ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া স্বতন্ত্রদের বহিষ্কার কার্যকর হবে না: কাদের

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দল যে কঠোর অবস্থানে যাবে না, তা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপে রাখতে কোনো কমিটি বিলুপ্ত করা হলে বা কাউকে বহিষ্কার করা হয় তা কার্যকর হবে না।
গতকাল রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। দশম সংসদ নির্বাচনের মত এবারও বিএনপি ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগ নতুন কৌশল নিয়েছে। ২০১৪ সালের মত অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া এড়াতে এবার মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে ‘ডামি’ প্রার্থী। তাতে অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে গেলেন মনোনয়ন না পাওয়া দলের নেতারা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এমপিও আছেন, যারা এবার মনোনয়ন পাননি। অনেক আসনেই এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকার প্রার্থীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছেন। আবার আওয়ামী লীগের শরিকরাও চায়, তাদের যেসব আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেবে, সেখানে যেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রদেরও বসিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি বিলুপ্ত করা এবং বহিষ্কার করার খবর আসছে সংবাদমাধ্যমে। এ বিষয়ে রোববারের ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে কাদের বলেন, “কোথাও বহিষ্কার হচ্ছে না। তার পরেও যদি কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া কেউ বহিস্কার বা কমিটি বিলুপ্ত করে, তা কার্যকর হবে না।”
পরাজয় দিবস: বিএনপি নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পৃথিবীতে একটা দেশ দেখান, যেখানে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়। ক্ষমতাসীন সরকার থাকবে না এটা কোথা থেকে আবিষ্কার করলেন?
“বিজয়ের দিনকে উপহাস করে পরাজয়ের দিন বলছে। একাত্তরের পরাজয়তো আপনাদের আর জামায়াতের। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পরাজয় হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য এটা বিজয়ের দিন।”
বিএনপি ‘মানুষের জন্য রাজনীতি করে না’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস আমরা জানি। ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরিৃ, ঢাকা-১০ ও মাগুরার প্রহসনমূলক নির্বাচন, এগুলোতো বিএনপির সৃষ্টি।
“বিএনপি আবার সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে কোন মুখে? তাদের শাসনামলে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু করেছে? এদেশে আওয়ামী লীগই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।” ওবায়দুল কাদের বলেন, ” বিএনপি নেতৃত্বে নির্বাচনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন বলছে। যে নির্বাচনে ২৮টি দলের ২ হাজার ২৬০ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছে, সেই নির্বাচন কি করে ভাগাভাগি নির্বাচন হয়?”
আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে ‘একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে গড়ে তুলেছে দাবি করে কাদের বলেন, “সেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হচ্ছে। এতে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে কেন?”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চলতি মাসে ১ দিন ছুটি নিলেই টানা ৪ দিন পাবেন যারা

কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া স্বতন্ত্রদের বহিষ্কার কার্যকর হবে না: কাদের

আপডেট সময় : ০১:৪৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দল যে কঠোর অবস্থানে যাবে না, তা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপে রাখতে কোনো কমিটি বিলুপ্ত করা হলে বা কাউকে বহিষ্কার করা হয় তা কার্যকর হবে না।
গতকাল রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। দশম সংসদ নির্বাচনের মত এবারও বিএনপি ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগ নতুন কৌশল নিয়েছে। ২০১৪ সালের মত অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া এড়াতে এবার মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে ‘ডামি’ প্রার্থী। তাতে অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে গেলেন মনোনয়ন না পাওয়া দলের নেতারা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এমপিও আছেন, যারা এবার মনোনয়ন পাননি। অনেক আসনেই এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকার প্রার্থীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছেন। আবার আওয়ামী লীগের শরিকরাও চায়, তাদের যেসব আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেবে, সেখানে যেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রদেরও বসিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি বিলুপ্ত করা এবং বহিষ্কার করার খবর আসছে সংবাদমাধ্যমে। এ বিষয়ে রোববারের ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে কাদের বলেন, “কোথাও বহিষ্কার হচ্ছে না। তার পরেও যদি কেন্দ্রের নির্দেশ ছাড়া কেউ বহিস্কার বা কমিটি বিলুপ্ত করে, তা কার্যকর হবে না।”
পরাজয় দিবস: বিএনপি নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পৃথিবীতে একটা দেশ দেখান, যেখানে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়। ক্ষমতাসীন সরকার থাকবে না এটা কোথা থেকে আবিষ্কার করলেন?
“বিজয়ের দিনকে উপহাস করে পরাজয়ের দিন বলছে। একাত্তরের পরাজয়তো আপনাদের আর জামায়াতের। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পরাজয় হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য এটা বিজয়ের দিন।”
বিএনপি ‘মানুষের জন্য রাজনীতি করে না’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস আমরা জানি। ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরিৃ, ঢাকা-১০ ও মাগুরার প্রহসনমূলক নির্বাচন, এগুলোতো বিএনপির সৃষ্টি।
“বিএনপি আবার সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে কোন মুখে? তাদের শাসনামলে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু করেছে? এদেশে আওয়ামী লীগই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।” ওবায়দুল কাদের বলেন, ” বিএনপি নেতৃত্বে নির্বাচনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন বলছে। যে নির্বাচনে ২৮টি দলের ২ হাজার ২৬০ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছে, সেই নির্বাচন কি করে ভাগাভাগি নির্বাচন হয়?”
আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে ‘একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে গড়ে তুলেছে দাবি করে কাদের বলেন, “সেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হচ্ছে। এতে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে কেন?”