ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, দিবসটি উপলক্ষে রাখা হয়েছে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মোতায়েন থাকবে পোশাকে সাদা পোশাকে পুলিশ।
গতকাল শনিবার শহীদ মিনারে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার যারা কাজ করে তাদের সাথে আমরা আলাদা-আলাদা করে মিটিং করেছি। আলাদাভাবে সেট অ্যাসেসমেন্ট করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও সংস্থা থেকে কোনও ধরনের ঝুঁকির কথা পাওয়া যায়নি। আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারি না, আমরা শুধু অনুরোধ করতে পারি— যারা আসবেন, অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন।

প্রতিবছর শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে তারা সশরীরে উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন কি-না, এ বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রেখেছি। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে আসলে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে আমরা সেরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখবো।’

তিনি বলেন, শহীদ মিনারের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আধা ঘণ্টা সময় রাখা হয়। তারা চলে যাওয়ার পর সাধারণ জনগণের জন্য শ্রদ্ধা নিবন্ধনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে শহীদ মিনার কেন্দ্রিক চারদিকে যে রাস্তাগুলোর রয়েছে সবগুলো রাস্তায় পুলিশের আলাদা চেকপোস্ট থাকবে। প্রতিটি এলাকায় সিসিটিভির আওতায় থাকবে। যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন তারা পলাশী মোড় দিয়ে শহীদ মিনারে ঢুকবেন। নিরাপত্তা তল্লাশি নিশ্চিত করেই সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

করোনাকালের বিধিনিষেধের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনার কারণে যেসব স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন এবং সম্মানিত নাগরিকদের আমরা বলবো সেই বিধানগুলো যেন মেনে চলা হয়। দিনশেষে কিন্তু আপনি আপনার পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন।’ নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করবেন আগতরা এ আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনে আসলে ব্যাগ না নিয়ে আসার অনুরোধ জানান। সঙ্গে মোবাইলের বিষয়েও সতর্ক করেন মো. শফিকুল ইসলাম। বলেন, ‘মোবাইল সম্পর্কে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে, কারণ প্রতিবছর মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে থাকে স্থান থেকে। সোয়াট টিম বোম ডিসপোজাল ইউনিট থাকবে ওয়ার্ড দিয়ে পুরো এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।’

শহীদ মিনার এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন না টানানোর জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যারা এরই মধ্যে ব্যানার কিংবা প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের এগুলো সরিয়ে ফেলার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিমণার মো. শফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদেরও সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে আসার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘উৎসাহের কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনেরা উল্টো পথে আসার চেষ্টা করেন এবং বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জাতি আপনাদের আচরণ থেকে শিক্ষা নেবে, সে বিষয়ে আপনারা একটু সচেতন থাকবেন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এই রক্তস্রোত যেন বৃথা না যায়, ঐক্য বজায় রাখতে হবে: খালেদা জিয়া

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০২:১৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, দিবসটি উপলক্ষে রাখা হয়েছে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মোতায়েন থাকবে পোশাকে সাদা পোশাকে পুলিশ।
গতকাল শনিবার শহীদ মিনারে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার যারা কাজ করে তাদের সাথে আমরা আলাদা-আলাদা করে মিটিং করেছি। আলাদাভাবে সেট অ্যাসেসমেন্ট করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও সংস্থা থেকে কোনও ধরনের ঝুঁকির কথা পাওয়া যায়নি। আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারি না, আমরা শুধু অনুরোধ করতে পারি— যারা আসবেন, অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন।

প্রতিবছর শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে তারা সশরীরে উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন কি-না, এ বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রেখেছি। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে আসলে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে আমরা সেরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখবো।’

তিনি বলেন, শহীদ মিনারের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আধা ঘণ্টা সময় রাখা হয়। তারা চলে যাওয়ার পর সাধারণ জনগণের জন্য শ্রদ্ধা নিবন্ধনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে শহীদ মিনার কেন্দ্রিক চারদিকে যে রাস্তাগুলোর রয়েছে সবগুলো রাস্তায় পুলিশের আলাদা চেকপোস্ট থাকবে। প্রতিটি এলাকায় সিসিটিভির আওতায় থাকবে। যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন তারা পলাশী মোড় দিয়ে শহীদ মিনারে ঢুকবেন। নিরাপত্তা তল্লাশি নিশ্চিত করেই সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

করোনাকালের বিধিনিষেধের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনার কারণে যেসব স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন এবং সম্মানিত নাগরিকদের আমরা বলবো সেই বিধানগুলো যেন মেনে চলা হয়। দিনশেষে কিন্তু আপনি আপনার পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন।’ নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করবেন আগতরা এ আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনে আসলে ব্যাগ না নিয়ে আসার অনুরোধ জানান। সঙ্গে মোবাইলের বিষয়েও সতর্ক করেন মো. শফিকুল ইসলাম। বলেন, ‘মোবাইল সম্পর্কে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে, কারণ প্রতিবছর মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে থাকে স্থান থেকে। সোয়াট টিম বোম ডিসপোজাল ইউনিট থাকবে ওয়ার্ড দিয়ে পুরো এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।’

শহীদ মিনার এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন না টানানোর জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যারা এরই মধ্যে ব্যানার কিংবা প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের এগুলো সরিয়ে ফেলার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিমণার মো. শফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদেরও সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে আসার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘উৎসাহের কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনেরা উল্টো পথে আসার চেষ্টা করেন এবং বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জাতি আপনাদের আচরণ থেকে শিক্ষা নেবে, সে বিষয়ে আপনারা একটু সচেতন থাকবেন।’