নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রথম ওষুধ কোম্পানি হিসেবে বিদেশের মাটিতে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। স্কয়ার আশা করছে, আগামী চার মাসের মধ্যে কেনিয়ায় তাদের কারখানায় উৎপাদন শুরু করা যাবে। পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে ইতোমধ্যে কারখানা স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে তারা। অগাস্টের মধ্যে সেখানে জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। মহামারীর কারণে পিছিয়ে না পড়লে কারখানা স্থাপনের কাজ গত বছরই শেষ হওয়ার কথা ছিল বলে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী। কেনিয়ার আথি নদীর তীরে কেনিয়া ইপিজেডে ওই কারখানার সর্বশেষ অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এসপিএল কেনিয়ার উদ্যোক্তাদের একজন তপন চৌধুরী। বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেড নামে ওই কারখানার কাজ অনেকটা শেষ হয়েছে এবং অগাস্টের মধ্য উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি চলছে। প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ স্কয়ার মহামারীর মধ্যেও গত দুই বছরে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বিশ্বের ৪৩টি দেশে ওষুধ রপ্তানিকারক এ কোম্পানি বিদেশে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করে কেনিয়ায় কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করে ২০১৮ সালে। ওই কারখানায় উৎপাদিত জেনরিক ওষুধের মাধ্যমে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার ছয় দেশের বাজার ধরার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে স্কয়ার ফার্মার সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে। এ প্রকল্পে মোট দুই কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে তারা। এর মধ্যে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার কারখানা স্থাপনের ব্যয় এবং ৩০ লাখ ডলার চলতি মূলধন। এই খরচের ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের যোগান তারা দেবে কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে, বাকি অর্থ ঋণ নেবে।