কুমিল্লা সংবাদদাতা : স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে কুমিল্লা জেলা। এবারের বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলাজুড়ে কৃষি খাতে ৮৪৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ৬৩ হাজার ৯৭৪ হেক্টর ফসলি জমি, যা অতীতের যেকোনো ক্ষতিকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কার্যালয়টি জানিয়েছে, জেলা জুড়ে মোট এক লাখ ৩৫ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছিল। চলমান বন্যায় ৬৩ হাজার ৯৭৪ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফসলের মধ্যে রোপা আমন বীজতলা ৪ হাজার ৫১৫ হেক্টর ও ধান ২৩ হাজার ৩০৯ হেক্টর, খরিপ-২ শাকসবজি ২ হাজার ১৯ হেক্টর, রোপা আউশ ৩৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর, বোনা আমন ৩৩৫ হেক্টর এবং ২১৬ হেক্টর আখ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৬৪১ হেক্টর রোপা আমন, এক হাজার ৬১৫ হেক্টর খরিফ শাকসবজি, ২০ হাজার হেক্টর রোপা আউশ এবং ১১ হেক্টর আখের জমি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০৪ হেক্টর খরিফ শাকসবজি, ১৩ হাজার ৪৩২ হেক্টর রোপা আউশ এবং ২০৫ হেক্টর আখ ফসলের জমি। এসব ফসলের মধ্যে, ২২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার রোপা আমন বীজতলা, ২৬৯ কোটি ৯৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার রোপা আমন, ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার খরিফ শাকসবজি, ২৯৭ কোটি ৮৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার রোপা আউশ এবং ৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার আখের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, বৃষ্টির পানি ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির এটি প্রাথমিক তালিকা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রতিদিনই বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরবর্তীতে জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি জমি এবং কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। কৃষি প্রধান এই দেশে কৃষি ও কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে।
জনপ্রিয় সংবাদ