ্য না করতে পেরে মাঝপথে নেমে যেতে না হয়! ঢাকার বাইরে গিয়ে এবার সবচে কম সেবা পেয়েছি জব্বার ভাইয়ের কাছ থেকে। জব্বার ভাইয়ের হাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ বঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল। নগদ টাকা হাতে না রাখলে মহা বিপদ হতে পারে। নেটওয়ার্ক না থাকলে বিকাশ বা নগদে আপনি বিল দিতে পারবেন না কিংবা টাকা উঠাতে পারবেন না।

বাংলাদেশের টেলিফোন কোম্পানিগুলো লালে লাল হয়ে যাচ্ছে। তাদের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মোটা লাভ পাচ্ছেন। কিন্তু অবর্ণনীয় দুর্ভোগ আমাদের গ্রাহকের। শতভাগ বিদ্যুৎ হয়েছে কিন্তু শতভাগ সন্তুষ্টি বা সেবা আমাদের টেলিফোন কোম্পানিগুলো দিতে ব্যর্থ। এই দুর্ভোগের অবসান কবে হবে সেটা আল্লাহই জানেন।
কাদের ভাইয়ের অনেক সাফল্য। পদ্মা সেতুর পর এবার কালনা সেতু। খুলে যাচ্ছে দক্ষিণ বঙ্গের দুয়ার আর ভাগ্য। কিন্তু সরকারের উন্নয়ন আড়াল করে দিচ্ছে নগরের যানজট। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আমরা উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আশা করা যায় কাদের ভাই আরেকটু সময় জনদুর্ভোগ অবসানে বরাদ্দ করবেন। আমরা জানি টাকা ছাড়া উন্নয়ন হয় না। আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খুবই অপ্রতুল। সেখানে প্রয়োজন অনেক অনেক টাকা। জাতিকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে চাইলে আমাদের শিক্ষার ও স্বাস্থ্যের বাজেট বাড়ানো খুবই জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিগুলোতে গিয়ে কেবল কান্না পায়। ছাত্রদের গণরুমের ভয়াবহতা কেবল একজন ছাত্রই উপলব্ধি করতে পারে। হলের ডাইনিংয়ের যে খাবার তা আমাদের অজানা নয়। আমাদের রোগীরা কেবল বিনা চিকিৎসায় মরে না- নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, ঔষধ।
আমাদের নির্বাচন কমিশন সেই সব সমস্যার কথা কি জানেন না? যদি সেটা আপনারা জানেন, যদি আপনারা জানেন কিভাবে তপ্ত মরুর বুকে দগ্ধ হয়ে আমাদের ভাই বোনেরা টাকা আয় করে দেশে পাঠান- তবে কি আপনাদের বুক কাঁপে না আট হাজার কোটি টাকার যন্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিতে! আমরা হতবাক হয়ে যাই আপনাদের বক্তব্য শুনে!
প্রতিদিন কী পরিমাণ হাহাকার নগরবাসী করে থাকে সেটা কি আপনাদের কানে বাজে না? দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির লেভেল কমে যাচ্ছে। আমাদের ক্ষেতে নদী থেকে পানি দিতে হবে ডিপটিউবওয়েল বন্ধ করে যাতে খাদ্য শস্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়।
বাজারে এখন আগুন- এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে। মানুষ ধার দেনা করে কিংবা শেষ সম্বল বিক্রি করছে বাঁচার জন্য! বিশ্ববাসী যেখানে হাহাকার করছে যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে, সেই সময়ে আপনাদের সিদ্ধান্ত জাতিকে হতবাক করে। রাস্তায় নামলে কতগুলো মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সেটা কি আপনাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির রঙিন কাঁচের দেয়াল পেরিয়ে পৌঁছে? একটু ভাবুন- জনগণ আপনাদেরকে বিশ্বাস করে ওই পদে বসিয়েছে। অতীতের প্রায় সব কটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। জনগণ ২০০৮ সালেও একটি ভালো নির্বাচন দেখেছে। তাই দয়া করে ব্যালট বাক্সের নির্বাচন নিয়ে ভাববেন কি? জনগণের টাকা কত কষ্টের সেটা বুঝতে চেষ্টা করবেন কি? বিদেশে যখন যান সেখানে কি আমাদের প্রবাসী ভাইদের কষ্ট আপনাদের নজরে পড়েনি? গ্রামের কৃষক কি কষ্ট করে ক্ষেতে ফসল ফলায় সেটিতো দেখেছেন!
ব্যালট বাক্সের নির্বাচন সুষ্ট ও অবাধ হতে পারে। ভালো একটি নির্বাচনের জন্য আর হাজার কোটি টাকার ইভিএম কেনার কোনো প্রয়োজন নেই মান্যবর নির্বাচন কমিশন। প্লিজ, জনগণের কষ্টের পয়সা এভাবে নষ্ট করবেন না!
সুজন ভাইয়ের রেলে বগি কিনতে, কাদের ভাইয়ের যানজট নিরসনে যেমন টাকা দরকার তেমনি আমাদের আরেকটি পদ্মা সেতু, আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়, আরেকটি হাসপাতাল আমাদের প্রয়োজন। গণরুমের সমস্যা নিরসনে, বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। সেজন্য আমাদের অনেক টাকার প্রয়োজন। আপনারা জানেন আমাদের বিদ্যালয়গুলোর হালহকিকত। আপনারা জানেন আমাদের সীমিত সম্পদের কথা। তাই আপনাদের সঠিক সিদ্ধান্ত জাতির উন্নয়নের অভিযাত্রায় একান্ত জরুরি। পাঠাগারে একটি আসন বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকার প্রয়োজন। একজন ভালো শিক্ষক নিয়োগ দিতে একটি বিদ্যালয়ের টাকার প্রয়োজন। একবার শাহবাগে এসে দেখে যান কতদিন আন্দোলন করছে চাকরির জন্য। কী পরিমাণ বেকার যুবক হতাশায় দিন কাটায় একবার তার পরিসংখ্যানটি জেনে নিন। যুবসমাজকে বেকার ও হতাশায় রেখে আট হাজার কোটি টাকার ইভিএম! আমার মন সাড়া দেয় না! তাই নির্বাচন চাই ব্যালট বাক্সে। গ্রামের বাজারে কিংবা তরুণদের আড্ডায় গিয়ে একটু বসবেন কি? তাদের প্রয়োজন একটি কাজ। ইভিএম কি একটি কাজ সৃষ্টি করবে?
লেখক: অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন ব্যালট বাক্সের নির্বাচন চাই

আপডেট সময় : ১১:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ : সুজন ভাইয়ের রেলে করে রাজশাহী এবং সেখানে থেকে কোটচাঁদপুর গন্তব্যের আগেই নেমে গিয়েছিলাম নিরুপায় হয়ে। ঢাকা থেকে যথা সময়ে ট্রেন ছাড়লেও প্রায় ৪০ মিনিট পরে গন্তব্যে পৌঁছে ছিল। ছোটবেলায় রেল-জাহাজের খাওয়া ছিল খুবই মজাদার। এখন সেসবের বালাই নেই। চা কিংবা কফি যা আপনি খাবেন তার নেই কোনো মান। একসময় ছিল খাবার গাড়ি। এখন সেখানেও যাত্রী। গেল দুবছর করোনার কারণে ছুটির আনন্দ সেই ভাবে করতে পারেনি সকলে। এবার পূজার ছুটি কাটাতে সকলেই যাত্রী হয়েছিল নিজ নিজ গন্তব্যে। কিন্তু সুজন ভাই একটি অতিরিক্ত বগি কিংবা একটি ট্রেন দিতে অপারগ ছিলেন। তাই গাদাগাদি করেই গরমের মধ্যে ভ্ৰমণ করছে আপামর জনতা। সুতরাং রেল এবার লাভজনক হবে আশা করি। সুজন ভাই একটু দেইখেন যাতে সেবার মান ফিরে আসে। যেন গাদাগাদির চাপ সহ্য না করতে পেরে মাঝপথে নেমে যেতে না হয়! ঢাকার বাইরে গিয়ে এবার সবচে কম সেবা পেয়েছি জব্বার ভাইয়ের কাছ থেকে। জব্বার ভাইয়ের হাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ বঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল। নগদ টাকা হাতে না রাখলে মহা বিপদ হতে পারে। নেটওয়ার্ক না থাকলে বিকাশ বা নগদে আপনি বিল দিতে পারবেন না কিংবা টাকা উঠাতে পারবেন না।

বাংলাদেশের টেলিফোন কোম্পানিগুলো লালে লাল হয়ে যাচ্ছে। তাদের বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মোটা লাভ পাচ্ছেন। কিন্তু অবর্ণনীয় দুর্ভোগ আমাদের গ্রাহকের। শতভাগ বিদ্যুৎ হয়েছে কিন্তু শতভাগ সন্তুষ্টি বা সেবা আমাদের টেলিফোন কোম্পানিগুলো দিতে ব্যর্থ। এই দুর্ভোগের অবসান কবে হবে সেটা আল্লাহই জানেন।
কাদের ভাইয়ের অনেক সাফল্য। পদ্মা সেতুর পর এবার কালনা সেতু। খুলে যাচ্ছে দক্ষিণ বঙ্গের দুয়ার আর ভাগ্য। কিন্তু সরকারের উন্নয়ন আড়াল করে দিচ্ছে নগরের যানজট। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আমরা উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আশা করা যায় কাদের ভাই আরেকটু সময় জনদুর্ভোগ অবসানে বরাদ্দ করবেন। আমরা জানি টাকা ছাড়া উন্নয়ন হয় না। আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খুবই অপ্রতুল। সেখানে প্রয়োজন অনেক অনেক টাকা। জাতিকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে চাইলে আমাদের শিক্ষার ও স্বাস্থ্যের বাজেট বাড়ানো খুবই জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিগুলোতে গিয়ে কেবল কান্না পায়। ছাত্রদের গণরুমের ভয়াবহতা কেবল একজন ছাত্রই উপলব্ধি করতে পারে। হলের ডাইনিংয়ের যে খাবার তা আমাদের অজানা নয়। আমাদের রোগীরা কেবল বিনা চিকিৎসায় মরে না- নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, ঔষধ।
আমাদের নির্বাচন কমিশন সেই সব সমস্যার কথা কি জানেন না? যদি সেটা আপনারা জানেন, যদি আপনারা জানেন কিভাবে তপ্ত মরুর বুকে দগ্ধ হয়ে আমাদের ভাই বোনেরা টাকা আয় করে দেশে পাঠান- তবে কি আপনাদের বুক কাঁপে না আট হাজার কোটি টাকার যন্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিতে! আমরা হতবাক হয়ে যাই আপনাদের বক্তব্য শুনে!
প্রতিদিন কী পরিমাণ হাহাকার নগরবাসী করে থাকে সেটা কি আপনাদের কানে বাজে না? দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির লেভেল কমে যাচ্ছে। আমাদের ক্ষেতে নদী থেকে পানি দিতে হবে ডিপটিউবওয়েল বন্ধ করে যাতে খাদ্য শস্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়।
বাজারে এখন আগুন- এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে। মানুষ ধার দেনা করে কিংবা শেষ সম্বল বিক্রি করছে বাঁচার জন্য! বিশ্ববাসী যেখানে হাহাকার করছে যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে, সেই সময়ে আপনাদের সিদ্ধান্ত জাতিকে হতবাক করে। রাস্তায় নামলে কতগুলো মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সেটা কি আপনাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির রঙিন কাঁচের দেয়াল পেরিয়ে পৌঁছে? একটু ভাবুন- জনগণ আপনাদেরকে বিশ্বাস করে ওই পদে বসিয়েছে। অতীতের প্রায় সব কটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। জনগণ ২০০৮ সালেও একটি ভালো নির্বাচন দেখেছে। তাই দয়া করে ব্যালট বাক্সের নির্বাচন নিয়ে ভাববেন কি? জনগণের টাকা কত কষ্টের সেটা বুঝতে চেষ্টা করবেন কি? বিদেশে যখন যান সেখানে কি আমাদের প্রবাসী ভাইদের কষ্ট আপনাদের নজরে পড়েনি? গ্রামের কৃষক কি কষ্ট করে ক্ষেতে ফসল ফলায় সেটিতো দেখেছেন!
ব্যালট বাক্সের নির্বাচন সুষ্ট ও অবাধ হতে পারে। ভালো একটি নির্বাচনের জন্য আর হাজার কোটি টাকার ইভিএম কেনার কোনো প্রয়োজন নেই মান্যবর নির্বাচন কমিশন। প্লিজ, জনগণের কষ্টের পয়সা এভাবে নষ্ট করবেন না!
সুজন ভাইয়ের রেলে বগি কিনতে, কাদের ভাইয়ের যানজট নিরসনে যেমন টাকা দরকার তেমনি আমাদের আরেকটি পদ্মা সেতু, আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়, আরেকটি হাসপাতাল আমাদের প্রয়োজন। গণরুমের সমস্যা নিরসনে, বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। সেজন্য আমাদের অনেক টাকার প্রয়োজন। আপনারা জানেন আমাদের বিদ্যালয়গুলোর হালহকিকত। আপনারা জানেন আমাদের সীমিত সম্পদের কথা। তাই আপনাদের সঠিক সিদ্ধান্ত জাতির উন্নয়নের অভিযাত্রায় একান্ত জরুরি। পাঠাগারে একটি আসন বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকার প্রয়োজন। একজন ভালো শিক্ষক নিয়োগ দিতে একটি বিদ্যালয়ের টাকার প্রয়োজন। একবার শাহবাগে এসে দেখে যান কতদিন আন্দোলন করছে চাকরির জন্য। কী পরিমাণ বেকার যুবক হতাশায় দিন কাটায় একবার তার পরিসংখ্যানটি জেনে নিন। যুবসমাজকে বেকার ও হতাশায় রেখে আট হাজার কোটি টাকার ইভিএম! আমার মন সাড়া দেয় না! তাই নির্বাচন চাই ব্যালট বাক্সে। গ্রামের বাজারে কিংবা তরুণদের আড্ডায় গিয়ে একটু বসবেন কি? তাদের প্রয়োজন একটি কাজ। ইভিএম কি একটি কাজ সৃষ্টি করবে?
লেখক: অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়