ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কৃষিতে তরুণদের সম্পৃক্ততায় রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততার হার বেড়েছে। তরুণদের প্রায় ১৭ থেকে ২০ শতাংশ কৃষি বা খামারে কাজ করেন। এই সংখ্যা অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পার। গ্রামীণ তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি। এখন তরুণ প্রজন্মের কৃষি ও খামারে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ বাড়ছে। তারা দেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তরুণরা, বিশেষত শিক্ষিত তরুণরা পুরো বাংলাদেশের কৃষির চিত্র পাল্টে দিচ্ছেন। যেমনÑ দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের তরুণরা সমতল ভূমিতে মালটা চাষে সফল হয়েছেন। ঢাকার অদূরে সাভার ও কালিয়াকৈরে সবজি চাষে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন তরুণরা। রাজশাহীতে আম আর ধানের চাষে তারা সূচনা করেছেন নতুন দিগন্তের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, তরুণেরাই এখন কৃষির প্রাণ। এখন কৃষিকাজে জড়িত ব্যক্তিদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ। গোলমরিচ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, টমেটো, ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মালটা ও কমলা ফলের মতো নিশ্চিত মুনাফা আছে, এমন খাতগুলোতে তরুণেরা বিনিয়োগ করছেন। তারা কৃষিপণ্য বিপণন ও কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন। এছাড়া মৎস্য চাষ, গাভী লালন-পালন ও হাঁস-মুরগি পালনেও এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৃষি খাতে তরুণদের সম্পৃক্ততার বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা কী কী, এ বিষয়ে নজর দেওয়া যাক।

তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততায় কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো হলো ১. সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতির প্রসারের ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কৃষির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজিটাল মার্কেটিং ও কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তরুণদের এই খাতে আগ্রহী করে তুলেছে। ২. তরুণ প্রজন্ম কৃষিকে এখন আর শুধু প্রথাগত পদ্ধতিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছেন। উদাহরণস্বরূপ, তরুণেরা স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে ফসল উৎপাদন, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ ও বাজারজাতকরণ–সম্পর্কিত তথ্য সহজলভ্য করে তুলছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের অটোমেশন টেকনোলজি যেমন ড্রোন, স্যাটেলাইট ইমেজারি ও সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমানো সম্ভব হচ্ছে। এই ধরনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার তরুণদের কৃষিতে আকৃষ্ট করছে। ৩. কৃষি খাতে তরুণ উদ্যোক্তারা কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং ও রপ্তানির মতো খাতগুলোতে বিনিয়োগ করছেন। অনেকে আবার খামার ব্যবস্থাপনা, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন ও ডেইরি ফার্মের মতো উদ্যোগ নিচ্ছেন। ৪. কৃষিতে তরুণ নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে নারীরা কৃষির প্রতিটি ধাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তবে তরুণ নারীদের কৃষিতে সম্পৃক্ততা ক্রমবর্ধমান। নারী উদ্যোক্তারা কৃষিতে সাফল্য অর্জন করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি অন্য নারীদেরও উদ্বুদ্ধ করছেন।

তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততায় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জগুলো হলো ১. অনেক তরুণের কাছে কৃষি এখনো আকর্ষণীয় একটি পেশা হিসেবে বিবেচিত হয় না। ২. কৃষিতে আর্থিক ঝুঁকি বেশি ও আয় কম। ৩. আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণের অভাব। ৪. ঋণপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ। ৫. তরুণ কৃষকদের সংগঠনের অভাব। ৬. ভূমি ও কৃষিব্যবস্থার সংস্কারের অভাব তথা জমির মালিকানায় সমস্যা। ৭. কৃষি পরিবারের জন্য সহায়ক সরকারি পরিকল্পনার অভাব। ৮. দুর্বল গ্রামীণ অবকাঠামো। ৯. জমির মালিকানার নিরাপত্তাহীনতা ও জমির ক্রমবর্ধমান মূল্য। ১০. কৃষকদের আত্মপরিচয় সংকট অর্থাৎ সমাজে কৃষির প্রতি নেতিবাচক ধারণা ও শহরমুখী মনোভাব। ১১. নিয়মিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাব ও ১২. উদ্যোগ ও নীতি-সমর্থনের অভাব।
যদি আমরা তরুণদের কৃষিতে আরও সম্পৃক্ত করতে চাই, তাহলে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্যোগ হলো—১. তরুণদের কৃষিপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা। ২. তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষি খাতে বিনিয়োগের জন্য ঋণ বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এর ফলে তরুণেরা কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, কৃষিপণ্য রপ্তানি ও খামার ব্যবস্থাপনায় নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে পারবে। ৩. সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তরুণ কৃষকেরা সহজেই কৃষিবিষয়ক তথ্য, বাজারদর ও বিপণন কৌশল সম্পর্কে জানতে পারবে। ৪. কৃষিপণ্য সরাসরি বাজারে বিক্রির সুযোগ তৈরি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমানো। ৫. কৃষিশিক্ষার মানোন্নয়ন ও কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যা তরুণদের কৃষিতে আগ্রহী করবে।
তরুণেরা দেশের ভবিষ্যৎ। একই কারণে তারা কৃষি ও গ্রামীণ শিল্পেরও ভবিষ্যৎ। কৃষিতে তরুণদের সম্পৃক্ততা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, কৃষিপণ্য রপ্তানি, কৃষি খাতের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলে আলোচিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মহলের বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মব বন্ধ না করলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো: উপদেষ্টা মাহফুজ

কৃষিতে তরুণদের সম্পৃক্ততায় রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততার হার বেড়েছে। তরুণদের প্রায় ১৭ থেকে ২০ শতাংশ কৃষি বা খামারে কাজ করেন। এই সংখ্যা অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পার। গ্রামীণ তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততা তুলনামূলকভাবে বেশি। এখন তরুণ প্রজন্মের কৃষি ও খামারে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ বাড়ছে। তারা দেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তরুণরা, বিশেষত শিক্ষিত তরুণরা পুরো বাংলাদেশের কৃষির চিত্র পাল্টে দিচ্ছেন। যেমনÑ দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের তরুণরা সমতল ভূমিতে মালটা চাষে সফল হয়েছেন। ঢাকার অদূরে সাভার ও কালিয়াকৈরে সবজি চাষে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন তরুণরা। রাজশাহীতে আম আর ধানের চাষে তারা সূচনা করেছেন নতুন দিগন্তের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, তরুণেরাই এখন কৃষির প্রাণ। এখন কৃষিকাজে জড়িত ব্যক্তিদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ। গোলমরিচ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, টমেটো, ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মালটা ও কমলা ফলের মতো নিশ্চিত মুনাফা আছে, এমন খাতগুলোতে তরুণেরা বিনিয়োগ করছেন। তারা কৃষিপণ্য বিপণন ও কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন। এছাড়া মৎস্য চাষ, গাভী লালন-পালন ও হাঁস-মুরগি পালনেও এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৃষি খাতে তরুণদের সম্পৃক্ততার বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা কী কী, এ বিষয়ে নজর দেওয়া যাক।

তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততায় কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো হলো ১. সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতির প্রসারের ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কৃষির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজিটাল মার্কেটিং ও কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তরুণদের এই খাতে আগ্রহী করে তুলেছে। ২. তরুণ প্রজন্ম কৃষিকে এখন আর শুধু প্রথাগত পদ্ধতিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছেন। উদাহরণস্বরূপ, তরুণেরা স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে ফসল উৎপাদন, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ ও বাজারজাতকরণ–সম্পর্কিত তথ্য সহজলভ্য করে তুলছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের অটোমেশন টেকনোলজি যেমন ড্রোন, স্যাটেলাইট ইমেজারি ও সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমানো সম্ভব হচ্ছে। এই ধরনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার তরুণদের কৃষিতে আকৃষ্ট করছে। ৩. কৃষি খাতে তরুণ উদ্যোক্তারা কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং ও রপ্তানির মতো খাতগুলোতে বিনিয়োগ করছেন। অনেকে আবার খামার ব্যবস্থাপনা, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি পালন ও ডেইরি ফার্মের মতো উদ্যোগ নিচ্ছেন। ৪. কৃষিতে তরুণ নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে নারীরা কৃষির প্রতিটি ধাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তবে তরুণ নারীদের কৃষিতে সম্পৃক্ততা ক্রমবর্ধমান। নারী উদ্যোক্তারা কৃষিতে সাফল্য অর্জন করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি অন্য নারীদেরও উদ্বুদ্ধ করছেন।

তরুণদের কৃষিতে সম্পৃক্ততায় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জগুলো হলো ১. অনেক তরুণের কাছে কৃষি এখনো আকর্ষণীয় একটি পেশা হিসেবে বিবেচিত হয় না। ২. কৃষিতে আর্থিক ঝুঁকি বেশি ও আয় কম। ৩. আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণের অভাব। ৪. ঋণপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ। ৫. তরুণ কৃষকদের সংগঠনের অভাব। ৬. ভূমি ও কৃষিব্যবস্থার সংস্কারের অভাব তথা জমির মালিকানায় সমস্যা। ৭. কৃষি পরিবারের জন্য সহায়ক সরকারি পরিকল্পনার অভাব। ৮. দুর্বল গ্রামীণ অবকাঠামো। ৯. জমির মালিকানার নিরাপত্তাহীনতা ও জমির ক্রমবর্ধমান মূল্য। ১০. কৃষকদের আত্মপরিচয় সংকট অর্থাৎ সমাজে কৃষির প্রতি নেতিবাচক ধারণা ও শহরমুখী মনোভাব। ১১. নিয়মিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাব ও ১২. উদ্যোগ ও নীতি-সমর্থনের অভাব।
যদি আমরা তরুণদের কৃষিতে আরও সম্পৃক্ত করতে চাই, তাহলে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্যোগ হলো—১. তরুণদের কৃষিপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা। ২. তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষি খাতে বিনিয়োগের জন্য ঋণ বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এর ফলে তরুণেরা কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, কৃষিপণ্য রপ্তানি ও খামার ব্যবস্থাপনায় নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে পারবে। ৩. সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তরুণ কৃষকেরা সহজেই কৃষিবিষয়ক তথ্য, বাজারদর ও বিপণন কৌশল সম্পর্কে জানতে পারবে। ৪. কৃষিপণ্য সরাসরি বাজারে বিক্রির সুযোগ তৈরি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমানো। ৫. কৃষিশিক্ষার মানোন্নয়ন ও কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যা তরুণদের কৃষিতে আগ্রহী করবে।
তরুণেরা দেশের ভবিষ্যৎ। একই কারণে তারা কৃষি ও গ্রামীণ শিল্পেরও ভবিষ্যৎ। কৃষিতে তরুণদের সম্পৃক্ততা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, কৃষিপণ্য রপ্তানি, কৃষি খাতের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলে আলোচিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মহলের বিবেচনায় নেওয়া উচিত।