ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

কেজিতে ১০০-২০০ টাকা বাড়লো মাছের দাম

  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

মাদারীপুর সংবাদদাতা : মাদারীপুরে সবজি ও মাছের দাম বেড়েই চলছে। রমজান সামনে রেখে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে। আর মাছের দাম বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা। বিপাকে পড়েছেন নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবার। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচামাল কম কিন্তু চাহিদা বেশি। তাই দাম বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি বেগুন ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, শসা ৩০ টাকা বেড়ে ৭০, কাঁচামরিচ ৩০ টাকা বেড়ে ১০০, লেবু হালিতে ২০ টাকা বেড়ে ৪০-৫০, পটোল ২০ টাকা বেড়ে ৬০, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা বেড়ে ৮০, পেঁপে ১০ টাকা বেড়ে ৩০ ও টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। দাম বাড়ায় চাহিদা মতো সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। খুচরা সবজি বিক্রেতা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘দাম কম বা বেশির সঙ্গে আমাদের হাত নেই। আমরা যে দামে কিনি তার থেকে কেজিতে মাত্র ৫ টাকা বেশি বিক্রি করি।’ আরেক বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে সবজি আসে যশোর, কুষ্টিয়া, বেনাপোলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। সঙ্গে সবজির দামও বেড়েছে। তাই কী করবো। চাহিদা অনুযায়ী সবজি নেই। তাই এ অবস্থা হয়েছে।’ মাদারীপুর পৌর শহরের বিসিক এলাকার বাসিন্দা আওয়াল হোসেন বলেন, ‘সবজির দাম এত বেশি বেড়েছে যে চাহিদা মতো কিনতে পারছি না। নি¤œ ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।’ আরেক ক্রেতা শহরের পাঁচখোলা এলাকার লাবণী বেগম বলেন, ‘কাল থেকে রোজা। তাই পরিবারের জন্য বাজার করতে এসেছি। কিন্তু যেভাবে দাম বেড়েছে, তাই অল্প কিছু সবজি কিনেছি। এভাবে দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমাদের মতো পরিবারগুলোকে না খেয়ে থাকতে হবে।’ মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রকারভেদে মাছের দাম কেজিতে ১০০-২০০ টাকা বেড়েছে। মাঝারি সাইজের ইলিশ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার, বড় রুই দেড়শ টাকা বেড়ে ৫০০, ছোট রুই ১০০ টাকা বেড়ে ৩০০, চিংড়ি ২০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ও ছোট চিংড়ি দেড়শ টাকা বেড়ে ৭০০ টাকা হয়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২৬০, লেয়ার ২০ টাকা বেড়ে ২৮০ ও সোনালি ৪০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা মোশাররফ ব্যাপারী রিপন মালো বলেন, ‘মাছের দাম কেজিতে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমরা কী করবো। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ খুচরা বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. মাসুদ সরদার বলেন, আমাদের কিছুই করার নেই। হঠাৎ করে মাছের দাম বেড়েছে। কারণ বিভিন্ন আড়ত থেকে বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাদারীপুর মৎস্য আড়তদার বাজার সমিতির সহ-সভাপতি মো. এমদাদ কবিরাজ বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী বাজারে মাছ কম। এছাড়া পাইকারি দাম অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে মাছ ব্যবসায়ীদের কী করার আছে। বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’ মাদারীপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিক খান জানান, আসলে আমাদের চাহিদামতো পণ্য বাজারে নেই। যে হারে চাহিদা বেড়েছে, সেভাবে পণ্য বাড়েনি। বেগুন, শসার সংকট দেখা দিয়েছে। যেহেতু এই জেলায় সবজি উৎপাদন তেমন নেই। তাই কুষ্টিয়া, যশোর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি এখানের আড়তে আসে। তারপর খুরচা ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে কিনে বিক্রি করেন। তবে এই অবস্থা। তবে দু-তিনদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কেজিতে ১০০-২০০ টাকা বাড়লো মাছের দাম

আপডেট সময় : ০১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুর সংবাদদাতা : মাদারীপুরে সবজি ও মাছের দাম বেড়েই চলছে। রমজান সামনে রেখে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে। আর মাছের দাম বেড়েছে ১০০-২০০ টাকা। বিপাকে পড়েছেন নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবার। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচামাল কম কিন্তু চাহিদা বেশি। তাই দাম বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি বেগুন ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, শসা ৩০ টাকা বেড়ে ৭০, কাঁচামরিচ ৩০ টাকা বেড়ে ১০০, লেবু হালিতে ২০ টাকা বেড়ে ৪০-৫০, পটোল ২০ টাকা বেড়ে ৬০, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা বেড়ে ৮০, পেঁপে ১০ টাকা বেড়ে ৩০ ও টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। দাম বাড়ায় চাহিদা মতো সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। খুচরা সবজি বিক্রেতা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘দাম কম বা বেশির সঙ্গে আমাদের হাত নেই। আমরা যে দামে কিনি তার থেকে কেজিতে মাত্র ৫ টাকা বেশি বিক্রি করি।’ আরেক বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে সবজি আসে যশোর, কুষ্টিয়া, বেনাপোলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। সঙ্গে সবজির দামও বেড়েছে। তাই কী করবো। চাহিদা অনুযায়ী সবজি নেই। তাই এ অবস্থা হয়েছে।’ মাদারীপুর পৌর শহরের বিসিক এলাকার বাসিন্দা আওয়াল হোসেন বলেন, ‘সবজির দাম এত বেশি বেড়েছে যে চাহিদা মতো কিনতে পারছি না। নি¤œ ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।’ আরেক ক্রেতা শহরের পাঁচখোলা এলাকার লাবণী বেগম বলেন, ‘কাল থেকে রোজা। তাই পরিবারের জন্য বাজার করতে এসেছি। কিন্তু যেভাবে দাম বেড়েছে, তাই অল্প কিছু সবজি কিনেছি। এভাবে দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমাদের মতো পরিবারগুলোকে না খেয়ে থাকতে হবে।’ মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রকারভেদে মাছের দাম কেজিতে ১০০-২০০ টাকা বেড়েছে। মাঝারি সাইজের ইলিশ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার, বড় রুই দেড়শ টাকা বেড়ে ৫০০, ছোট রুই ১০০ টাকা বেড়ে ৩০০, চিংড়ি ২০০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ও ছোট চিংড়ি দেড়শ টাকা বেড়ে ৭০০ টাকা হয়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২৬০, লেয়ার ২০ টাকা বেড়ে ২৮০ ও সোনালি ৪০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা মোশাররফ ব্যাপারী রিপন মালো বলেন, ‘মাছের দাম কেজিতে ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমরা কী করবো। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ খুচরা বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. মাসুদ সরদার বলেন, আমাদের কিছুই করার নেই। হঠাৎ করে মাছের দাম বেড়েছে। কারণ বিভিন্ন আড়ত থেকে বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাদারীপুর মৎস্য আড়তদার বাজার সমিতির সহ-সভাপতি মো. এমদাদ কবিরাজ বলেন, ‘চাহিদা অনুযায়ী বাজারে মাছ কম। এছাড়া পাইকারি দাম অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে মাছ ব্যবসায়ীদের কী করার আছে। বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’ মাদারীপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিক খান জানান, আসলে আমাদের চাহিদামতো পণ্য বাজারে নেই। যে হারে চাহিদা বেড়েছে, সেভাবে পণ্য বাড়েনি। বেগুন, শসার সংকট দেখা দিয়েছে। যেহেতু এই জেলায় সবজি উৎপাদন তেমন নেই। তাই কুষ্টিয়া, যশোর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি এখানের আড়তে আসে। তারপর খুরচা ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে কিনে বিক্রি করেন। তবে এই অবস্থা। তবে দু-তিনদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।