ঢাকা ১০:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাম্পের ক্ষমা

  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক: কর্মকর্তাকে ক্ষমা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২২ জানুয়ারি) তিনি এই আদেশ জারি করেছেন বলে হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে জানা গেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিচার বিভাগ জানায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশ কর্মকর্তা টেরেন্স সাটন জুনিয়রকে ৬৬ মাস এবং অ্যান্ড্রু জাবাভস্কিকে ৪৮ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর তারা অনুমোদন ছাড়াই এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিলেন। তাদের তাড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পালাতে গিয়ে ওয়াশিংটনের উত্তর-পশ্চিমে এক সংঘর্ষে ২০ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক কুয়ারন হিলটন-ব্রাউনের মৃত্যু হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ জানায়, ওই দুই কর্মকর্তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বেতন ছাড়া বরখাস্ত ছিলেন।

২০২২ সালে ৯ সপ্তাহব্যাপী বিচার কার্যক্রমের পর সাটনকে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার, চক্রান্তে জড়িত থাকা এবং বিচার বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে সর্বসম্মতভাবে দোষী সাব্যস্ত করে ফেডারেল জুরি। একই জুরি জাবাভস্কিকে চক্রান্ত এবং বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে।
সাটনের আইনজীবী কেলেন ডোয়ার এক বিবৃতিতে জানান, আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ডিসি সার্কিট আদালত এই রায় বাতিল করবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মামলার চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটিয়েছেন বলে আমরা আনন্দিত। এছাড়া ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাবাভস্কির আইনজীবী ক্রিস্টোফার জামপগনা।

হিলটন-ব্রাউনের মা ক্যারন হিলটন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ক্ষমার বিষয়টি জানার পর হতবাক হয়ে পড়েছেন তিনি। তার পক্ষে চোখের পানি আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।
উল্লেখ্য, আরেক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর এই ঘটনা ঘটে। মিনিয়াপোলিসের এক পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতারের সময় বেপরোয়াভাবে কয়েক মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রাখলে মারা যান তিনি। এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী পুলিশি বর্বরতা ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাম্পের ক্ষমা

আপডেট সময় : ০৬:৪০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক: কর্মকর্তাকে ক্ষমা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২২ জানুয়ারি) তিনি এই আদেশ জারি করেছেন বলে হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে জানা গেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিচার বিভাগ জানায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশ কর্মকর্তা টেরেন্স সাটন জুনিয়রকে ৬৬ মাস এবং অ্যান্ড্রু জাবাভস্কিকে ৪৮ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর তারা অনুমোদন ছাড়াই এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিলেন। তাদের তাড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পালাতে গিয়ে ওয়াশিংটনের উত্তর-পশ্চিমে এক সংঘর্ষে ২০ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক কুয়ারন হিলটন-ব্রাউনের মৃত্যু হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ জানায়, ওই দুই কর্মকর্তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বেতন ছাড়া বরখাস্ত ছিলেন।

২০২২ সালে ৯ সপ্তাহব্যাপী বিচার কার্যক্রমের পর সাটনকে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার, চক্রান্তে জড়িত থাকা এবং বিচার বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে সর্বসম্মতভাবে দোষী সাব্যস্ত করে ফেডারেল জুরি। একই জুরি জাবাভস্কিকে চক্রান্ত এবং বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে।
সাটনের আইনজীবী কেলেন ডোয়ার এক বিবৃতিতে জানান, আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ডিসি সার্কিট আদালত এই রায় বাতিল করবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মামলার চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটিয়েছেন বলে আমরা আনন্দিত। এছাড়া ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাবাভস্কির আইনজীবী ক্রিস্টোফার জামপগনা।

হিলটন-ব্রাউনের মা ক্যারন হিলটন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ক্ষমার বিষয়টি জানার পর হতবাক হয়ে পড়েছেন তিনি। তার পক্ষে চোখের পানি আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।
উল্লেখ্য, আরেক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর এই ঘটনা ঘটে। মিনিয়াপোলিসের এক পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতারের সময় বেপরোয়াভাবে কয়েক মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে রাখলে মারা যান তিনি। এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী পুলিশি বর্বরতা ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেয়।